০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোবিপ্রবিতে ছাত্রশিবিরের ‘রান ফর ইউনিটি’ দৌড়ে ৮০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘রান ফর ইউনিটি’ দৌড় প্রতিযোগিতা। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। ছেলেদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রী অংশ নেওয়ায় অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

প্রতিযোগিতায় ৩০ জনকে মেডেল দেওয়া হয়। প্রথম হন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাহেদুল হক। দৌড়টি বাংলা বাজার এলাকা ঘুরে পুনরায় প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়। অংশগ্রহণকারীদের জন্য টি–শার্ট, পানি ও গ্লুকোজ সরবরাহ করা হয়।

শুরু আগে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে ফটক এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। অংশগ্রহণকারীরা জানান, এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের দেহ–মন সতেজ রাখে এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়ায়। নারী শিক্ষার্থীরাও জানান, ছেলে–মেয়ের যৌথ অংশগ্রহণ ক্যাম্পাসে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে।

বিজয়ী জাহেদুল হক বলেন, “সহমর্মিতার রাজনীতিই বেশি প্রয়োজন। আয়োজনটি ভালো হলেও দৌড়ের শেষ বিন্দু আগে জানানো থাকলে সুবিধা হতো।”

ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের চরিত্রগঠন, কল্যাণ ও ইতিবাচক চর্চায় সংগঠনটি কাজ করছে। এ ধরনের আয়োজন যুবসমাজকে হতাশা থেকে বের করে স্বাস্থ্যকর কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে সাহায্য করবে।

তবে দৌড়ের সমাপ্তি রেখা ও সময় ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে আয়োজকদের আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন অংশগ্রহণকারীরা।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যস্ফীতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী

নোবিপ্রবিতে ছাত্রশিবিরের ‘রান ফর ইউনিটি’ দৌড়ে ৮০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘রান ফর ইউনিটি’ দৌড় প্রতিযোগিতা। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। ছেলেদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রী অংশ নেওয়ায় অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

প্রতিযোগিতায় ৩০ জনকে মেডেল দেওয়া হয়। প্রথম হন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাহেদুল হক। দৌড়টি বাংলা বাজার এলাকা ঘুরে পুনরায় প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়। অংশগ্রহণকারীদের জন্য টি–শার্ট, পানি ও গ্লুকোজ সরবরাহ করা হয়।

শুরু আগে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে ফটক এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। অংশগ্রহণকারীরা জানান, এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের দেহ–মন সতেজ রাখে এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়ায়। নারী শিক্ষার্থীরাও জানান, ছেলে–মেয়ের যৌথ অংশগ্রহণ ক্যাম্পাসে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে।

বিজয়ী জাহেদুল হক বলেন, “সহমর্মিতার রাজনীতিই বেশি প্রয়োজন। আয়োজনটি ভালো হলেও দৌড়ের শেষ বিন্দু আগে জানানো থাকলে সুবিধা হতো।”

ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের চরিত্রগঠন, কল্যাণ ও ইতিবাচক চর্চায় সংগঠনটি কাজ করছে। এ ধরনের আয়োজন যুবসমাজকে হতাশা থেকে বের করে স্বাস্থ্যকর কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে সাহায্য করবে।

তবে দৌড়ের সমাপ্তি রেখা ও সময় ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে আয়োজকদের আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন অংশগ্রহণকারীরা।

এমআর/সবা