০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইকনিক রেলস্টেশনে কী আছে

 সমুদ্রসৈকতের নিকটবর্তী ঝিলংজা  চান্দের পাড়ায় নির্মিত হয়েছে ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ছয়তলাবিশিষ্ট আইকনিক রেলস্টেশন। ২৯ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুটের রেলস্টেশনটি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। রাত পোহালে  (শনিবার) বেলা ১১টার দিকে রেলস্টেশন এবং দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন এই রেলস্টেশনে থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্ন কেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সুবিধা। দৈনিক ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত আইকনিক রেলস্টেশনে আরও আছে ডাকঘর, কনভেনশন সেন্টার, তথ্যকেন্দ্র, এটিএম বুথ ও প্রার্থনার স্থান।
 বৃহস্পতিবার বিকেলে রেলস্টেশনটি পরিদর্শন করেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রেল চলাচলের জন্য এ স্টেশন ও রেলপথ প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ ও রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেললাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সবুক্তগীন।
রেলস্টেশন ও দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপভোগ করতে কক্সবাজারবাসী অধীর আগ্রহে আছেন। এই রেললাইন ও স্টেশন তাঁদের কাছে শত বছরের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। স্থানীয় লোকজন মনে করেন, রেল যোগাযোগ স্থাপনের পর কক্সবাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ পর্যটনের নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটবে।
কক্সবাজার জেলা  প্রেসক্লাবেরন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজারে ট্রেন আসবে, এটা ছিল স্বপ্ন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছায় সেই কল্পনা-স্বপ্ন দুটোই এখন বাস্তবতা। রেল চালুর পর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কপথে মানুষের চাপ, দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা কমে আসবে।’
১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রকল্পটি। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করছে। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণে খরচ হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা।
জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

আইকনিক রেলস্টেশনে কী আছে

আপডেট সময় : ০১:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
 সমুদ্রসৈকতের নিকটবর্তী ঝিলংজা  চান্দের পাড়ায় নির্মিত হয়েছে ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ছয়তলাবিশিষ্ট আইকনিক রেলস্টেশন। ২৯ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুটের রেলস্টেশনটি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। রাত পোহালে  (শনিবার) বেলা ১১টার দিকে রেলস্টেশন এবং দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন এই রেলস্টেশনে থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্ন কেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সুবিধা। দৈনিক ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত আইকনিক রেলস্টেশনে আরও আছে ডাকঘর, কনভেনশন সেন্টার, তথ্যকেন্দ্র, এটিএম বুথ ও প্রার্থনার স্থান।
 বৃহস্পতিবার বিকেলে রেলস্টেশনটি পরিদর্শন করেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রেল চলাচলের জন্য এ স্টেশন ও রেলপথ প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ ও রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেললাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সবুক্তগীন।
রেলস্টেশন ও দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপভোগ করতে কক্সবাজারবাসী অধীর আগ্রহে আছেন। এই রেললাইন ও স্টেশন তাঁদের কাছে শত বছরের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। স্থানীয় লোকজন মনে করেন, রেল যোগাযোগ স্থাপনের পর কক্সবাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ পর্যটনের নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটবে।
কক্সবাজার জেলা  প্রেসক্লাবেরন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজারে ট্রেন আসবে, এটা ছিল স্বপ্ন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছায় সেই কল্পনা-স্বপ্ন দুটোই এখন বাস্তবতা। রেল চালুর পর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কপথে মানুষের চাপ, দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা কমে আসবে।’
১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রকল্পটি। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করছে। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণে খরচ হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা।