০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উদ্ভাবননির্ভর প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যা করে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ জন

২০২৫ সালের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ—জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ এবং পিটার হাউইট। উদ্ভাবন-নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তার টেকসই কাঠামো ব্যাখ্যার জন্য তাদের এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

পুরস্কারের মূল্যমান ১২ লাখ মার্কিন ডলার, যার অর্ধেক পেয়েছেন জোয়েল মোকির। তিনি তার গবেষণায় দেখিয়েছেন—প্রযুক্তিগত অগ্রগতি কীভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করে এবং তা ইতিহাসের কোন পর্যায়ে নিয়মিত হতে শুরু করে।

বাকি অর্ধেক ভাগ ভাগাভাগি করেছেন আগিয়োঁ ও হাউইট। তারা ‘সৃজনশীল বিনাশ’ (Creative Destruction) তত্ত্বের মাধ্যমে দেখিয়েছেন—নতুন উদ্ভাবন যখন বাজারে আসে, তখন পুরোনো পণ্য ও প্রযুক্তি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়, এবং এর মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে একটি টেকসই প্রবৃদ্ধির পথ।

নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই গবেষণা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কখনোই নিশ্চিত বা স্বয়ংক্রিয় নয়। ইতিহাসের বড় সময়জুড়ে স্থবিরতাই ছিল স্বাভাবিক, প্রবৃদ্ধি নয়। তাই এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সম্ভাব্য বাধাগুলো চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা করাই জরুরি।

১৯৯২ সালের একটি গাণিতিক মডেলে আগিয়োঁ ও হাউইট বিশ্লেষণ করেন, কীভাবে নতুন ও উন্নত পণ্যের আগমনে পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ব্যর্থ হয়। এটিই অর্থনীতিতে ‘সৃজনশীল বিনাশ’ নামে পরিচিত—a vital mechanism for progress.

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

উদ্ভাবননির্ভর প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যা করে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ জন

আপডেট সময় : ০৬:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

২০২৫ সালের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ—জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ এবং পিটার হাউইট। উদ্ভাবন-নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তার টেকসই কাঠামো ব্যাখ্যার জন্য তাদের এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

পুরস্কারের মূল্যমান ১২ লাখ মার্কিন ডলার, যার অর্ধেক পেয়েছেন জোয়েল মোকির। তিনি তার গবেষণায় দেখিয়েছেন—প্রযুক্তিগত অগ্রগতি কীভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করে এবং তা ইতিহাসের কোন পর্যায়ে নিয়মিত হতে শুরু করে।

বাকি অর্ধেক ভাগ ভাগাভাগি করেছেন আগিয়োঁ ও হাউইট। তারা ‘সৃজনশীল বিনাশ’ (Creative Destruction) তত্ত্বের মাধ্যমে দেখিয়েছেন—নতুন উদ্ভাবন যখন বাজারে আসে, তখন পুরোনো পণ্য ও প্রযুক্তি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়, এবং এর মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে একটি টেকসই প্রবৃদ্ধির পথ।

নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই গবেষণা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কখনোই নিশ্চিত বা স্বয়ংক্রিয় নয়। ইতিহাসের বড় সময়জুড়ে স্থবিরতাই ছিল স্বাভাবিক, প্রবৃদ্ধি নয়। তাই এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সম্ভাব্য বাধাগুলো চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা করাই জরুরি।

১৯৯২ সালের একটি গাণিতিক মডেলে আগিয়োঁ ও হাউইট বিশ্লেষণ করেন, কীভাবে নতুন ও উন্নত পণ্যের আগমনে পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ব্যর্থ হয়। এটিই অর্থনীতিতে ‘সৃজনশীল বিনাশ’ নামে পরিচিত—a vital mechanism for progress.

এমআর/সবা