রকীবুল হক
- নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা জাতীয় পার্টির
- কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে নির্বাচনে যাবে যুক্তফ্রন্ট
- আগ্রহী দলকে সুযোগ দিতে পেছাতে পারে তফসিল
- সৈয়দ ইবরাহিমকে বেঈমান বলল ১২ দলীয় জোট
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় রাজনীতিতে নতুন মোড় নিয়েছে। কারণ তফসিলের পরপরই দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রিসহ নানা প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট শরিকসহ বিভিন্ন দল। তবে এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো অবস্থানে রয়েছে বিএনপি ও সমমনারা। তারা ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে একদফা দাবিতে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে ব্যস্ত মাঠে।
তবে কয়েক দিনের মাথায় গতকাল বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণায় পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। একইদিন কিছুটা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া বিএনপি ঘরানার আরো কিছু দল বা ব্যক্তি তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আর এ সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশন থেকেও তফসিল পেছানোর আভাস দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে কোন বাধা বা অংশগ্রহণ ছাড়াই যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হওয়ায় বিএনপি ও তাদের শরিকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন।
যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো দাবি করা হচ্ছে যে, তাদের বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সরকার দাবি না মানলে তারা এই নির্বাচনে অংশ নেবে না, নির্বাচন হতেও দেবে না। এ ছাড়া বিএনপি ও তাদের সমমনাদের নির্বাচনে আনতে সরকার নানা প্রলোভন ও হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
এ প্রসঙ্গে গতকাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিভিন্ন দল থেকে নেতা কিনতে গরুর হাটের মতো দরদাম চলছে। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারের কিংস পার্টিতে যোগ দিতে দেশপ্রেমিক বহু নেতাকে চাপ-প্রলোভন-ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। ছলে বলে কৌশলে টোপ দিয়ে কাউকে কাউকে বাগানো হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ সব অভিযোগ করেন তিনি।
নির্বাচনে অংশ নেবে ইবরাহিমের ‘যুক্তফ্রন্ট’ : আত্মপ্রকাশের দিনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বাধীন ‘যুক্তফ্রন্ট’।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানান যুক্তফ্রন্টের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ১০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ ৩০ নভেম্বর থেকে পেছানো হতে পারে। ভোটগ্রহণসহ অন্যান্য তারিখও পেছানো হতে পারে বলে জানান সৈয়দ ইবরাহিম।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন বিলম্ব হতে পারে। বড় দল নয়, ছোট দল হলেও নির্বাচনে অংশ নেব।
সরকার ২০২৪ সালের নির্বাচন জাতির সামনে ও আন্তর্জাতিক মহলকে গ্রহণযোগ্য দেখাতে চায় বলে দাবি করেন বিএনপি জোটের সাবেক এ নেতা। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতীতের তুলনায় অধিকতর অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। আশা করছি, বর্তমান সরকার তাদের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সেগুলোর পুনরাবৃত্তি করবে না। ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে তা সরকারের বিপক্ষে যাবে। জনগণের কষ্ট বাড়াবে, আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে। সরকার সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে আরও বেশি সচেষ্ট হবে বলে আশা করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, এতদিন দাবি ছিল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ব্যতীত নির্বাচনে অংশ নেব না। এখন কেন নিচ্ছি? এর উত্তর হচ্ছেÑ দাবি আদায়ে সফল না হয়ে আমাদের সামনে দুটি বিকল্প ছিল। এক চুপ থাকা, দুই নির্বাচনে অংশ নিয়ে যতটুকু সম্ভব অবদান রাখার সুযোগ নেওয়া। আমরা অবদান রাখার সুযোগ নিতে চাই।
এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়ে গেছে উল্লেখ করে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসছে না। আমি চুপ না থেকে যা আছে তার মধ্যে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সংলাপের দরজা কোনো পক্ষই বন্ধ করবেন না আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সংলাপ ছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক মহল থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, দেশীয় নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যেসব প্রস্তাব করেছেন, সেগুলোর ভিত্তিতে সব পক্ষই যেন উদ্যোগ নেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিরোধীদের আন্দোলন দমনে মাত্রাতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করছে, তা বন্ধ করার আহ্বান জানাই।
সৈয়দ ইবরাহিম আরও বলেন, গত ১৬ বছরে যোগ্যতা, সাহস ও আগ্রহ থাকার পরও অনুকূল পরিবেশ না থাকায় সংসদে যেতে পারিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত কারও পছন্দ হবে, কারও পছন্দ হবে না। সমালোচনা থাকবে। দালাল, বিশ্বাসঘাতক, মীর জাফর হয়ে গেছি বলে সমালোচনা হবে। পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে সমালোচনা করবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহ বাংলাদেশের রাজনীতি সংকটময় থাকবে।
