০৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঈদে পর্যটকদের স্বপ্নের গন্তব্য খাগড়াছড়ি

পাহাড়, ঝরনা ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি

ঈদে ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবছেন? সুইজারল্যান্ড বা ভারতের তাজমহল ঘুরতে যাওয়া ব্যয়বহুল মনে হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি স্বপ্নের গন্তব্য হতে পারে। নীল আকাশ ও পাহাড় ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজের সমারোহ এবং ঝরনা-নদীর অপরূপ মিলন এখানে পর্যটকদের মন মুগ্ধ করে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের জন্য খাগড়াছড়ি অন্যতম প্রিয় শহর হিসেবে পরিচিত।

খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র তার ঐতিহ্যবাহী ও সুদৃশ্য দৃশ্যের জন্য পরিচিত। সূর্যাস্তের পর পুরো শহরের আলো যেন কোনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি। পর্যটকদের বসার সুবিধা রয়েছে। পাদদেশে অবস্থিত রিছাং ঝরনা দুইটি ঝরনার বুক দিয়ে ছুটে চলা ঠান্ডা পানি নিয়ে আসে। দেবতা পুকুর, জেলা শহর থেকে ১০ কিমি দূরে মাইসছড়ির নুনছড়িতে ৭৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, যেখানে বছরজুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।

আলুটিলার রহস্যময় সুড়ঙ্গ পাহাড়ের চূড়া দিয়ে পেরোতে ভ্রমণপ্রিয় পর্যটকদের জন্য উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা। পানছড়ি উপজেলায় অবস্থিত অরণ্য কুঠির বৌদ্ধ মন্দিরে ৪৮ ফুট উচ্চতার দেশের বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি দেখা যায়। জেলা সদর জিরো মাইল এলাকায় ২২ একর বিস্তৃত জেলা পরিষদ পার্কে ঝুলন্ত ব্রিজ, কিডস জোন ও পর্যটন কটেজসহ পিকনিকের জন্য আদর্শ স্থান।

সদর ও দীঘিনালা উপজেলার সীমান্তস্থল দূর্গম সীমানাপাড়া গ্রামে অবস্থিত তৈদু ছড়া ঝরনা পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে পৌঁছাতে হয়। পথে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর জীবনধারা পর্যটকদের দেখার সুযোগ করে দেয়। খাগড়াছড়িতে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বসবাস করে, যার সংস্কৃতি, ভাষা এবং জীবনধারা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

খাগড়াছড়ির পাহাড়, নদী ও হ্রদের মিলনমেলা, চারপাশের সবুজ বন, ঝরনা ও প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য সব মিলিয়ে ঈদে পর্যটকদের স্বপ্নের গন্তব্য। শরৎ, হেমন্ত ও শীতে পাহাড়ের শুভ্র মেঘের খেলা পর্যটকদের চোখে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদে পর্যটকদের স্বপ্নের গন্তব্য খাগড়াছড়ি

পাহাড়, ঝরনা ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি

আপডেট সময় : ০৬:২৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ঈদে ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবছেন? সুইজারল্যান্ড বা ভারতের তাজমহল ঘুরতে যাওয়া ব্যয়বহুল মনে হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি স্বপ্নের গন্তব্য হতে পারে। নীল আকাশ ও পাহাড় ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজের সমারোহ এবং ঝরনা-নদীর অপরূপ মিলন এখানে পর্যটকদের মন মুগ্ধ করে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের জন্য খাগড়াছড়ি অন্যতম প্রিয় শহর হিসেবে পরিচিত।

খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র তার ঐতিহ্যবাহী ও সুদৃশ্য দৃশ্যের জন্য পরিচিত। সূর্যাস্তের পর পুরো শহরের আলো যেন কোনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি। পর্যটকদের বসার সুবিধা রয়েছে। পাদদেশে অবস্থিত রিছাং ঝরনা দুইটি ঝরনার বুক দিয়ে ছুটে চলা ঠান্ডা পানি নিয়ে আসে। দেবতা পুকুর, জেলা শহর থেকে ১০ কিমি দূরে মাইসছড়ির নুনছড়িতে ৭৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, যেখানে বছরজুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।

আলুটিলার রহস্যময় সুড়ঙ্গ পাহাড়ের চূড়া দিয়ে পেরোতে ভ্রমণপ্রিয় পর্যটকদের জন্য উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা। পানছড়ি উপজেলায় অবস্থিত অরণ্য কুঠির বৌদ্ধ মন্দিরে ৪৮ ফুট উচ্চতার দেশের বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি দেখা যায়। জেলা সদর জিরো মাইল এলাকায় ২২ একর বিস্তৃত জেলা পরিষদ পার্কে ঝুলন্ত ব্রিজ, কিডস জোন ও পর্যটন কটেজসহ পিকনিকের জন্য আদর্শ স্থান।

সদর ও দীঘিনালা উপজেলার সীমান্তস্থল দূর্গম সীমানাপাড়া গ্রামে অবস্থিত তৈদু ছড়া ঝরনা পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে পৌঁছাতে হয়। পথে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর জীবনধারা পর্যটকদের দেখার সুযোগ করে দেয়। খাগড়াছড়িতে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বসবাস করে, যার সংস্কৃতি, ভাষা এবং জীবনধারা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

খাগড়াছড়ির পাহাড়, নদী ও হ্রদের মিলনমেলা, চারপাশের সবুজ বন, ঝরনা ও প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য সব মিলিয়ে ঈদে পর্যটকদের স্বপ্নের গন্তব্য। শরৎ, হেমন্ত ও শীতে পাহাড়ের শুভ্র মেঘের খেলা পর্যটকদের চোখে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে।

এমআর/সবা