১১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় দিনকে দিন কমছে খেজুরগাছ, রয়েছে সংরক্ষণের অভাব

যুগ যুগ ধরে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য বহন করে আসছে খেজুরগাছ। বছরের সমস্ত দিন জুড়ে এ গাছটি অযত্নে  অবহেলায় দাঁড়িয়ে থাকলেও এর কোনো যত্ন নেয়না কেউ। কিন্তু শীতের আবির্ভাব ঘটার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় এ গাছটির কদর। আর শীতের এ মৌসুমে প্রচুর চাহিদা বেড়ে যায় খেজুরের কাঁচা ও পাকা রসের। কেউ কেউ খেজুর রসের ছোট্ট পাটালি তৈরি করা গুড় খেতে খুব পছন্দ করেন। তবে শীতে খেজুরের কাঁচা রস একটি সুস্বাদু পানীয় হিসেবে অধিকাংশ মানুষ পান করে থাকেন।

এক সময় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার এগারো ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে প্রচুর খেজুরগাছ দেখা যেতো। কালের বিবর্তনে আর সংরক্ষণের অভাবে ঐতিহ্য বহন করা এ খেজুরগাছ হারাতে বসেছে এ উপজেলার মানুষ। পাশাপাশি গাছিরা খেজুর রস আহরণ করার কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় নিজেকে সম্পৃক্ত করছেন।

উপজেলার হাতীবেড় গ্রামের গাছি জহিরুল ইসলাম জানান, ৩ বছর ধরে খেজুরগাছ কেটে রস আহরনের কাজ করে আসছেন তিনি। নিজে থেকেই গাছ কাটা শিখেছেন তিনি। এ মৌসুমে তিনি ৫২টি গাছ ছিলিয়েছেন। শীতের শুরুতেই গাছ কাটেন এবং পুরো শীতের সৃজন অর্থাৎ শীতের তিন মাস পর্যন্ত রস আহরন করেন। নিজের কোনো গাছ নেই তার। পুরো সৃজনে প্রতি গাছে মালিককে দেড় কেজি জ¦াল করা পাকা রস দেওয়ার শর্তে গাছ কেটে রস বের করেন। তিনি ৪ হাজার টাকার লাকড়ি ও গাছ কাটার আনুষঙ্গিক উপকরণ বাবদ ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। পুরো সৃজনে খরচ বাদে রস বিক্রি করে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা তার। শীতের সৃজনেই তিনি খেজুরগাছ থেকে রস আহরনের কাজ করেন। এছাড়া বছরের বাকী দিনগুলোতে তিনি পিতা বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। গাছ ছুলানোর কাজে তিনি ব্যবহার করেন ২ থেকে ৩টি দা, রশি, ছোট রসি, বাঁশের চুংগি ও হাড়ি। তাছাড়া বাদুর ঠেকানোর জন্য ছালা দিয়ে গাছের ছিলানো অংশ ডেকে রাখেন তিনি। পাকা রস কেজি প্রতি পাইকারী ১৮০ টাকা ও খুচরা বিক্রি করেন ২০০ টাকা। কাঁচা রস বিক্রি করেন না, তবে যারা খাওয়ার জন্য নেয় তাদের কাছ থেকে টাকা রাখেন না তিনি। তিনি আফসোস বলেন, আগের মত আর খেজুর গাছ নেই। ঘরবাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে খেজুরগাছ কেটে ফেলছে মানুষ। এ কারণে দিনকে দিন খেজুরগাছের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এদিকে কিছুদূর এগুতেই দেখা যায় দুই শিশু প্লাষ্টিকের বোতল থেকে সিলভারের কলসে রস ঢালছে। তাদের রস ঢালা দেখে তাদেরকে জিজ্ঞাস করলাম তোমরা এগুলা কি করছো। তারা জানায়, তাদের এলাকার খেজুরগাছগুলোতে গাছি তার হাড়ি খুলে নিলে, ওইস্থানে তারা প্লাষ্টিকের বোতল টানিয়ে দেয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বোতল টানিয়ে রাখে গাছে। এতে বোতলগুলো রসে টুইটুই ভরে যায়। পরে কলসে ঢেলে বাড়ি নিয়ে জ¦াল করে পাকা রস তৈরি করে। তারা আরো জানায়, প্রতিদিন এভাবে প্লাষ্টিকের বোতল টানিয়ে এক থেকে দুই কলস পরিমাণ রস পায় তারা। জ¦াল করে প্রায় ১ থেকে দেড় কেজি পরিমাণ রস হয়। ওই রস বিক্রি করে তারা টাকা আয় করে থাকে। ওই দুই শিশুর মাঝে একজনের নাম আশরাফুল, আর অন্য জনের নাম নাসির। তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে স্থানীয় বনগাঁও প্রাইমারী স্কুলে পড়ছে।

