০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কপ২৮-এ সাসটেইনেবিলিটি কার্যক্রম প্রদর্শনী করল অপো

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এবার আয়োজিত হয়েছে ‘ইউএন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) এর ২৮তম সম্মেলন। ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলন শেষ হয়েছে ১২ ডিসেম্বর। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আগ্রহী বিশ্ব নেতারা এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এ বছরের জলবায়ু সম্মেলনের ‘কপ২৮ লিডারশিপ ইন্টারভিউ’তে যোগদানের আমন্ত্রণ পেয়েছে শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রযুক্তি কোম্পানি ‘অপো’।
এ প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সম্মিলিত পদক্ষেপ কীভাবে ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সে সব বিষয়ে বিশ্বের অগ্রগামী ও ব্যবসায়িক নেতারা আলোচনা করেন। টেলিযোগাযোগ খাতের একটি বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে, উদ্ভাবনের মাধ্যমে কিভাবে টেকসই (সাসটেইনেবিলিটি) উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে, তা উপস্থাপন করে অপো।
অপো রিসার্স ইনস্টিটিউটের হেড জেসন লিয়াও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পণ্যের ডিজাইন ও উৎপাদনের জন্য কার্যকরভাবে গ্রিন টেকনোলজি খুঁজে তা স্থায়িত্বের (সাসটেইনেবিলিটি) জন্য ক্রমাগত বিনিয়োগ করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এছাড়া, সাসটেইনেবিলিটি এমন একটি সম্মিলিত যাত্রা যার জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা এক্ষেত্রে একটি উন্মুক্ত মন-মানসিকতা বজায় রাখি এবং সাসটেইনেবিলিটির যাত্রায় আরও ইকোসিস্টেম সহযোগীদের আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানাই।
ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোকে আরও গ্রিন করা : কাঁচামাল নির্বাচন থেকে শুরু করে পণ্যের ব্যবহার এবং পুনঃব্যবহার করা পর্যন্ত, অপো পণ্যের জীবনচক্র ব্যবস্থাপনায় স্থায়িত্বের (সাসটেইনেবিলিটি) ধারণাটিকে নির্বিঘ্নে একীভূত করেছে, যাতে আমাদের পণ্যের পরিবেশগত প্রভাবকে কমিয়ে আনা যায়। চলতি বছর, অপো ২০৫০ সালের মধ্যে এর বিশ্বব্যাপী কার্যক্রমে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এক্ষেত্রে স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানটির স্ব-উন্নত ‘অপো ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন’কে উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যায়। এ উদ্ভাবনটি স্মার্টফোনের ব্যাটারিগুলোকে মূল সক্ষমতার ৮০ শতাংশের বেশি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে অপো-এর ৮০ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ফলে ১,৬০০টি পরিপূর্ণ চার্জ চক্রের পরেও এটা করা সম্ভব হয়, যা উল্লেখযোগ্যভাবে স্মার্টফোনের ব্যাটারির গড় আয়ু বৃদ্ধি করে এবং এভাবে ইলেকট্রনিক বর্জ্য হ্রাস করে। এ উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ, প্রভাবশালী ব্যবসায়িক মিডিয়া ‘ফাস্ট কোম্পানি’ ২০২৩ সালে অপো-কে ১০টি সেরা উদ্ভাবনী এশিয়া-প্যাসিফিক কোম্পানির মধ্যে একটি হিসেবে মনোনীত করেছে।
স্টার্টআপের ক্ষমতায়নে অপো’র ‘ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ’ : পণ্যের ডিজাইন, উৎপাদন ও বৈশ্বিক কার্যক্রমে গ্রিন উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি স্মার্টফোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অপো গ্রিন প্রযুক্তিতে কাজ করা উদ্ভাবকদের সহায়তার জন্য ইকোসিস্টেম পার্টনারদের সঙ্গেও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একত্রে কাজ করছে।
উদ্ভাবনকে আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ২০২২ সালে অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি উদ্যোগ হলো ‘অপো ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ’। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি পেশাজীবী এবং উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে অসাধারণ সব উদ্ভাবন প্রযুক্তির আহ্বান জানানো হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদগাঁওয়ে ৪৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণের প্রস্তুতি ও কার্যক্রম শুরু

