০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দীঘিনালায় প্রকৃতি-ভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তি পরিদর্শন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সরকারি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও পার্বত্য জেলা পরিষদের স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে কৃষি প্রযুক্তি পরিদর্শন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার বাস্তবায়নে কমিউনিটি লার্নিং সেন্টারে (সিএলসি) এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এটি ‘Promoting Ecosystem-based Solutions for Enabling Resilience in Chittagong Hill Tracts’ প্রকল্পের আওতায় বড়াদম ও বাচামেরুং এলাকার স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে পরিচালিত হয়।

পরিদর্শন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যক্রমে অংশ নেন খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি উপপরিচালক মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত উপপরিচালক ওষ্কর বিশ্বাস, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি ইনস্টিটিউট (বিনা) খাগড়াছড়ি উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রিজ্ঞান গুপ্ত ও অং সিংহলা মারমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মালেক ও সৌরভ মারমা, দীঘিনালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সুমনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

 

এ সময় সরকারি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার বাস্তবায়িত বিষমুক্ত শাকসবজি চাষাবাদ, বেডভিত্তিক ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনসহ বিভিন্ন প্রকৃতি-ভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

আয়োজকরা জানান, বন উজাড়, মাটির ক্ষয়, পুষ্টি উপাদানের অবক্ষয়, জনসংখ্যার চাপ ও টেকসই নয় এমন ভূমি ব্যবহারের ফলে জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বৃদ্ধিই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

এ ধরনের উদ্যোগ কৃষি-পরিবেশবান্ধব পদ্ধতির কার্যকারিতা তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করবে এবং ভবিষ্যতে বৃহত্তর পরিসরে এসব প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ঐতিহাসিক নিদর্শন

দীঘিনালায় প্রকৃতি-ভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তি পরিদর্শন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়

আপডেট সময় : ০৬:০০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সরকারি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও পার্বত্য জেলা পরিষদের স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে কৃষি প্রযুক্তি পরিদর্শন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার বাস্তবায়নে কমিউনিটি লার্নিং সেন্টারে (সিএলসি) এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এটি ‘Promoting Ecosystem-based Solutions for Enabling Resilience in Chittagong Hill Tracts’ প্রকল্পের আওতায় বড়াদম ও বাচামেরুং এলাকার স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে পরিচালিত হয়।

পরিদর্শন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যক্রমে অংশ নেন খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি উপপরিচালক মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত উপপরিচালক ওষ্কর বিশ্বাস, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি ইনস্টিটিউট (বিনা) খাগড়াছড়ি উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রিজ্ঞান গুপ্ত ও অং সিংহলা মারমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মালেক ও সৌরভ মারমা, দীঘিনালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সুমনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

 

এ সময় সরকারি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার বাস্তবায়িত বিষমুক্ত শাকসবজি চাষাবাদ, বেডভিত্তিক ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনসহ বিভিন্ন প্রকৃতি-ভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

আয়োজকরা জানান, বন উজাড়, মাটির ক্ষয়, পুষ্টি উপাদানের অবক্ষয়, জনসংখ্যার চাপ ও টেকসই নয় এমন ভূমি ব্যবহারের ফলে জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বৃদ্ধিই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

এ ধরনের উদ্যোগ কৃষি-পরিবেশবান্ধব পদ্ধতির কার্যকারিতা তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করবে এবং ভবিষ্যতে বৃহত্তর পরিসরে এসব প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এমআর/সবা