অন্যদিকে হাতীবেড় গ্রামের যুবক শেখ ফরিদ বলেন, ৯০ দশকে ভোর হলেই খেজুরগাছ তলায় গ্লাস হাতে নিয়ে খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম। গাছি ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে দৌড়ে গাছির বাড়ি গিয়ে তাকে ডেকে উঠাতাম। গাছিকে এনে খেজুরগাছে উঠিয়ে নিচে দাঁড়িয়ে থাকতাম। রসের হাড়ি নামানোর পর সূতি কাপড়ের ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে গ্লাসে কাঁচা রস ঢেলে দিতো গাছি। তখনই ৪-৫ গ্লাস রস খেয়ে ফেলতাম। পরে ভাগাভাগি করে অর্ধেক হাড়ি গাছি নিত বাকী অর্ধেক গাছের মালিকের জন্য রেখে যেত। ওই রস বাড়িতে নিয়ে গৃহকর্তীরা আগুনে জ্বাল করে পাকা করতো। আবার কেউ কেউ ছোট্ট আকারের খেজুরের পাটালি গুড় তৈরি করতো। খেজুর রসের তৈরি করা পাটালি গুড় আকারে ছোট থাকায় দেখতেও ছিল ভারী চমৎকার। শীত মৌসুমে সকাল বেলার প্রধান নাস্তা ছিল রসের খিড়। আবার কেউ কেউ নতুন আমনের চাল দিয়ে বানাতো রসের পিঠা। সেসব পিঠা খেতেও দারুন সুস্বাদু ছিল। গৃহকর্তীরা খেজুর রসের তৈরি করা পিঠা প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়িও দিতেন।

বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রসে এক ধরনের ভাইরাসের আবির্ভাব দেখা দিয়েছে। শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথি পাখিরা এসে খেজুরগাছে পাতানো হাড়িতে বসে চুংগিতে ঠোঁট লাগিয়ে রস খাচ্ছে। ফলে অতিথি পাখির ঠোঁটের লাভা রসে মিশে যাওয়ায় নিপা ভাইরাস নামে এক ধরনের রোগ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি বৈজ্ঞানিক গবেষনায় উঠে এসেছে। এ ব্যাপারে কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।
অধিকাংশ এলাকায় খেজুরগাছ আজ বিলুপ্তির পথে। কারণ শহরের তুলানায় বেড়েছে গ্রামাঞ্চলেও জনসংখ্যা হার। এদের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বাসস্থান। এসব বাসস্থান তৈরি করতে খেজুরগাছ কর্তন করে ঘর-বাড়ি নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি তালগাছের বিলুপ্তির একই কারণ। খেজুরগাছ একটি গুনাগুন সম্পন্ন গাছ। খেজুরগাছ সংরক্ষণ করাটা বর্তমানে জরুরী হয়ে পড়েছে। এভাবে ক্রমান্বয়ে খেজুরগাছ কর্তন করতে থাকলে এর ঐতিহ্যবহনকারি খেজুর রস, গুড়, নাড়–, মোয়া, নানা রকম পিঠা খাওয়ার যে স্বাদ পাওয়া যায় তা শুধু ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে ইতিহাস হয়ে পুস্তকে শোভা বাড়াবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

