চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলে তল্লাশি চালিয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে এ এফ রহমান হলের ১৩২ নম্বর কক্ষে ছাত্রদল প্যানেলের নির্বাহী সদস্য প্রার্থী মিজান মিয়ার রুম থেকে দুইজন বহিরাগতকে সনাক্ত করে প্রক্টরিয়াল বডি।
তল্লাশি অভিযানে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, নিরাপত্তা দপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা সোহরাওয়ার্দী হল, এ এফ রহমান হল ও আলাওল হলে অভিযান চালায়। তবে আলাওল হলে অভিযান সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সহকারী প্রক্টর মো. নুরুল হামিদ।
অভিযানের সময় বিভিন্ন হলে বহিরাগত অবস্থান, অবৈধ সিট দখল এবং সিট বরাদ্দের ব্যত্যয় লক্ষ্য করা যায়। অনেক শিক্ষার্থীর হল কার্ড না থাকাসহ, ফরহাদ হোসেন হলে বরাদ্দপ্রাপ্ত হয়ে সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করার ঘটনাও ধরা পড়ে।
এ এফ রহমান হলে তল্লাশির সময় ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী মিজান মিয়ার রুমে থাকা দুই বহিরাগতকে শনাক্ত করা হয়। মিজান মিয়া জানান, ওই দুইজন তার চাচাতো ভাই—মো. শফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম—যারা তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসেছেন এবং শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত নন।
মিজান বলেন, “আমি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়, চলাফেরায় সহায়তার জন্য তাদের এনেছি। আমাদের চার দফা দাবির মধ্যে একটি ছিল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আচরণবিধি শিথিল করা। তারা আমাকে শুধু সহায়তা করছে, আমার রুমে মাদক বা কোনো অস্ত্র নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমি প্যানেল থেকেও সহযোগিতা পাচ্ছি, তবে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা প্রয়োজন হলে তারা সবসময় পাশে থাকতে পারে না। তাই আত্মীয়দের এনেছি।”
এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, “মিজান ভাই আমাদের ফোন দিয়ে বলেছিলেন, তিনি নির্বাচন করছেন এবং চলাফেরায় সহযোগিতা লাগবে। তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় কোথাও যেতে হলে আমি তাকে সহায়তা করি।”
সহকারী প্রক্টর মো. নুরুল হামিদ বলেন, “আমাদের অভিযান ছিল হলে বহিরাগত ও অবৈধ সিটধারীদের শনাক্তে। এ এফ রহমান হলের ১৩২ নম্বর রুমে দুই বহিরাগত পাওয়া গেছে, যারা মিজান মিয়ার পরিচিত।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এমন তল্লাশি চলমান থাকবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে থাকবে তারা।
এমআর/সবা

























