০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২২৫ বছরের পুরনো তিস্তা রেলওয়ে সেতু দিয়ে চলছে ট্রেন

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • 162

মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ,লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে সোয়া ২শ বছর আগে নির্মান করা পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ তিস্তা রেলওয়ে সেতু দিয়ে এখনো চলাচল করছে ট্রেন।যে কোন সময়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা সংঘটিত শঙ্কা এই অন্চলের মানুষের।তারা বলছেন কতৃপক্ষের যথাসময়ে পদক্ষেপ না নিলে দুর্ঘটনায় স্বজন হারানোদের কান্না থামাবে কে? ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় সহ বিভিন্ন সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই রেল সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা দেয়া হলেও সাড়া মেলেনি সংশিলিষ্ঠ উর্ধতন কতৃপক্ষের। তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ।

১৮৯৯ সালের নির্মিত এই তিস্তা রেলসেতু ব্যবহার করে প্রতিদিন তিস্তা নদী পার হয় ১৪টি ট্রেন। ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের ১৩ স্প্যানের ১৯৫০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয় মুক্তিযুদ্ধের সময়।

দেশ স্বাধীন হবার পর যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকি সেনাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর অংশ বিশেষ মেরামত করে রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়। রেল সেতু হলেও ১৯৭৮ সাল থেকে সড়ক সেতু হিসেবেও ব্যবহার শুরু হয়।উত্তর জনপদের লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার লাখ লাখ মানুষকে রেলে পাড়ি দিতে হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়েই।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে থাকা এই রেল সেতুটি লালমনিরহাট সদর উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের তিস্তা এলাকায় তিস্তা নদীর উপর নির্মিত।

প্রতক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের মধ্যে মোঃ মজনু সরকার সবুজ বাংলা পত্রিকাকে জানান ওই সেতুর উপর দিয়ে,ট্রেন চলার সময় ঝুঁকিপুন্ন গার্ডারে নড়বড়ে অবস্থা ও অতিমাত্রায় কম্পন অনুভুত হয়।
গোকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার টোটন জানান,আমাকে এলাকার মানুষ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন তাদের নাগরিক অধিকার সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্যে।রেলওয়ের এই সেতুটিও তার বাইরে নয়।যে কোম সময়ে বড়ধরনের দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় আশংকা বিরাজমান।যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় হতাহতের শঙ্কায় রয়েছি আমরা।তিনি আরো বলেন বিষয়টি খুবই জনগুরুত্বপুন্ন,সেকারনে ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে যতদ্রত সম্ভব কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার আব্দুস সালাম সবুজ বাংলা পত্রিকাকে জানান,ঝুঁকি বিবেচনায় একই স্থানে নতুন করে একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদন ও নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করা হবে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের শঙ্কায় শীর্ষমহলে দীর্ঘ সময় সাড়া না মিললেও সল্প সময়ে মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।

ঝুুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধানে সেতু বিভাগ ২০১২ সালে ওই রেল সেতিটি পাশেই পুর্বপ্রান্তে নতুন একটি সড়ক সেতু চালু করলেও রেলসেতুটি আর নতুন করে নির্মাণ বা বড় ধরনের কোন সংস্কার হয়নি। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনায় আশংকা,উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বেড়েই চলছে ওই সেতু ঘিরে ট্রেনের যাত্রী সহ সচেতন মহলের।

জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে ভিপি বাহাদুরের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

২২৫ বছরের পুরনো তিস্তা রেলওয়ে সেতু দিয়ে চলছে ট্রেন

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ,লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে সোয়া ২শ বছর আগে নির্মান করা পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ তিস্তা রেলওয়ে সেতু দিয়ে এখনো চলাচল করছে ট্রেন।যে কোন সময়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা সংঘটিত শঙ্কা এই অন্চলের মানুষের।তারা বলছেন কতৃপক্ষের যথাসময়ে পদক্ষেপ না নিলে দুর্ঘটনায় স্বজন হারানোদের কান্না থামাবে কে? ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় সহ বিভিন্ন সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই রেল সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা দেয়া হলেও সাড়া মেলেনি সংশিলিষ্ঠ উর্ধতন কতৃপক্ষের। তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ।

১৮৯৯ সালের নির্মিত এই তিস্তা রেলসেতু ব্যবহার করে প্রতিদিন তিস্তা নদী পার হয় ১৪টি ট্রেন। ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের ১৩ স্প্যানের ১৯৫০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয় মুক্তিযুদ্ধের সময়।

দেশ স্বাধীন হবার পর যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকি সেনাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর অংশ বিশেষ মেরামত করে রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়। রেল সেতু হলেও ১৯৭৮ সাল থেকে সড়ক সেতু হিসেবেও ব্যবহার শুরু হয়।উত্তর জনপদের লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার লাখ লাখ মানুষকে রেলে পাড়ি দিতে হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়েই।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে থাকা এই রেল সেতুটি লালমনিরহাট সদর উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের তিস্তা এলাকায় তিস্তা নদীর উপর নির্মিত।

প্রতক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের মধ্যে মোঃ মজনু সরকার সবুজ বাংলা পত্রিকাকে জানান ওই সেতুর উপর দিয়ে,ট্রেন চলার সময় ঝুঁকিপুন্ন গার্ডারে নড়বড়ে অবস্থা ও অতিমাত্রায় কম্পন অনুভুত হয়।
গোকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার টোটন জানান,আমাকে এলাকার মানুষ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন তাদের নাগরিক অধিকার সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্যে।রেলওয়ের এই সেতুটিও তার বাইরে নয়।যে কোম সময়ে বড়ধরনের দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় আশংকা বিরাজমান।যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় হতাহতের শঙ্কায় রয়েছি আমরা।তিনি আরো বলেন বিষয়টি খুবই জনগুরুত্বপুন্ন,সেকারনে ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে যতদ্রত সম্ভব কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার আব্দুস সালাম সবুজ বাংলা পত্রিকাকে জানান,ঝুঁকি বিবেচনায় একই স্থানে নতুন করে একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদন ও নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করা হবে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের শঙ্কায় শীর্ষমহলে দীর্ঘ সময় সাড়া না মিললেও সল্প সময়ে মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।

ঝুুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধানে সেতু বিভাগ ২০১২ সালে ওই রেল সেতিটি পাশেই পুর্বপ্রান্তে নতুন একটি সড়ক সেতু চালু করলেও রেলসেতুটি আর নতুন করে নির্মাণ বা বড় ধরনের কোন সংস্কার হয়নি। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনায় আশংকা,উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বেড়েই চলছে ওই সেতু ঘিরে ট্রেনের যাত্রী সহ সচেতন মহলের।