০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চবির ৫৮তম দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মোঃ শামীম হোসাইন, চবি 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৮তম দিবস উপলক্ষ্যে সোস্যাল সাইন্স অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম নুর আহমদ এর সভাপতিত্বে, পার্থ প্রতীম মহাজন ও মন চাকমা এর সঞ্চালনায় সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় প্রোগ্রাম শুরু হয়।

প্রোগ্রামের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেণু কুমার দে। প্রোগ্রামে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড.আব্দুল করিম ও বিশিষ্ট স্থপতি ও প্রাক্তন অধ্যাপক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর শামসুল ওয়ারেস।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নুরুল আজিম শিকদার।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন সভাপতি প্রফেসর ড.আব্দুল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হলো মানবতার কেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান প্রসারের কেন্দ্র এবং মুক্ত চিন্তার জায়গায়। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পার্থক্য শিকায় দীনত্য ও মহানুভবতা বাকস্বাধীনতা ও বাগরুদ্ধ শিকায় মানবিকতা ও পাশবিকতা এবং কমনসেন্স ও ননসেন্স, সার্থপরতা পরার্থতা শিকায় বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন

বার্নাড রাসেলের মতে University is a factory of knowledge. বক্তব্যের এক পর্যায় তিনি আরও বলেন আমাদের রিসার্চজের মান উন্নত করতে হবে। আমরা উন্নত মানের রিসার্চের করতে না পারলে জাতি তার গতি হারিয়ে ফেলবে। মানব চক্ষু খোলে আপনারা উন্নত মানের রিসার্চ করেন।জাতির জন্য কিছু করেন।

বিশিষ্ট স্থপতি ও প্রাক্তন অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রফেসর শামসুল ওয়ারেস বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনার নকশা আকঁলেন
মাজহারুল ইসলাম আমি তাহার  সঙ্গে ছিলাম। এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশে বিদেশে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাত্মক মঙ্গল কামনা করি।

উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেণু কুমার দে
বলেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এখান থেকে আমার কর্মজীবন শুরু। আজ আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য। আমাকে উপ-উপাচার্য হতে যারা সহযোগিতা করেছিলেন ( মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী) উনাদের কাছে আমি চির ঋণি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ইউনিভার্সিটির এলামনাই এসোসিয়েশনের কাছে বলি আপনারা আমাদের ইউনিভার্সিটি কল্যাণে কাজ করবেন। আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন। যাতে করে আমাদের চিটাগং ইউনিভার্সিটি প্রাচ্যের হার্বার্ট বিশ্ববিদ্যালয় মতো হতে পারে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার অনুষ্ঠানে বলেন, শুভ জন্মদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। আজ আমাদের জন্য আনন্দের দিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৫৭ ফেরিয়ে ৫৮ বছরে পদার্পণ করে। আমি এখানের ছাত্রী ছিলাম। আমি আমার ছাত্রী জীবণ এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ক্যাম্পাসে অতিবাহিত করেছি। আমি আমার কর্মজীবন এখান থেকে শুরু করে আমি উপ- উপাচার্য ও উপাচার্য হয়েছি। আমাদের এই বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর ৬৯টি সমৃদ্ধি মূলক গবেষণার কাজ সম্পূর্ণ করেছি। আমরা ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও ইউনিভার্সিটির উন্নয়নের জন্য যা করা দরকার সকল পদক্ষেপ নিব।

আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রাম শেষ করে বিকাল ৩.৩০ থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে খুব মনোরম করে তোলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমাপ্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

চবির ৫৮তম দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আপডেট সময় : ১০:১৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

মোঃ শামীম হোসাইন, চবি 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৮তম দিবস উপলক্ষ্যে সোস্যাল সাইন্স অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম নুর আহমদ এর সভাপতিত্বে, পার্থ প্রতীম মহাজন ও মন চাকমা এর সঞ্চালনায় সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় প্রোগ্রাম শুরু হয়।

প্রোগ্রামের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেণু কুমার দে। প্রোগ্রামে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড.আব্দুল করিম ও বিশিষ্ট স্থপতি ও প্রাক্তন অধ্যাপক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর শামসুল ওয়ারেস।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নুরুল আজিম শিকদার।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন সভাপতি প্রফেসর ড.আব্দুল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হলো মানবতার কেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান প্রসারের কেন্দ্র এবং মুক্ত চিন্তার জায়গায়। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পার্থক্য শিকায় দীনত্য ও মহানুভবতা বাকস্বাধীনতা ও বাগরুদ্ধ শিকায় মানবিকতা ও পাশবিকতা এবং কমনসেন্স ও ননসেন্স, সার্থপরতা পরার্থতা শিকায় বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন

বার্নাড রাসেলের মতে University is a factory of knowledge. বক্তব্যের এক পর্যায় তিনি আরও বলেন আমাদের রিসার্চজের মান উন্নত করতে হবে। আমরা উন্নত মানের রিসার্চের করতে না পারলে জাতি তার গতি হারিয়ে ফেলবে। মানব চক্ষু খোলে আপনারা উন্নত মানের রিসার্চ করেন।জাতির জন্য কিছু করেন।

বিশিষ্ট স্থপতি ও প্রাক্তন অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রফেসর শামসুল ওয়ারেস বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনার নকশা আকঁলেন
মাজহারুল ইসলাম আমি তাহার  সঙ্গে ছিলাম। এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশে বিদেশে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাত্মক মঙ্গল কামনা করি।

উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেণু কুমার দে
বলেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এখান থেকে আমার কর্মজীবন শুরু। আজ আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য। আমাকে উপ-উপাচার্য হতে যারা সহযোগিতা করেছিলেন ( মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী) উনাদের কাছে আমি চির ঋণি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ইউনিভার্সিটির এলামনাই এসোসিয়েশনের কাছে বলি আপনারা আমাদের ইউনিভার্সিটি কল্যাণে কাজ করবেন। আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন। যাতে করে আমাদের চিটাগং ইউনিভার্সিটি প্রাচ্যের হার্বার্ট বিশ্ববিদ্যালয় মতো হতে পারে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার অনুষ্ঠানে বলেন, শুভ জন্মদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। আজ আমাদের জন্য আনন্দের দিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৫৭ ফেরিয়ে ৫৮ বছরে পদার্পণ করে। আমি এখানের ছাত্রী ছিলাম। আমি আমার ছাত্রী জীবণ এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ক্যাম্পাসে অতিবাহিত করেছি। আমি আমার কর্মজীবন এখান থেকে শুরু করে আমি উপ- উপাচার্য ও উপাচার্য হয়েছি। আমাদের এই বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর ৬৯টি সমৃদ্ধি মূলক গবেষণার কাজ সম্পূর্ণ করেছি। আমরা ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও ইউনিভার্সিটির উন্নয়নের জন্য যা করা দরকার সকল পদক্ষেপ নিব।

আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রাম শেষ করে বিকাল ৩.৩০ থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে খুব মনোরম করে তোলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমাপ্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।