১২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেনেটিকার ছত্রাক নাশক কীটনাশকে ১ একর জমির ফুলকপি বিনষ্ট

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ধাপেরহাট আলীনগর এলাকায় জেনেটিকা কোম্পানির ছত্রাক নাশক কীটনাশক ঔষুধ প্রয়োগের ফলে চাষি শফিকুল ইসলামের ১ একর জমির ফুলকপি বিনষ্ট হয়েছে। ফলে ওই এলাকার কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে। গত ২৩ অক্টোব্বর রবিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার আলীনগর গ্রামের ঐ কৃষকের জমিতে থাকা সকল ফুলকপির পাতা পুড়িয়ে গাছের পাতা মুটিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ ফুলকপি চাষি আলীনগর গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির কারনে আমরা কালসার ডারা বাজারের হৃদয় ট্রেডার্স থেকে জেনেটিকা কোম্পানির এগবেন ৫০ শতাংশ এফ নামের বালাই নাশক ঔষুধ নিয়ে ফসলের ক্ষেতে স্পে করি ১০০ শতাংশ জমিতে ওষুধ স্প্রে করার ২/৩ দিন পর থেকে ফুলকপির চারাগুলো হুলুদ হয়ে মাথা নুইয়ে পুরিয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া শুরু করে। ঘটনাটি হৃদয় টেডার্সের মালিক রেজ্জাকুল ইসলামকে জানানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে হৃদয় ট্রেডার্সের মালিক রেজ্জাকুল ইসলাম তার নিজ জমিতেও চাষকৃত ফুলকপির খেতে ওই বালাইন নাশক ওষুধ স্প্রে করলে তারো একই পরিণতি হয়। ব্যবসায়ী রেজ্জাকুল ঘটনাটি উপজেলা কৃষি অফিসে অবগত করলে ২৩ অক্টোবর বিকেলে সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ব্যস্ত থাকায় তার পক্ষ থেকে আখতারাজ্জামান,শাহজাহান সহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন ব্যবসায়ী রেজ্জাকুলের দোকানে আসেন এবং জেনেটিকা কম্পানির ঔষধের নমুনা সংগ্রহ করেন। এসময় রেজ্জাকুল তার নিজের জমিসহ অত্র এলাকার সকল কৃষকদের জেনেটিকা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরন দাবি করেন। হাজার হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদন করা ফসল বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ এ ফুলকপি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রি করা হতো। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে জেনেটিকা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরন দাবি করছি। এ বিষয়ে হৃদয় ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী রেজ্জাকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনেটিক কোম্পানির মার্কেটিং অফিসারকে জানানোর পর গত ১৫ অক্টোব্বর কোম্পানিটির মার্কেটিং অফিসার অদিন সরকার কালসার ডারা বাজারে এলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তার কাছে থেকে ক্ষতিপুরন দাবি করেন। এ সময় মার্কেটিং অফিসার কৃষদেরক ক্ষতিপূরনের আশ্বাস প্রদান করে মুচলেকা দিয়ে চলে যা। এ পর্যন্ত কোম্পানির কোন লোকজন তার সাথে যোগাযোগ করে নাই। ব্যবসায়ী রেজ্জাকুলের দোকানে উপস্থিত থাকা উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষে আখতারাজ্জামান,শাহজাহান মিয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা মতামত দিতে অস্বীকার করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে বাড়ছে রোগ-বালাই

জেনেটিকার ছত্রাক নাশক কীটনাশকে ১ একর জমির ফুলকপি বিনষ্ট

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ধাপেরহাট আলীনগর এলাকায় জেনেটিকা কোম্পানির ছত্রাক নাশক কীটনাশক ঔষুধ প্রয়োগের ফলে চাষি শফিকুল ইসলামের ১ একর জমির ফুলকপি বিনষ্ট হয়েছে। ফলে ওই এলাকার কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে। গত ২৩ অক্টোব্বর রবিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার আলীনগর গ্রামের ঐ কৃষকের জমিতে থাকা সকল ফুলকপির পাতা পুড়িয়ে গাছের পাতা মুটিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ ফুলকপি চাষি আলীনগর গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির কারনে আমরা কালসার ডারা বাজারের হৃদয় ট্রেডার্স থেকে জেনেটিকা কোম্পানির এগবেন ৫০ শতাংশ এফ নামের বালাই নাশক ঔষুধ নিয়ে ফসলের ক্ষেতে স্পে করি ১০০ শতাংশ জমিতে ওষুধ স্প্রে করার ২/৩ দিন পর থেকে ফুলকপির চারাগুলো হুলুদ হয়ে মাথা নুইয়ে পুরিয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া শুরু করে। ঘটনাটি হৃদয় টেডার্সের মালিক রেজ্জাকুল ইসলামকে জানানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে হৃদয় ট্রেডার্সের মালিক রেজ্জাকুল ইসলাম তার নিজ জমিতেও চাষকৃত ফুলকপির খেতে ওই বালাইন নাশক ওষুধ স্প্রে করলে তারো একই পরিণতি হয়। ব্যবসায়ী রেজ্জাকুল ঘটনাটি উপজেলা কৃষি অফিসে অবগত করলে ২৩ অক্টোবর বিকেলে সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ব্যস্ত থাকায় তার পক্ষ থেকে আখতারাজ্জামান,শাহজাহান সহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন ব্যবসায়ী রেজ্জাকুলের দোকানে আসেন এবং জেনেটিকা কম্পানির ঔষধের নমুনা সংগ্রহ করেন। এসময় রেজ্জাকুল তার নিজের জমিসহ অত্র এলাকার সকল কৃষকদের জেনেটিকা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরন দাবি করেন। হাজার হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদন করা ফসল বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ এ ফুলকপি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রি করা হতো। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে জেনেটিকা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরন দাবি করছি। এ বিষয়ে হৃদয় ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী রেজ্জাকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনেটিক কোম্পানির মার্কেটিং অফিসারকে জানানোর পর গত ১৫ অক্টোব্বর কোম্পানিটির মার্কেটিং অফিসার অদিন সরকার কালসার ডারা বাজারে এলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তার কাছে থেকে ক্ষতিপুরন দাবি করেন। এ সময় মার্কেটিং অফিসার কৃষদেরক ক্ষতিপূরনের আশ্বাস প্রদান করে মুচলেকা দিয়ে চলে যা। এ পর্যন্ত কোম্পানির কোন লোকজন তার সাথে যোগাযোগ করে নাই। ব্যবসায়ী রেজ্জাকুলের দোকানে উপস্থিত থাকা উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষে আখতারাজ্জামান,শাহজাহান মিয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা মতামত দিতে অস্বীকার করেন।