রুহুল আমিন সৌরভ, কালীগঞ্জ
প্রায় ৩০বছর বয়সী খেজুর গাছটি ঘিরে রয়েছে অন্যরকম রহস্য। একটি গাছে ২৪ মাথা যার সবই তরতাজা ছিল। আস্তে আস্তে ১৩টি মাথা শুকিয়ে গেলেও এখনো ১১টি তরতাজা মাথা নিয়ে দাড়িয়ে আছে গাছটি। দুরদুরান্ত থেকে উৎসুক মানুষেরা দেখতে আসে আজব এই খেজুর গাছটি। ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর কুশনা ইউনিয়নের বহরমপুর মাঠের রাস্তার পাশে ঐ গ্রামের মৃত আবু তালেব মুন্সীর ছেলে ডাক্তার সলেমান মুন্সীর জমিতে রয়েছে এই গাছটি। মাঠের একপাশে মেহগনি ও আম বাগানের এক কোনে খাড়া হয়ে দাড়িয়ে আছে ২৪ মাথা ওয়ালা খেজুর গাছটি।
দীর্ঘ দিন ধরে গাছটি নিয়মিত পরিচর্যা করা হতো। শীতের মৌসুমে দিত মিষ্টি রস। আস্তে আস্তে গাছটির মাথা ফুড়ে বাড়তে থাকে মাথা। প্রথমে মনে হতো শক্ত চোমর হচ্ছে কিন্ত পরে
দেখা যায় না এটাও একটি মাথা। এভাবে আস্তে আস্তে ২৪টি মাথা হয়। সেই থেকে অদ্যবধি শীত মৌসুম আসলে অন্যান্য গাছ থেকে রস আহরণ করলেও ব্যতিক্রমী এই গাছটি এখন রস আহরণ করা হয়না। ২৪ মাথার এই খেজুর গাছটির একটি একটি করে মাথা শুকাতে থাকে এ পর্যন্ত ১৩টি মাথা শুকিয়ে গেছে। তবে কি কারণে গাছটিতে এতগুলো মাথা তা নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মত। তবে ২৪ মাথা এটা সকলের কাছে রহস্যই থেকে গেছে। মাটিতে একটি মাত্র গাছ দাঁড়িয়ে থাকলেও উচু করে দাড়িয়ে আছে ২৪টি মাথা। গাছের প্রত্যেকটি মাথাই আলাদা আলাদা সতেজ পাতা এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
বহরমপুর গ্রামের মাঠের গাছি আঃ ওহাব জানান, এ খেজুর গাছ হতে রস আহরন হয়না তবে এক সময় এই গাছ হতে রস আহরন হতো যখন অধিক মাথা জন্মানো শুরু হয় তখন থেকে রস আহরন বন্ধ হয়। পরে গাছটির অনেকগুলি মাথা হওয়ার পর গাছে সাপ দেখা যেত যার ফলে গাছ থেকে আর রস সংগ্রহ করতে পারেনা। আবার সাপের কারনে খেজুর গাছে ফল ধরলেও সেগুলো পাড়া যেতো না। গাছেই ফলপেকে নষ্ট হয়ে যেত। এভাবেই প্রথমে একটা দুইটা করে মাথা হতে থাকে। এরপর কিছু মাথা মারা যায় এখন ১১টি মাথা জীবিত আছে। তবে এই গাছটি দেখতে অনেক দূর থেকে লোকজন আসে এবং আল্লাহর সৃষ্টির সুন্দর্য্ধসঢ়;য উপভোগ করে। গ্রামের কৃষক মিন্টু মিয়া জানান, এই গাছটি অনেক দিন আগেই এমন হয়েছে। প্রথমে তিনটি মাথা হয়। তারপর আস্তে আস্তে অনেক মাথা হয়েছে। একসময় ওই গাছ থেকে রস আহরণ হতো পরে গাছের মাথা বেড়ে যাওয়ার পর থেকে রস আহরণের চেষ্টাও করা হয়েছে,কিন্তু কেউই পারেনি।
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, এটি একটি জেনিটিক সমস্যা। হরমোন জনিত কারণে এক বীজপত্রি উদ্ভিদে একাধিক শাখা প্রশাখা হতে পারে। তবে সেটা হয় খুবই কম।


