ভালুকায় দিনকে দিন কমছে খেজুরগাছ, রয়েছে সংরক্ষণের অভাব

আপডেট সময় : ১০:৩৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

যুগ যুগ ধরে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য বহন করে আসছে খেজুরগাছ। বছরের সমস্ত দিন জুড়ে এ গাছটি অযত্নে  অবহেলায় দাঁড়িয়ে থাকলেও এর কোনো যত্ন নেয়না কেউ। কিন্তু শীতের আবির্ভাব ঘটার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় এ গাছটির কদর। আর শীতের এ মৌসুমে প্রচুর চাহিদা বেড়ে যায় খেজুরের কাঁচা ও পাকা রসের। কেউ কেউ খেজুর রসের ছোট্ট পাটালি তৈরি করা গুড় খেতে খুব পছন্দ করেন। তবে শীতে খেজুরের কাঁচা রস একটি সুস্বাদু পানীয় হিসেবে অধিকাংশ মানুষ পান করে থাকেন।

এক সময় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার এগারো ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে প্রচুর খেজুরগাছ দেখা যেতো। কালের বিবর্তনে আর সংরক্ষণের অভাবে ঐতিহ্য বহন করা এ খেজুরগাছ হারাতে বসেছে এ উপজেলার মানুষ। পাশাপাশি গাছিরা খেজুর রস আহরণ করার কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় নিজেকে সম্পৃক্ত করছেন।

উপজেলার হাতীবেড় গ্রামের গাছি জহিরুল ইসলাম জানান, ৩ বছর ধরে খেজুরগাছ কেটে রস আহরনের কাজ করে আসছেন তিনি। নিজে থেকেই গাছ কাটা শিখেছেন তিনি। এ মৌসুমে তিনি ৫২টি গাছ ছিলিয়েছেন। শীতের শুরুতেই গাছ কাটেন এবং পুরো শীতের সৃজন অর্থাৎ শীতের তিন মাস পর্যন্ত রস আহরন করেন। নিজের কোনো গাছ নেই তার। পুরো সৃজনে প্রতি গাছে মালিককে দেড় কেজি জ¦াল করা পাকা রস দেওয়ার শর্তে গাছ কেটে রস বের করেন। তিনি ৪ হাজার টাকার লাকড়ি ও গাছ কাটার আনুষঙ্গিক উপকরণ বাবদ ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। পুরো সৃজনে খরচ বাদে রস বিক্রি করে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা তার। শীতের সৃজনেই তিনি খেজুরগাছ থেকে রস আহরনের কাজ করেন। এছাড়া বছরের বাকী দিনগুলোতে তিনি পিতা বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। গাছ ছুলানোর কাজে তিনি ব্যবহার করেন ২ থেকে ৩টি দা, রশি, ছোট রসি, বাঁশের চুংগি ও হাড়ি। তাছাড়া বাদুর ঠেকানোর জন্য ছালা দিয়ে গাছের ছিলানো অংশ ডেকে রাখেন তিনি। পাকা রস কেজি প্রতি পাইকারী ১৮০ টাকা ও খুচরা বিক্রি করেন ২০০ টাকা। কাঁচা রস বিক্রি করেন না, তবে যারা খাওয়ার জন্য নেয় তাদের কাছ থেকে টাকা রাখেন না তিনি। তিনি আফসোস বলেন, আগের মত আর খেজুর গাছ নেই। ঘরবাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে খেজুরগাছ কেটে ফেলছে মানুষ। এ কারণে দিনকে দিন খেজুরগাছের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এদিকে কিছুদূর এগুতেই দেখা যায় দুই শিশু প্লাষ্টিকের বোতল থেকে সিলভারের কলসে রস ঢালছে। তাদের রস ঢালা দেখে তাদেরকে জিজ্ঞাস করলাম তোমরা এগুলা কি করছো। তারা জানায়, তাদের এলাকার খেজুরগাছগুলোতে গাছি তার হাড়ি খুলে নিলে, ওইস্থানে তারা প্লাষ্টিকের বোতল টানিয়ে দেয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বোতল টানিয়ে রাখে গাছে। এতে বোতলগুলো রসে টুইটুই ভরে যায়। পরে কলসে ঢেলে বাড়ি নিয়ে জ¦াল করে পাকা রস তৈরি করে। তারা আরো জানায়, প্রতিদিন এভাবে প্লাষ্টিকের বোতল টানিয়ে এক থেকে দুই কলস পরিমাণ রস পায় তারা। জ¦াল করে প্রায় ১ থেকে দেড় কেজি পরিমাণ রস হয়। ওই রস বিক্রি করে তারা টাকা আয় করে থাকে। ওই দুই শিশুর মাঝে একজনের নাম আশরাফুল, আর অন্য জনের নাম নাসির। তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে স্থানীয় বনগাঁও প্রাইমারী স্কুলে পড়ছে।

