০৭:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম–৮ আসনে গণসংযোগে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া কে এই সরোয়ার বাবলা

চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সারোয়ার হোসেন বাবলা। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হত্যার মামলা অন্তর্ভুক্ত। অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়ে তিনি বহুবার জেলও কাটেছেন। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হন ২০২৪ সালের ২৭ জুলাই এবং ৫ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান।

স্থানীয়রা জানান, বায়েজিদ ও পাঁচলাইশ এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণের আগে তাকে চাঁদা দিতে হতো। ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নগরের প্রবর্তক মোড়ে ১১ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় আলোচনায় আসেন সরোয়ার। ৬ জুলাই বায়েজিদ এলাকা থেকে একে-৪৭ রাইফেল ও গুলিসহ আটক হন।

সরোয়ার বাবলা ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলীর কর্মী ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি আলাদা বাহিনী গড়ে তোলেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছোট সাজ্জাদ ও তার মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। পুলিশের ধারণা, ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে বিরোধের জেরেই তাকে গুলি করা হয়।

২০০০ সালের ১২ জুলাই বহদ্দারহাটে সন্ত্রাসী হামলায় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটজন নিহত হন। এই ঘটনায় বড় সাজ্জাদ সাজাপ্রাপ্ত হলেও পরে উচ্চ আদালত থেকে খালাস পান এবং বিদেশে পালিয়ে যান। এরপরও তিনি দেশে বিভিন্ন অপরাধ পরিচালনা করেন।

২০১৭ সালে জামিনে বের হয়ে সরোয়ার ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যাক্সন দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকেন। চাঁদাবাজি, পেট্রোল বোমা হামলা ও অন্যান্য অপরাধে গ্রেপ্তার ও মামলা হয়। ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফেরার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

সরোয়ার নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিতে থাকলেও নগর যুবদল ওই সময় স্পষ্টভাবে জানায়, তিনি যুবদলের কেউ নন। তিনি দুই মাস আগে বিয়ে করেন এবং তার বিয়েতে কয়েকজন বিএনপি নেতা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে তার হত্যার চেষ্টা করা হয়; ওই ঘটনায় দুজন মারা যান, সরোয়ার ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পুলিশ ও জবানবন্দিতে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছিল।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

চট্টগ্রাম–৮ আসনে গণসংযোগে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া কে এই সরোয়ার বাবলা

আপডেট সময় : ০৭:২৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সারোয়ার হোসেন বাবলা। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হত্যার মামলা অন্তর্ভুক্ত। অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়ে তিনি বহুবার জেলও কাটেছেন। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হন ২০২৪ সালের ২৭ জুলাই এবং ৫ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান।

স্থানীয়রা জানান, বায়েজিদ ও পাঁচলাইশ এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণের আগে তাকে চাঁদা দিতে হতো। ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নগরের প্রবর্তক মোড়ে ১১ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় আলোচনায় আসেন সরোয়ার। ৬ জুলাই বায়েজিদ এলাকা থেকে একে-৪৭ রাইফেল ও গুলিসহ আটক হন।

সরোয়ার বাবলা ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলীর কর্মী ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি আলাদা বাহিনী গড়ে তোলেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছোট সাজ্জাদ ও তার মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। পুলিশের ধারণা, ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে বিরোধের জেরেই তাকে গুলি করা হয়।

২০০০ সালের ১২ জুলাই বহদ্দারহাটে সন্ত্রাসী হামলায় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটজন নিহত হন। এই ঘটনায় বড় সাজ্জাদ সাজাপ্রাপ্ত হলেও পরে উচ্চ আদালত থেকে খালাস পান এবং বিদেশে পালিয়ে যান। এরপরও তিনি দেশে বিভিন্ন অপরাধ পরিচালনা করেন।

২০১৭ সালে জামিনে বের হয়ে সরোয়ার ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যাক্সন দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকেন। চাঁদাবাজি, পেট্রোল বোমা হামলা ও অন্যান্য অপরাধে গ্রেপ্তার ও মামলা হয়। ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফেরার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

সরোয়ার নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিতে থাকলেও নগর যুবদল ওই সময় স্পষ্টভাবে জানায়, তিনি যুবদলের কেউ নন। তিনি দুই মাস আগে বিয়ে করেন এবং তার বিয়েতে কয়েকজন বিএনপি নেতা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে তার হত্যার চেষ্টা করা হয়; ওই ঘটনায় দুজন মারা যান, সরোয়ার ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পুলিশ ও জবানবন্দিতে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছিল।

এমআর/সবা