বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে নতুন লেকচারার হিসেবে যোগদান করেছেন বাবুগঞ্জের মেয়ে ইতি খান মিতু। কঠোর প্রতিযোগিতাপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষার সব ধাপ সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি গত ১৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বিভাগে যোগ দেন। স্থানীয় তরুণ সমাজ থেকে শুরু করে শিক্ষা মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে তাঁর এই অর্জন।
শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে মিতু ছিলেন নিয়মিত মেধার স্বাক্ষর রাখা এক শিক্ষার্থী। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ থেকে ২০১৬–১৭ সেশনে বিএসসি (অনার্স) পরীক্ষায় ৪-এর মধ্যে ৩.৯১ জিপিএ এবং ২০২০–২১ সেশনে মাস্টার্স (থিসিস) প্রোগ্রামে ৩.৯৫ জিপিএ অর্জন করেন তিনি। উচ্চশিক্ষার প্রতিটি স্তরেই ধারাবাহিক উৎকর্ষতা তাঁর একাডেমিক দক্ষতারই প্রমাণ।
এর আগে তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলার নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাশেদ খান মেনন মডেল উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে এসএসসি এবং ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। কৈশোর থেকেই অধ্যবসায় ও পরিশ্রমকে সঙ্গী করেই এগিয়ে যান তিনি।

পারিবারিকভাবে সাধারণ হলেও মূল্যবোধে দৃঢ় এক পরিবার থেকেই উঠে এসেছেন ইতি খান মিতু। তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মরহুম মোতালেব খান ও আকলিমা বেগমের পঞ্চম সন্তান। পরিবারের সহায়তা ও নিজের অদম্য প্রচেষ্টায় আজ তিনি নিজ এলাকার তরুণদের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম।
ইতি খান মিতুর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলেন — “একজন মেয়ে যখন নিজের মেধা ও যোগ্যতায় দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হন, তখন পুরো এলাকা গর্বে মাথা উঁচু করে। মিতু আমাদের সবার প্রেরণা।”
শিক্ষা-অধ্যয়নে তাঁর এই চমকপ্রদ সাফল্য বাবুগঞ্জ-বরিশালসহ পুরো অঞ্চলে এক ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে — পরিশ্রম, মেধা ও অধ্যবসায়ের ফল একদিন ঠিকই ধরা দেয়।
এমআর/সবা

























