১২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু ব্লু-ইকোনোমিক গবেষণা কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর

মোঃ শামীম হোসাইন, চবি 
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সমুদ্রতট সংলগ্ন শীলখালি মৌজায় ‘বঙ্গবন্ধু ব্লু-ইকোনোমি গবেষণা কেন্দ্র’ এর সীমানা প্রাচীরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু ব্লু-ইকোনোমি গবেষণা কেন্দ্র’ এর জন্য কক্সবাজারে সরকার কর্তৃক ৬.৯৮ একর ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার উক্ত ভূমির সীমানা প্রাচীরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। টেকনাফের শীলখালিতে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব কে এম নুর আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে।  চবি এস্টেট শাখার প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চবি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আলতাফ-উল-আলম, সহকারী প্রক্টর  অরূপ বড়ুয়া, ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান ও মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং শীলখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আমজাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, চবি অনুষদ সমূহের ডিনবৃন্দ, চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, চবি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ, চবি ফাইন্যান্স কমিটির সদস্যবৃন্দ, চবি ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনার পরিচালক, চবি কলেজ পরিদর্শক, চবি গ্রন্থাগারিক, চবি হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ, চবি প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, চবি শিক্ষকবৃন্দ, চবি বিভিন্ন অফিস প্রধানবৃন্দ, চবি এস্টেট শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ, চবি প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকৌশলীবৃন্দ, চবি কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য চবি প্রশাসনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বহুল প্রত্যাশিত এ জায়গাটি সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ গবেষণা কেন্দ্রটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং দেশের সুনীল অর্থনীতি গবেষণায় সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে। এতে একদিকে সমুদ্র বিজ্ঞানের শিক্ষক-গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে দেশ-জাতিও উপকৃত হবে।
চবি’র জন্য কক্সবাজার এ জায়গা বরাদ্দ দেয়ায় চবি উপাচার্য  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে  ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ এম.পি. ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, টেকনাফের ইউএনও ও এসি ল্যান্ড এবং উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ যারা সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রতিও উপাচার্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা এখন শুধু স্বপ্ন দেখিনা, স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে জানি”। এ ভূমিতে অনেক কিছুই করা যাবে। বহুল প্রত্যাশিত একটি স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ লাভ করছে। পরে মাননীয় উপাচার্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

বঙ্গবন্ধু ব্লু-ইকোনোমিক গবেষণা কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
মোঃ শামীম হোসাইন, চবি 
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সমুদ্রতট সংলগ্ন শীলখালি মৌজায় ‘বঙ্গবন্ধু ব্লু-ইকোনোমি গবেষণা কেন্দ্র’ এর সীমানা প্রাচীরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু ব্লু-ইকোনোমি গবেষণা কেন্দ্র’ এর জন্য কক্সবাজারে সরকার কর্তৃক ৬.৯৮ একর ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার উক্ত ভূমির সীমানা প্রাচীরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। টেকনাফের শীলখালিতে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব কে এম নুর আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে।  চবি এস্টেট শাখার প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চবি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আলতাফ-উল-আলম, সহকারী প্রক্টর  অরূপ বড়ুয়া, ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান ও মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং শীলখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আমজাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, চবি অনুষদ সমূহের ডিনবৃন্দ, চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, চবি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ, চবি ফাইন্যান্স কমিটির সদস্যবৃন্দ, চবি ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনার পরিচালক, চবি কলেজ পরিদর্শক, চবি গ্রন্থাগারিক, চবি হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ, চবি প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, চবি শিক্ষকবৃন্দ, চবি বিভিন্ন অফিস প্রধানবৃন্দ, চবি এস্টেট শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ, চবি প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকৌশলীবৃন্দ, চবি কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য চবি প্রশাসনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বহুল প্রত্যাশিত এ জায়গাটি সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ গবেষণা কেন্দ্রটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং দেশের সুনীল অর্থনীতি গবেষণায় সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে। এতে একদিকে সমুদ্র বিজ্ঞানের শিক্ষক-গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে দেশ-জাতিও উপকৃত হবে।
চবি’র জন্য কক্সবাজার এ জায়গা বরাদ্দ দেয়ায় চবি উপাচার্য  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে  ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ এম.পি. ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, টেকনাফের ইউএনও ও এসি ল্যান্ড এবং উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ যারা সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রতিও উপাচার্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা এখন শুধু স্বপ্ন দেখিনা, স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে জানি”। এ ভূমিতে অনেক কিছুই করা যাবে। বহুল প্রত্যাশিত একটি স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ লাভ করছে। পরে মাননীয় উপাচার্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন।