চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নেওয়া ১,০৫,৯২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬০,৮৮২ জন পাস করেছে। কিন্তু ৪৫,০৩৯ জন অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫,৮৩৮ জন শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ফেল করেছে।
শিক্ষাবোর্ডের অভিমত, ইংরেজিতে এই বিপর্যয়ের মূল কারণ অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকের অভাব। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, কলেজগুলোর ইংরেজি শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পড়াতে পারছেন না।
৬৬৬টি কলেজের মধ্যে ৪৩টি কলেজে কেউ পাশ করতে পারেনি। গত বছর শূন্য পাসের কলেজের সংখ্যা ছিল ২০টি, এবার বেড়ে হয়েছে ৪৩টি। এই ৪৩টি কলেজ থেকে ১৮২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েও কেউ পাশ করতে পারেনি।
শূন্য পাস করা কলেজগুলো নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও গাইবান্ধার বিভিন্ন কলেজে অবস্থিত। নীলফামারীতে ১০টি কলেজে ৪০ জন, কুড়িগ্রামে ৯টি কলেজে ৫৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ কলেজে ২৫ জন, লালমনিরহাটে ৫ কলেজে ১৪ জন, রংপুরে ৪ কলেজে ১৫ জন, দিনাজপুরে ৪ কলেজে ১৭ জন, পঞ্চগড়ে ৩ কলেজে ১১ জন এবং গাইবান্ধায় ২ কলেজে ৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “ইংরেজি শিক্ষায় সমস্যা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফল। আমরা প্রতি বছর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও কি করা যায়, তা দেখার বিষয়।”
এমআর/সবা






















