০২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশে থাকা নাগরিকরা ফিরতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে: মিয়ানমারের জান্তা প্রধান

মিয়ানমারের জান্তা নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং জানিয়েছেন, দেশটির যেসব নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে বসবাস করছেন তারা যদি ফিরে আসতে চান তবে তাদের স্বাগত জানানো হবে।

শুক্রবার বেলারুশের সফরকারী প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দ্রার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হ্লাইং বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মিয়ানমারের যে প্রায় ৪০০০ হাজার নাগরিকের সাময়িক সুরক্ষামূলক আশ্রয় বাতিল করেছে আমরা তাদের গ্রহণ করার ব্যবস্থা করছি। তাদের নাম যদি ভোটর তালিকায় থাকে তবে আমরা তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করবো।”

তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে বিদেশে চলে যাওয়া মিয়ানমারের সকল নাগরিকদের সরকার স্বাগত জানাবে যেন তারা দেশে ফিরে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে।”

ইংরেজি ও বার্মিজ ভাষার গণমাধ্যম ইরাবতী লিখেছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ওয়াশিংটনের অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা (টিপিএস) বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে তাদের পরিকল্পিত নির্বাচনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।

সোমবার এক ঘোষণায় মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে চালু থাকা অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা (টিপিএস) বন্ধ করছে।

ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, মার্কিন সরকারের মূল্যায়ন অনুযায়ী টিপিএসের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মিয়ানমারের নাগরিকরা এখন ‘নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে’ পারবেন, কারণ তাদের বিবেচনায় দেশটির শাসনব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতার উন্নতি হয়েছে এবং জান্তা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

মিয়ানমারের জান্তা সরকার দ্রুত বিবৃতিটি সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত নাগরিকদের দেশে ফিরে এসে আসছে নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে ‘দেশ গড়ার কাছে অংশ নেওয়ার’ আহ্বান জানায়।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে থেকে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

বিদেশে থাকা নাগরিকরা ফিরতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে: মিয়ানমারের জান্তা প্রধান

আপডেট সময় : ০৭:৫১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারের জান্তা নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং জানিয়েছেন, দেশটির যেসব নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে বসবাস করছেন তারা যদি ফিরে আসতে চান তবে তাদের স্বাগত জানানো হবে।

শুক্রবার বেলারুশের সফরকারী প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দ্রার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হ্লাইং বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মিয়ানমারের যে প্রায় ৪০০০ হাজার নাগরিকের সাময়িক সুরক্ষামূলক আশ্রয় বাতিল করেছে আমরা তাদের গ্রহণ করার ব্যবস্থা করছি। তাদের নাম যদি ভোটর তালিকায় থাকে তবে আমরা তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করবো।”

তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে বিদেশে চলে যাওয়া মিয়ানমারের সকল নাগরিকদের সরকার স্বাগত জানাবে যেন তারা দেশে ফিরে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে।”

ইংরেজি ও বার্মিজ ভাষার গণমাধ্যম ইরাবতী লিখেছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ওয়াশিংটনের অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা (টিপিএস) বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে তাদের পরিকল্পিত নির্বাচনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।

সোমবার এক ঘোষণায় মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে চালু থাকা অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা (টিপিএস) বন্ধ করছে।

ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, মার্কিন সরকারের মূল্যায়ন অনুযায়ী টিপিএসের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মিয়ানমারের নাগরিকরা এখন ‘নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে’ পারবেন, কারণ তাদের বিবেচনায় দেশটির শাসনব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতার উন্নতি হয়েছে এবং জান্তা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

মিয়ানমারের জান্তা সরকার দ্রুত বিবৃতিটি সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত নাগরিকদের দেশে ফিরে এসে আসছে নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে ‘দেশ গড়ার কাছে অংশ নেওয়ার’ আহ্বান জানায়।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে থেকে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এমআর/সবা