১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুয়াবিলবাসীর আপত্তি ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ উপজেলার প্রস্তাবে

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় নতুন ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ উপজেলা গঠনের প্রস্তাবে স্থানীয় সুয়াবিল ইউনিয়ন এবং নাজিরহাট পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড যুক্ত করার বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। শনিবার (১৮ অক্টোবর) নগরীর জিইসি মোড়ে ‘সুয়াবিল অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম’ এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও সুয়াবিল গ্রামের বাসিন্দা অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, “প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের লক্ষ্যে নতুন উপজেলা গঠনকে স্বাগত জানাই। তবে সুয়াবিল ইউনিয়ন ও নাজিরহাট পৌরসভার তিন ওয়ার্ডকে প্রস্তাবিত ফটিকছড়ি উত্তর উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা জনস্বার্থবিরোধী এবং আইনি জটিলতা সৃষ্টি করবে।”

তিনি আরও জানান, বৃহত্তর সুয়াবিল ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য নতুন উপজেলার সদরদফতর দুরে হওয়ায় নাগরিক সেবা পেতে ৪ কিলোমিটারের বদলে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এছাড়া অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যানবাহনের অপ্রতুলতার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনসেবা কার্যক্রমেও সমস্যা হবে।

বক্তারা সরকারের কাছে স্থানীয় জনগণের মতামত নেওয়ার জন্য গণশুনানি আয়োজনের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন — উত্তর ফটিকছড়ি নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক ওসমান গণি মজুমদার, সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস এম শফিউল আলম, বৃহত্তর সুয়াবিল অধিকার ফোরামের ডা. এস এম ফরিদ, আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসমাইল গনি এবং সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মনসুর আলী।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে বাড়ছে রোগ-বালাই

সুয়াবিলবাসীর আপত্তি ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ উপজেলার প্রস্তাবে

আপডেট সময় : ০৭:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় নতুন ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ উপজেলা গঠনের প্রস্তাবে স্থানীয় সুয়াবিল ইউনিয়ন এবং নাজিরহাট পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড যুক্ত করার বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। শনিবার (১৮ অক্টোবর) নগরীর জিইসি মোড়ে ‘সুয়াবিল অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম’ এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও সুয়াবিল গ্রামের বাসিন্দা অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, “প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের লক্ষ্যে নতুন উপজেলা গঠনকে স্বাগত জানাই। তবে সুয়াবিল ইউনিয়ন ও নাজিরহাট পৌরসভার তিন ওয়ার্ডকে প্রস্তাবিত ফটিকছড়ি উত্তর উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা জনস্বার্থবিরোধী এবং আইনি জটিলতা সৃষ্টি করবে।”

তিনি আরও জানান, বৃহত্তর সুয়াবিল ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য নতুন উপজেলার সদরদফতর দুরে হওয়ায় নাগরিক সেবা পেতে ৪ কিলোমিটারের বদলে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এছাড়া অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যানবাহনের অপ্রতুলতার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনসেবা কার্যক্রমেও সমস্যা হবে।

বক্তারা সরকারের কাছে স্থানীয় জনগণের মতামত নেওয়ার জন্য গণশুনানি আয়োজনের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন — উত্তর ফটিকছড়ি নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক ওসমান গণি মজুমদার, সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস এম শফিউল আলম, বৃহত্তর সুয়াবিল অধিকার ফোরামের ডা. এস এম ফরিদ, আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসমাইল গনি এবং সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মনসুর আলী।

এমআর/সবা