০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫২ বছর পর নিজ গ্রামে ফিরে  আবেগাপ্লুত স্মৃতিচারণ

রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের বাসিন্দা। সেই ১৯৭১ সালে গ্রাম ছেড়ে চলে যান ভারতে। তখন তার বয়স ১৩ বছর। সেখানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে চাকরী করেছেন। অবসর গ্রহন করে স্বপরিবারে ঘুরতে আসেন নিজ গ্রামে। গ্রাম ছাড়ার সময় সদা চঞ্চল কিশোর আজ বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়েছে। কিন্তু ভোলেননি গ্রামের মানুষের কথা, যেখানে তার নাড়ি পোতা রয়েছে। খোঁজেন বাল্যকালের বন্ধু আলী হায়দার জোয়রদার, আব্দুস সাত্তার, ডাঃ ফজলুর রহমান ও আব্দুল লতিফকে। শনিবার দুপুরে তিনি পা রাখেন তাদের দেওয়া জমিতে প্রতিষ্ঠিত স্কুল বংবিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলে পৌছালে জমিদাতা পরিবারের সদস্য রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম, তার স্ত্রী বিশাখা রায়, ভাই উত্তম রায়, বোন আরতি রায়, সোমা দাস ও ম্যাজিষ্ট্রেট নিখিলেশ্বর বসুর স্বজন মৃদুল জোয়ারদারকে স্বাগত জানান বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খসরুল আলম। এ সময় স্কুলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম দলু, সহকারী প্রধান শিক্ষক আশাদুল কবীর, সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমসহ স্কুলের শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলার সিনিয়র সংবাদিক ও বংকিরা গ্রামের বাসিন্দা আসিফ কাজল। অনুষ্ঠানে স্কুল ও গ্রামবাসির পক্ষ থেকে স্কুলের জমিদাতা পরিবারকে সম্মননা স্মারক প্রদান করা হয়। অন্যদিকে স্কুল প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে জড়িত বংকিরা গ্রামের কৃতি সন্তান ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মরহুম অধ্যক্ষ আফসার উদ্দীনের সহধর্মিনী বেগম নাজমা আহম্মেদকে সম্মননা স্মারক তুলে দেন রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম। এসময় রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম তার প্রিয় শিক্ষক আফসার উদ্দীনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে লেখা একটি পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন করেন। ৫২ বছর পর নিজ গ্রামে ফিরে রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম তার বক্তৃতায় বলেন, বংকিরা গ্রামের সবুজ মাঠ, প্রান্তর, নদীর তট, বাগান আর মানুষগুলো তার খুবই আপন। এই গ্রামের মানুষের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

৫২ বছর পর নিজ গ্রামে ফিরে  আবেগাপ্লুত স্মৃতিচারণ

আপডেট সময় : ১১:০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের বাসিন্দা। সেই ১৯৭১ সালে গ্রাম ছেড়ে চলে যান ভারতে। তখন তার বয়স ১৩ বছর। সেখানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে চাকরী করেছেন। অবসর গ্রহন করে স্বপরিবারে ঘুরতে আসেন নিজ গ্রামে। গ্রাম ছাড়ার সময় সদা চঞ্চল কিশোর আজ বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়েছে। কিন্তু ভোলেননি গ্রামের মানুষের কথা, যেখানে তার নাড়ি পোতা রয়েছে। খোঁজেন বাল্যকালের বন্ধু আলী হায়দার জোয়রদার, আব্দুস সাত্তার, ডাঃ ফজলুর রহমান ও আব্দুল লতিফকে। শনিবার দুপুরে তিনি পা রাখেন তাদের দেওয়া জমিতে প্রতিষ্ঠিত স্কুল বংবিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলে পৌছালে জমিদাতা পরিবারের সদস্য রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম, তার স্ত্রী বিশাখা রায়, ভাই উত্তম রায়, বোন আরতি রায়, সোমা দাস ও ম্যাজিষ্ট্রেট নিখিলেশ্বর বসুর স্বজন মৃদুল জোয়ারদারকে স্বাগত জানান বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খসরুল আলম। এ সময় স্কুলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম দলু, সহকারী প্রধান শিক্ষক আশাদুল কবীর, সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমসহ স্কুলের শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলার সিনিয়র সংবাদিক ও বংকিরা গ্রামের বাসিন্দা আসিফ কাজল। অনুষ্ঠানে স্কুল ও গ্রামবাসির পক্ষ থেকে স্কুলের জমিদাতা পরিবারকে সম্মননা স্মারক প্রদান করা হয়। অন্যদিকে স্কুল প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে জড়িত বংকিরা গ্রামের কৃতি সন্তান ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মরহুম অধ্যক্ষ আফসার উদ্দীনের সহধর্মিনী বেগম নাজমা আহম্মেদকে সম্মননা স্মারক তুলে দেন রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম। এসময় রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম তার প্রিয় শিক্ষক আফসার উদ্দীনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে লেখা একটি পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন করেন। ৫২ বছর পর নিজ গ্রামে ফিরে রবিন্দ্রনাথ রায় গৌতম তার বক্তৃতায় বলেন, বংকিরা গ্রামের সবুজ মাঠ, প্রান্তর, নদীর তট, বাগান আর মানুষগুলো তার খুবই আপন। এই গ্রামের মানুষের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।