১২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেরোবি ছাত্রদল কমিটিতে ২০ লাখ টাকার লেনদেনের অভিযোগ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আংশিক কমিটি গঠনে ২০ লাখ টাকার লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন পদবঞ্চিত সভাপতি প্রার্থী মো. ইমরান হোসাইন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ প্রকাশ করেন।

ইমরান দাবি করেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মুসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদনান, তাইজুল এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির হোসেনের সম্পৃক্ততায় অর্থের বিনিময়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার ভাষ্য—সহ-সভাপতি এম এম মুসা তাকে সরাসরি ১০ লাখ টাকা দিতে বলেন এবং বলেন, টাকা দিলে তাকে সভাপতি করা হবে। কিন্তু তিনি লেনদেনের রাজনীতিতে রাজি নন। পরে কমিটি দেওয়ার খরচ দেখিয়ে কয়েক ধাপে তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ইমরানের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী এবং নারী–কেলেঙ্কারিতে জড়িত শিক্ষকসহ বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে মোট ২০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এর প্রভাবে ছাত্রলীগপন্থী ও বিতর্কিত অতীত থাকা কয়েকজনকেও কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি প্রশাসনঘেঁষা কমিটি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিসিকে অবরুদ্ধ করলে এই কমিটির নেতারাই ভিসির ঢাল হয়ে কাজ করেছে।”

তিনি ঘোষনা দেন, “এই আর্থিক লেনদেনভিত্তিক ও অগণতান্ত্রিক কমিটি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। দেশনায়ক তারেক রহমানের কাছে অনুরোধ—এ ধরনের লোভী ব্যক্তিদের হাত থেকে ছাত্রদলকে রক্ষা করা হোক।”

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম এম মুসা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পদ না পেয়ে ইমরান এসব বলছে। সে ২০ লাখ তো দূরের কথা, ২০ টাকার প্রমাণও দেখাতে পারবে না।”

গত ২৭ নভেম্বর ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

বেরোবি ছাত্রদল কমিটিতে ২০ লাখ টাকার লেনদেনের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আংশিক কমিটি গঠনে ২০ লাখ টাকার লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন পদবঞ্চিত সভাপতি প্রার্থী মো. ইমরান হোসাইন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ প্রকাশ করেন।

ইমরান দাবি করেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মুসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদনান, তাইজুল এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির হোসেনের সম্পৃক্ততায় অর্থের বিনিময়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার ভাষ্য—সহ-সভাপতি এম এম মুসা তাকে সরাসরি ১০ লাখ টাকা দিতে বলেন এবং বলেন, টাকা দিলে তাকে সভাপতি করা হবে। কিন্তু তিনি লেনদেনের রাজনীতিতে রাজি নন। পরে কমিটি দেওয়ার খরচ দেখিয়ে কয়েক ধাপে তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ইমরানের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী এবং নারী–কেলেঙ্কারিতে জড়িত শিক্ষকসহ বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে মোট ২০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এর প্রভাবে ছাত্রলীগপন্থী ও বিতর্কিত অতীত থাকা কয়েকজনকেও কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি প্রশাসনঘেঁষা কমিটি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিসিকে অবরুদ্ধ করলে এই কমিটির নেতারাই ভিসির ঢাল হয়ে কাজ করেছে।”

তিনি ঘোষনা দেন, “এই আর্থিক লেনদেনভিত্তিক ও অগণতান্ত্রিক কমিটি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। দেশনায়ক তারেক রহমানের কাছে অনুরোধ—এ ধরনের লোভী ব্যক্তিদের হাত থেকে ছাত্রদলকে রক্ষা করা হোক।”

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম এম মুসা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পদ না পেয়ে ইমরান এসব বলছে। সে ২০ লাখ তো দূরের কথা, ২০ টাকার প্রমাণও দেখাতে পারবে না।”

গত ২৭ নভেম্বর ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এমআর/সবা