১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তন উদ্বোধন

দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেক চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার বাতিঘর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের সন্তান এম এ মালেকের নেতৃত্বে আজাদী তার ঐতিহাসিক ভূমিকা আজও পালন করে যাচ্ছে।”

শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে দৈনিক আজাদীর অর্থায়নে নির্মিত নবনির্মিত ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, পরিচালক ওয়াহিদ মালেক এবং কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিজেএ) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান ওসমান গণি মনসুর। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি।

আমীর খসরু বলেন, “সংলাপ ও ঐকমত্য গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়, বিভেদ নয়। রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে যে ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে নতুন বিভাজন তৈরি করা গণতন্ত্রের জন্য ভালো হবে না।” তিনি আরও বলেন, “সংলাপের সংস্কৃতি আমাদের জাতীয় চরিত্রে ফিরিয়ে আনতে হবে। সহনশীলতা ও পরস্পরের প্রতি সম্মানই সমাজকে এগিয়ে নিতে পারে।”

সামাজিক দায়বদ্ধতার উদাহরণ হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ক্যান্সার ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় এম এ মালেকের ভূমিকার প্রশংসা করেন। খসরু বলেন, “একটি প্রতিষ্ঠান সফলতার পর্যায়ে পৌঁছালে সমাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে যায়। দৈনিক আজাদী সেই দায়িত্ব পালন করছে।”

এ সময় সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক হয়তো ভেবেছিলেন আজাদীর মধ্য দিয়েই একদিন স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হবে। আজ আমরা সেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু এখন আমাদের গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার করতে হবে।”

একুশে পদকপ্রাপ্ত এম এ মালেক বলেন, “চট্টগ্রামের মানুষের সুখ–দুঃখের কথা জানানোর জন্যই আজাদী প্রকাশিত হয়। ঢাকায় বসে জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নয়।” তিনি জানান, তার পিতা ইঞ্জিনিয়ার খালেকের হাত ধরেই চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল।

ওয়াহিদ মালেক বলেন, “এই মিলনায়তন মুক্ত চিন্তা, সাংবাদিকতা ও গঠনমূলক আলোচনার প্রতীক। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার কেন্দ্র হয়ে উঠবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ওসমান গণি মনসুর, আবু সুফিয়ান, সালেহ নোমান, জানে আলম সেলিম, আব্দুস সাত্তার ও মিয়া মোহাম্মদ আরিফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেস ক্লাবের সদস্য গোলাম মওলা মুরাদ। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেকসহ সাংবাদিক সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধি।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তন উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেক চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার বাতিঘর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের সন্তান এম এ মালেকের নেতৃত্বে আজাদী তার ঐতিহাসিক ভূমিকা আজও পালন করে যাচ্ছে।”

শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে দৈনিক আজাদীর অর্থায়নে নির্মিত নবনির্মিত ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, পরিচালক ওয়াহিদ মালেক এবং কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিজেএ) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান ওসমান গণি মনসুর। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি।

আমীর খসরু বলেন, “সংলাপ ও ঐকমত্য গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়, বিভেদ নয়। রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে যে ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে নতুন বিভাজন তৈরি করা গণতন্ত্রের জন্য ভালো হবে না।” তিনি আরও বলেন, “সংলাপের সংস্কৃতি আমাদের জাতীয় চরিত্রে ফিরিয়ে আনতে হবে। সহনশীলতা ও পরস্পরের প্রতি সম্মানই সমাজকে এগিয়ে নিতে পারে।”

সামাজিক দায়বদ্ধতার উদাহরণ হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ক্যান্সার ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় এম এ মালেকের ভূমিকার প্রশংসা করেন। খসরু বলেন, “একটি প্রতিষ্ঠান সফলতার পর্যায়ে পৌঁছালে সমাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে যায়। দৈনিক আজাদী সেই দায়িত্ব পালন করছে।”

এ সময় সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক হয়তো ভেবেছিলেন আজাদীর মধ্য দিয়েই একদিন স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হবে। আজ আমরা সেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু এখন আমাদের গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার করতে হবে।”

একুশে পদকপ্রাপ্ত এম এ মালেক বলেন, “চট্টগ্রামের মানুষের সুখ–দুঃখের কথা জানানোর জন্যই আজাদী প্রকাশিত হয়। ঢাকায় বসে জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নয়।” তিনি জানান, তার পিতা ইঞ্জিনিয়ার খালেকের হাত ধরেই চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল।

ওয়াহিদ মালেক বলেন, “এই মিলনায়তন মুক্ত চিন্তা, সাংবাদিকতা ও গঠনমূলক আলোচনার প্রতীক। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার কেন্দ্র হয়ে উঠবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ওসমান গণি মনসুর, আবু সুফিয়ান, সালেহ নোমান, জানে আলম সেলিম, আব্দুস সাত্তার ও মিয়া মোহাম্মদ আরিফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেস ক্লাবের সদস্য গোলাম মওলা মুরাদ। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেকসহ সাংবাদিক সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধি।

এমআর/সবা