০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চবিতে ছাত্রশিবির-ছাত্রদল-বাম সংগঠনের পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও স্লোগান

চবি প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে অবস্থান ও স্লোগান

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার ঘটনায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও স্লোগানের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও আশপাশে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।

ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা, আর প্রশাসনিক ভবনের দুই পাশে অবস্থান নেন ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুপক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা দপ্তরের সদস্যরা।

ছাত্রশিবিরের মিছিল থেকে ‘চাঁদা চাঁদা করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না’, ‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা কর, চাঁদাবাজি ছাড় দে’, ‘ভারতের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। অন্যদিকে ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের কর্মীরা ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘বাঁচতে হলে, লড়তে হবে—এই লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘তোমার দেশ, আমার দেশ—বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘রাজাকারের চামড়া তুলে ফেলবো আমরা’ এবং ‘রাজাকার ও পাকিস্তানের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’সহ নানা স্লোগান দেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানান চাকসুর সহসভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি। তিনি বলেন, “প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তালার কারণে সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে। যাদের কোনো দাবি বা সমস্যা আছে, তারা আমাদের জানান, আমরা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরবো। দ্রুত তালা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাই।”

উল্লেখ্য, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের’ ব্যানারে তালা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীরসহ বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

চবিতে ছাত্রশিবির-ছাত্রদল-বাম সংগঠনের পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও স্লোগান

আপডেট সময় : ০৮:২৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার ঘটনায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও স্লোগানের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও আশপাশে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।

ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা, আর প্রশাসনিক ভবনের দুই পাশে অবস্থান নেন ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুপক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা দপ্তরের সদস্যরা।

ছাত্রশিবিরের মিছিল থেকে ‘চাঁদা চাঁদা করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না’, ‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা কর, চাঁদাবাজি ছাড় দে’, ‘ভারতের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। অন্যদিকে ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের কর্মীরা ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘বাঁচতে হলে, লড়তে হবে—এই লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘তোমার দেশ, আমার দেশ—বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘রাজাকারের চামড়া তুলে ফেলবো আমরা’ এবং ‘রাজাকার ও পাকিস্তানের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’সহ নানা স্লোগান দেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানান চাকসুর সহসভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি। তিনি বলেন, “প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তালার কারণে সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে। যাদের কোনো দাবি বা সমস্যা আছে, তারা আমাদের জানান, আমরা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরবো। দ্রুত তালা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাই।”

উল্লেখ্য, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের’ ব্যানারে তালা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীরসহ বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এমআর/সবা