কপ২৮-এ সাসটেইনেবিলিটি কার্যক্রম প্রদর্শনী করল অপো

আপডেট সময় : ০৯:১৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এবার আয়োজিত হয়েছে ‘ইউএন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) এর ২৮তম সম্মেলন। ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলন শেষ হয়েছে ১২ ডিসেম্বর। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আগ্রহী বিশ্ব নেতারা এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এ বছরের জলবায়ু সম্মেলনের ‘কপ২৮ লিডারশিপ ইন্টারভিউ’তে যোগদানের আমন্ত্রণ পেয়েছে শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রযুক্তি কোম্পানি ‘অপো’।
এ প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সম্মিলিত পদক্ষেপ কীভাবে ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সে সব বিষয়ে বিশ্বের অগ্রগামী ও ব্যবসায়িক নেতারা আলোচনা করেন। টেলিযোগাযোগ খাতের একটি বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে, উদ্ভাবনের মাধ্যমে কিভাবে টেকসই (সাসটেইনেবিলিটি) উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে, তা উপস্থাপন করে অপো।
অপো রিসার্স ইনস্টিটিউটের হেড জেসন লিয়াও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পণ্যের ডিজাইন ও উৎপাদনের জন্য কার্যকরভাবে গ্রিন টেকনোলজি খুঁজে তা স্থায়িত্বের (সাসটেইনেবিলিটি) জন্য ক্রমাগত বিনিয়োগ করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এছাড়া, সাসটেইনেবিলিটি এমন একটি সম্মিলিত যাত্রা যার জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা এক্ষেত্রে একটি উন্মুক্ত মন-মানসিকতা বজায় রাখি এবং সাসটেইনেবিলিটির যাত্রায় আরও ইকোসিস্টেম সহযোগীদের আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানাই।
ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোকে আরও গ্রিন করা : কাঁচামাল নির্বাচন থেকে শুরু করে পণ্যের ব্যবহার এবং পুনঃব্যবহার করা পর্যন্ত, অপো পণ্যের জীবনচক্র ব্যবস্থাপনায় স্থায়িত্বের (সাসটেইনেবিলিটি) ধারণাটিকে নির্বিঘ্নে একীভূত করেছে, যাতে আমাদের পণ্যের পরিবেশগত প্রভাবকে কমিয়ে আনা যায়। চলতি বছর, অপো ২০৫০ সালের মধ্যে এর বিশ্বব্যাপী কার্যক্রমে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এক্ষেত্রে স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানটির স্ব-উন্নত ‘অপো ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন’কে উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যায়। এ উদ্ভাবনটি স্মার্টফোনের ব্যাটারিগুলোকে মূল সক্ষমতার ৮০ শতাংশের বেশি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে অপো-এর ৮০ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ফলে ১,৬০০টি পরিপূর্ণ চার্জ চক্রের পরেও এটা করা সম্ভব হয়, যা উল্লেখযোগ্যভাবে স্মার্টফোনের ব্যাটারির গড় আয়ু বৃদ্ধি করে এবং এভাবে ইলেকট্রনিক বর্জ্য হ্রাস করে। এ উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ, প্রভাবশালী ব্যবসায়িক মিডিয়া ‘ফাস্ট কোম্পানি’ ২০২৩ সালে অপো-কে ১০টি সেরা উদ্ভাবনী এশিয়া-প্যাসিফিক কোম্পানির মধ্যে একটি হিসেবে মনোনীত করেছে।
স্টার্টআপের ক্ষমতায়নে অপো’র ‘ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ’ : পণ্যের ডিজাইন, উৎপাদন ও বৈশ্বিক কার্যক্রমে গ্রিন উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি স্মার্টফোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অপো গ্রিন প্রযুক্তিতে কাজ করা উদ্ভাবকদের সহায়তার জন্য ইকোসিস্টেম পার্টনারদের সঙ্গেও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একত্রে কাজ করছে।
উদ্ভাবনকে আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ২০২২ সালে অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি উদ্যোগ হলো ‘অপো ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ’। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি পেশাজীবী এবং উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে অসাধারণ সব উদ্ভাবন প্রযুক্তির আহ্বান জানানো হয়।