০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেলওয়ে প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তে দুদকে তলব তিন কর্মকর্তা

বাংলাদেশ রেলওয়ের মেগা প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক তিনজন সাবেক কর্মকর্তাকে তলব করেছে। ১০ নভেম্বর পৃথক সময়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে তারা বক্তব্য দেবেন।

তলবপ্রাপ্তরা হলেন—সাবেক মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন, সাবেক মহাপরিচালক কাজী মোঃ রফিকুল আলম, এবং সাবেক প্রকল্প পরিচালক মোঃ মোজাম্মেল হক। তদন্তে কালুখালী–ভাটিয়াপাড়াঘাট ও কাশিয়ানি–গোপালগঞ্জ–টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পে ভুয়া এলসি, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠে এসেছে।

দুদকের চার সদস্যের অনুসন্ধান টিমের নেতৃত্বে আছেন সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নামে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রভাব খাটিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

দুদক কর্মকর্তারা আশা করছেন, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণের পর অনুসন্ধান নতুন পর্যায়ে পৌঁছাবে। গত ১৬ বছরে তমা ও ম্যাক্স গ্রুপ রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে রেলের অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পেয়েছে, যার মধ্যে দোহাজারী–রামু–কক্সবাজার রেলপথের ব্যয় বেড়ে ১,৮৩৪ কোটি টাকা থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অন্যান্য প্রকল্পেও অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

রেলওয়ে প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তে দুদকে তলব তিন কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ রেলওয়ের মেগা প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক তিনজন সাবেক কর্মকর্তাকে তলব করেছে। ১০ নভেম্বর পৃথক সময়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে তারা বক্তব্য দেবেন।

তলবপ্রাপ্তরা হলেন—সাবেক মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন, সাবেক মহাপরিচালক কাজী মোঃ রফিকুল আলম, এবং সাবেক প্রকল্প পরিচালক মোঃ মোজাম্মেল হক। তদন্তে কালুখালী–ভাটিয়াপাড়াঘাট ও কাশিয়ানি–গোপালগঞ্জ–টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পে ভুয়া এলসি, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠে এসেছে।

দুদকের চার সদস্যের অনুসন্ধান টিমের নেতৃত্বে আছেন সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নামে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রভাব খাটিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

দুদক কর্মকর্তারা আশা করছেন, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণের পর অনুসন্ধান নতুন পর্যায়ে পৌঁছাবে। গত ১৬ বছরে তমা ও ম্যাক্স গ্রুপ রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে রেলের অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পেয়েছে, যার মধ্যে দোহাজারী–রামু–কক্সবাজার রেলপথের ব্যয় বেড়ে ১,৮৩৪ কোটি টাকা থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অন্যান্য প্রকল্পেও অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।

এমআর/সবা