০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামালপুরে এক বছরে ৬০টি ধর্ষণ, ২৫টি খুন: মানবাধিকার দিবসে বক্তাদের ক্ষোভ

জামালপুরে সামাজিক অপরাধ, দুর্নীতি, ঘুষ, মাদক আগ্রাসন ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বক্তারা। তাদের অভিযোগ—সাম্প্রতিক সময়ে খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) জামালপুর শহরের দয়াময়ী চত্বরে জেলা হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক ও স্ক্রিপ্ট প্রজেক্টের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা মানবাধিকার রক্ষাকারী নেটওয়ার্কের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “১৯৭১ সালে বিজয় পেলেও ৫৪ বছরেও শান্তি পাইনি। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না; সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে মানুষ হয়রানির শিকার হয়।”

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর বারবার গণতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, উন্নয়নের নামে হয়েছে ব্যাপক দুর্নীতি। মানুষের করের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, ব্যাংক লুট হয়েছে, দখলবাজির কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জামালপুরের গত এক বছরের অপরাধের চিত্র তুলে ধরে তিনি জানান— জেলায় ৬০টি ধর্ষণ, ২৫টি খুনসহ অসংখ্য অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।
তার মতে, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে; পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনাও বাড়ছে।

জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, “৯০ ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ ভেবেছিল এবার মুক্তি আসবে, শান্তি আসবে—কিন্তু সেটাও আসেনি।”
রাষ্ট্র সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীন দেশের উপযোগী আইন প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন—রাজনীতিক আমির উদ্দিন, প্রভাষক আশরাফুজ্জামান স্বাধীন, মানবাধিকার কর্মী সামসুদ্দিন, স্ক্রিপ্ট প্রকল্পের ব্যবস্থাপক লিটন সরকার, উন্নয়ন সংঘের মনিটরিং অফিসার রেজাউল করিম, তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি কিরনমালা ও গৃহকর্মী জাকিলা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মানবাধিকার কর্মী মুর্শেদ ইকবাল।

মানববন্ধন সফল করতে সহযোগিতা করে—উন্নয়ন সংঘ, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, বিএসআরএমসহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রজ্ঞাপন জারি: নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

জামালপুরে এক বছরে ৬০টি ধর্ষণ, ২৫টি খুন: মানবাধিকার দিবসে বক্তাদের ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

জামালপুরে সামাজিক অপরাধ, দুর্নীতি, ঘুষ, মাদক আগ্রাসন ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বক্তারা। তাদের অভিযোগ—সাম্প্রতিক সময়ে খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) জামালপুর শহরের দয়াময়ী চত্বরে জেলা হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক ও স্ক্রিপ্ট প্রজেক্টের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা মানবাধিকার রক্ষাকারী নেটওয়ার্কের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “১৯৭১ সালে বিজয় পেলেও ৫৪ বছরেও শান্তি পাইনি। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না; সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে মানুষ হয়রানির শিকার হয়।”

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর বারবার গণতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, উন্নয়নের নামে হয়েছে ব্যাপক দুর্নীতি। মানুষের করের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, ব্যাংক লুট হয়েছে, দখলবাজির কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জামালপুরের গত এক বছরের অপরাধের চিত্র তুলে ধরে তিনি জানান— জেলায় ৬০টি ধর্ষণ, ২৫টি খুনসহ অসংখ্য অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।
তার মতে, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে; পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনাও বাড়ছে।

জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, “৯০ ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ ভেবেছিল এবার মুক্তি আসবে, শান্তি আসবে—কিন্তু সেটাও আসেনি।”
রাষ্ট্র সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীন দেশের উপযোগী আইন প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন—রাজনীতিক আমির উদ্দিন, প্রভাষক আশরাফুজ্জামান স্বাধীন, মানবাধিকার কর্মী সামসুদ্দিন, স্ক্রিপ্ট প্রকল্পের ব্যবস্থাপক লিটন সরকার, উন্নয়ন সংঘের মনিটরিং অফিসার রেজাউল করিম, তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি কিরনমালা ও গৃহকর্মী জাকিলা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মানবাধিকার কর্মী মুর্শেদ ইকবাল।

মানববন্ধন সফল করতে সহযোগিতা করে—উন্নয়ন সংঘ, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, বিএসআরএমসহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন।

এমআর/সবা