টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
বিএনপি-জামাতের হরতাল কর্মসূচির পর এবার তিনদিন ব্যাপি সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলে ঢিলেঢালাভাবে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচী চলছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভোর থেকে অবরোধ শুরু হয়েছে। এরফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। উপজেলা-জেলা শহর এলাকাতে অবরোধের প্রভাব দেখা না গেলেও যমুনার নদীপথে যাতায়াতে কম সংখ্যক নৌ-যান চলাচল করতে দেখা যায়।
দেখা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী ফেরিঘাট, গোপালপুর উপজেলার নলিন বাজার নৌকা ঘাট, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গরিলাবাড়ী পাথরঘাট এলাকায় সারি সারি ছোট-বড় অসংখ্য নৌকা ঘাটে দেখা যায়। অবরোধ আতঙ্কে এসব ঘাটপাড়ে সকাল থেকে জরুরি প্রয়োজনেও কোনো নৌকা চরাঞ্চলে ছেড়ে যায়নি। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরাঞ্চলে যেতে কষ্ট পোঁহাতে হয়।
নলিন বাজারের নৌকার মাঝি শিপনসহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি-জামাতের ডাকা অবরোধের কারণে যমুনা নদী চরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে কম সংখ্যক পরিমাণ নৌকা চলাচল করছে। এতে করে নদীপথের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবুও আতঙ্কের মধ্যে নদীপথে কিছু কিছু নৌকা চলাচল করছে।
গোবিন্দাসী ঘাটে মালামাল পরিবহনকারী কালিপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, হরতালের দিনেও নৌকা চলাচল করছে। কিন্তু অবরোধের কারণে ভোর থেকে নৌকা চলাচল করছে অনেক কম। ফলে মালামাল পরিবহন কমে গেছে। নৌকা চালকদের নেই কোনো হাঁক-ডাক। থমথম ও নিরবতায় কাটছে দিন।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন,অবরোধের কারণে এ উপজেলায় সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথে পরিবহন যাতায়াতে এখন পর্যন্ত কোন বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। তাছাড়া নৌ-যান চলাচলেও কোন প্রভাব পড়ছে না। প্রতিদিনের ন্যায় স্বাভাবিকের মতো সকল ধরণের যানবাহন চলাচল করছে। তবুও যমুনার নদীপথে নৌ-যান যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে লক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।






















