০২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না: তাঁতের কাজে বাল্যবিয়ে রোধ করছেন রৌমারীর নারী উদ্যোক্তা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারীতে জুঁই আক্তার ও চায়না বেগম তাদের মেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে দিতে এবং বাল্যবিয়ে রোধ করতে নিজ বাড়িতে তাঁতের শাড়ি বুনছেন। তারা স্বামীর রোজগার এবং তাঁতের আয়ের মাধ্যমে পরিবারের খরচ মেটাচ্ছেন, যাতে দুই কন্যা নিরবিচ্ছিন্নভাবে পড়াশোনা করতে পারে।

জুঁই আক্তার বলেন, “এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না। এই শ্রম তাদের জন্য করি। পড়াশোনা শিখার পর উপযুক্ত বয়সে বিয়ে দিব।’’ তার কাজের মাধ্যমে দুই মেয়ে বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পেয়ে শিক্ষায় মনোনিবেশ করতে পারছে।

চর শৌলমারীতে তাঁদের মতো নারীরা আরডিআরএস বাংলাদেশ’র ‘চাইল্ড নট ব্রাইড’ প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁত প্রশিক্ষণ ও মেশিন সহায়তা পেয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। গত এক বছরে চর শৌলমারীতে ৬০ শিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে, তবে প্রকল্পের মাধ্যমে আরও অন্তত ১৮০ পরিবার বাল্যবিয়ের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাচ্ছে।

উদ্যোগীরা বাড়তি আয়ের মাধ্যমে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে দিচ্ছেন এবং পরিবারগুলোকে বোঝা মনে না করে শিক্ষায় উৎসাহিত করছেন।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে কাল শুরু হচ্ছে বিপিএল

এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না: তাঁতের কাজে বাল্যবিয়ে রোধ করছেন রৌমারীর নারী উদ্যোক্তা

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারীতে জুঁই আক্তার ও চায়না বেগম তাদের মেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে দিতে এবং বাল্যবিয়ে রোধ করতে নিজ বাড়িতে তাঁতের শাড়ি বুনছেন। তারা স্বামীর রোজগার এবং তাঁতের আয়ের মাধ্যমে পরিবারের খরচ মেটাচ্ছেন, যাতে দুই কন্যা নিরবিচ্ছিন্নভাবে পড়াশোনা করতে পারে।

জুঁই আক্তার বলেন, “এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না। এই শ্রম তাদের জন্য করি। পড়াশোনা শিখার পর উপযুক্ত বয়সে বিয়ে দিব।’’ তার কাজের মাধ্যমে দুই মেয়ে বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পেয়ে শিক্ষায় মনোনিবেশ করতে পারছে।

চর শৌলমারীতে তাঁদের মতো নারীরা আরডিআরএস বাংলাদেশ’র ‘চাইল্ড নট ব্রাইড’ প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁত প্রশিক্ষণ ও মেশিন সহায়তা পেয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। গত এক বছরে চর শৌলমারীতে ৬০ শিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে, তবে প্রকল্পের মাধ্যমে আরও অন্তত ১৮০ পরিবার বাল্যবিয়ের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাচ্ছে।

উদ্যোগীরা বাড়তি আয়ের মাধ্যমে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে দিচ্ছেন এবং পরিবারগুলোকে বোঝা মনে না করে শিক্ষায় উৎসাহিত করছেন।

এমআর/সবা