জোটের দলগুলো যার যার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর বিরোধী দলের বেঞ্চে বসাই আমাদের আগ্রহ।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি তাদের অবস্থানে আছে। বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানানোর পরিবর্তে সংলাপের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাব, গ্রহণযোগ্য পরিবেশে সংলাপে বসুন। জাতির মঙ্গলের জন্য সিদ্ধান্ত নিন।
‘আমি ও আমার দলের টিকে থাকার সীমা আছে’Ñমন্তব্য করে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, এই মুহূর্তে আমার রাজনৈতিক অক্ষমতা এই যে, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পেরে উঠছি না। ২৮ অক্টোবরের পরে সুনির্দিষ্ট একটা অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে। যেখানে পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। চুপ থাকব নাকি বিকল্প ব্যবস্থা নেব। আমি বিকল্প অবস্থান নিয়েছি, নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
নতুন জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’-এ রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক) ও আব্দুল আউয়াল মামুনের নেতৃত্বাধীন কল্যাণ পার্টির প্রতীক হাতঘড়ি, অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী ও মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) প্রতীক হাত (পাঞ্জা) এবং অধ্যাপক ডা. এম এ মুকিত ও জাফর আহম্মাদ জয়ের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতীক ‘কাঁঠাল’।
ইবরাহিম ও বুলবুলকে ১২ দলীয় জোট থেকে বহিষ্কার : কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীকে ১২ দলীয় জোট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ পর্যায়ের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বহুমাত্রিক রূপ ধারণ করে আন্দোলনের নামে সরকারি সুবিধা গ্রহণ করেছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের অবৈধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি দেশ, দেশের মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। তার এই ভূমিকাকে রাসপুটিন এর সঙ্গে তুলনা করা যায়।
সভায় জোটের মুখপাত্র থেকে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে বহিষ্কার করে বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমকে ১২ দলীয় জোটের নতুন মুখপাত্রের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধানকে ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা জাপার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল জাতীয় পার্টি (জাপা)। নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দলটি। বুধবার রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, দলের চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাপা মহাসচিব বলেন, দল নির্বাচনের আস্থার পরিবেশ চায়। ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব মাধ্যম থেকে জাতীয় পার্টি আশ্বস্ত হয়েছেÑনির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট মহল আশ্বস্ত করেছে। তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রেখে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পার্টি চেয়ারম্যানের নির্দেশে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করছি।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে। জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে না, ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। বুধবার পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৪০০ দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। এককভাবেই নির্বাচন করব। আমরা কারো সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাব না।
তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে-ইসি আনিছুর রহমান : বিএনপিসহ বড় দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, তারা নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনছি এমন কথা। যদি তারা পর্দার অন্তরালে আলাপ-আলোচনা বা জোটবদ্ধ হয় তাহলে বিষয়টি (তফসিল) পেছানোর সুযোগ আছে। আমাদের একজন নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, বড় রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে আসলে তফসিল পেছানো নিয়ে সংবিধানে সুযোগ আছে। তবে সময়মতো নির্বাচন না হলে সংবিধানে একটি শূন্যতা তৈরি হবে। তাই সময়মতো নির্বাচন হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লা সার্কিট হাউসে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে যাওয়াকে ‘রাজনৈতিক ভুল’ বলছে বিএনপি : বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দুটি এবং যুগপতের বাইরের একটি দলকে নিয়ে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়াকে তাদের ‘রাজনৈতিক ভুল’ বলে মনে করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি মনে করেন, জনগণ এটাকে রাজনৈতিক অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে। গতকাল বিকালে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এ সব কথা বলেন বিএনপির এই নীতিনির্ধারক।
তিনি বলেন, যুক্তফ্রন্ট গঠন করে সরকার একদফার ভিত্তিতে গড়ে উঠা চলমান আন্দোলনের ক্ষতি করার চিন্তা করছে। তাও ব্যর্থ হবে।
নির্বাচন পেছালে আপত্তি নেই আ.লীগের : ভোটের তারিখ পেছানো হলে আওয়ামী লীগ বা সরকারের আপত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কিভাবে হবে সেটি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। এই সময়সীমার ভেতরে ভোট সম্পন্ন করতে হবে। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন ভোট কিছুদিন পেছানো দরকার মনে করলে সেটি তারা করতে পারে। এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কিছু বলার নেই।
গতকাল বুধবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি।

























