০৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভকারীদের জন্য কলা-পাউরুটি নিয়ে শাহবাগে ছুটলেন গৃহিণী রাশিদা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গতরাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালেও রাজধানীর শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন ছাত্র-জনতা। এই বিক্ষোভকারীদের জন্য নিজ উদ্যোগে খাবার নিয়ে শাহবাগে ছুটে যান রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসিন্দা গৃহিণী রাশিদা রহমান।

নিজের জমানো টাকা দিয়ে কলা, পাউরুটি, খেজুরসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার কিনে বিক্ষোভকারীদের মাঝে বিতরণের জন্য নিয়ে আসেন তিনি। সকাল ১০টার দিকে শাহবাগে উপস্থিত ৬০ বছর বয়সী রাশিদা রহমান বলেন, “আমার সন্তানতুল্য একটা ছেলে মারা গেছে। সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। ওর মুখটাই চোখের সামনে ভাসছিল। সকালে উঠে নিজের জমানো টাকা দিয়ে খাবার কিনে এখানে চলে এসেছি। যারা প্রতিবাদ করছে, তাদের মাঝেই খাবারগুলো বিতরণ করবো।”

 

এদিকে শাহবাগ এলাকায় বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে থাকেন। কারও হাতে পতাকা, কারও মুখে স্লোগান। ‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—এমন নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগ।

শনির আখড়া থেকে এসে বিক্ষোভে যোগ দেওয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আশফাকুর রহমান বলেন, “আমরা একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিককে হারিয়েছি। রাতে ঘুমাতে পারিনি। প্রতিবাদ জানাতেই সকালে এখানে চলে এসেছি। ওসমান হাদির মতো সাহসী মানুষকে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

২৫ ডিসেম্বর শাহজালালে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে যাত্রীদের পৌঁছানোর অনুরোধ

বিক্ষোভকারীদের জন্য কলা-পাউরুটি নিয়ে শাহবাগে ছুটলেন গৃহিণী রাশিদা

আপডেট সময় : ১২:০৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গতরাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালেও রাজধানীর শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন ছাত্র-জনতা। এই বিক্ষোভকারীদের জন্য নিজ উদ্যোগে খাবার নিয়ে শাহবাগে ছুটে যান রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসিন্দা গৃহিণী রাশিদা রহমান।

নিজের জমানো টাকা দিয়ে কলা, পাউরুটি, খেজুরসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার কিনে বিক্ষোভকারীদের মাঝে বিতরণের জন্য নিয়ে আসেন তিনি। সকাল ১০টার দিকে শাহবাগে উপস্থিত ৬০ বছর বয়সী রাশিদা রহমান বলেন, “আমার সন্তানতুল্য একটা ছেলে মারা গেছে। সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। ওর মুখটাই চোখের সামনে ভাসছিল। সকালে উঠে নিজের জমানো টাকা দিয়ে খাবার কিনে এখানে চলে এসেছি। যারা প্রতিবাদ করছে, তাদের মাঝেই খাবারগুলো বিতরণ করবো।”

 

এদিকে শাহবাগ এলাকায় বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে থাকেন। কারও হাতে পতাকা, কারও মুখে স্লোগান। ‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—এমন নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগ।

শনির আখড়া থেকে এসে বিক্ষোভে যোগ দেওয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আশফাকুর রহমান বলেন, “আমরা একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিককে হারিয়েছি। রাতে ঘুমাতে পারিনি। প্রতিবাদ জানাতেই সকালে এখানে চলে এসেছি। ওসমান হাদির মতো সাহসী মানুষকে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

এমআর/সবা