রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে সাবলেট ভাড়াটিয়া সেজে শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি মামলার মূলহোতা দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ। অপহরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. পারভেজ (২৭) ও তার স্ত্রী কাকলী আক্তার (২৫)।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, আলীনগর এলাকায় মো. আবু সায়েম তার ফ্ল্যাটের একটি কক্ষ সাবলেট হিসেবে পারভেজ ও কাকলীকে ভাড়া দেন। গত ১৯ অক্টোবর সকালে আবু সায়েমের স্ত্রী ঘুমিয়ে থাকাকালীন ওই দম্পতি শিশুপুত্র আব্দুল হাদি নূর (৪) কে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা ইমোতে যোগাযোগ করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং প্রথমে ৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আশায় পরিবারটি টাকা পাঠালেও শিশুটি ফেরত না আসায় থানায় মামলা করা হয়।
স্থানীয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ওই দম্পতি শিশুটিকে নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ শিশুর অবস্থান মিরপুরে শনাক্ত করে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ভোরে মিরপুরের একটি হোটেল থেকে পারভেজ ও কাকলীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার দম্পতি নিয়মিত বিভিন্ন হোটেলে ভাড়া থাকত এবং পরবর্তী টার্গেট নির্ধারণ করত। সাবলেট হিসেবে বাসায় উঠে সুযোগ বুঝে শিশু অপহরণ করত তারা। তাদের কাছে ১৫-২০টি ভুয়া সিম কার্ড পাওয়া গেছে। মানবপাচার চক্রের সঙ্গে তারা জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামীর নির্দেশনায় বিশেষ অভিযানে এ সফলতা আসে। এ ঘটনায় দম্পতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ডিএমপি মিডিয়া সেলের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান নাগরিকদের সতর্ক করে বলেন, সাবলেট দেওয়ার আগে অবশ্যই ভাড়াটিয়ার পরিচয়পত্র, পেশা ও উৎস যাচাই করা জরুরি— যাতে এ ধরনের অপরাধ থেকে পরিবারগুলো নিরাপদ থাকে।
এমআর/সবা


