অন্যদিকে হাতীবেড় গ্রামের যুবক শেখ ফরিদ বলেন, ৯০ দশকে ভোর হলেই খেজুরগাছ তলায় গ্লাস হাতে নিয়ে খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম। গাছি ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে দৌড়ে গাছির বাড়ি গিয়ে তাকে ডেকে উঠাতাম। গাছিকে এনে খেজুরগাছে উঠিয়ে নিচে দাঁড়িয়ে থাকতাম। রসের হাড়ি নামানোর পর সূতি কাপড়ের ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে গ্লাসে কাঁচা রস ঢেলে দিতো গাছি। তখনই ৪-৫ গ্লাস রস খেয়ে ফেলতাম। পরে ভাগাভাগি করে অর্ধেক হাড়ি গাছি নিত বাকী অর্ধেক গাছের মালিকের জন্য রেখে যেত। ওই রস বাড়িতে নিয়ে গৃহকর্তীরা আগুনে জ্বাল করে পাকা করতো। আবার কেউ কেউ ছোট্ট আকারের খেজুরের পাটালি গুড় তৈরি করতো। খেজুর রসের তৈরি করা পাটালি গুড় আকারে ছোট থাকায় দেখতেও ছিল ভারী চমৎকার। শীত মৌসুমে সকাল বেলার প্রধান নাস্তা ছিল রসের খিড়। আবার কেউ কেউ নতুন আমনের চাল দিয়ে বানাতো রসের পিঠা। সেসব পিঠা খেতেও দারুন সুস্বাদু ছিল। গৃহকর্তীরা খেজুর রসের তৈরি করা পিঠা প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়িও দিতেন।

বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রসে এক ধরনের ভাইরাসের আবির্ভাব দেখা দিয়েছে। শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথি পাখিরা এসে খেজুরগাছে পাতানো হাড়িতে বসে চুংগিতে ঠোঁট লাগিয়ে রস খাচ্ছে। ফলে অতিথি পাখির ঠোঁটের লাভা রসে মিশে যাওয়ায় নিপা ভাইরাস নামে এক ধরনের রোগ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি বৈজ্ঞানিক গবেষনায় উঠে এসেছে। এ ব্যাপারে কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।
অধিকাংশ এলাকায় খেজুরগাছ আজ বিলুপ্তির পথে। কারণ শহরের তুলানায় বেড়েছে গ্রামাঞ্চলেও জনসংখ্যা হার। এদের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বাসস্থান। এসব বাসস্থান তৈরি করতে খেজুরগাছ কর্তন করে ঘর-বাড়ি নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি তালগাছের বিলুপ্তির একই কারণ। খেজুরগাছ একটি গুনাগুন সম্পন্ন গাছ। খেজুরগাছ সংরক্ষণ করাটা বর্তমানে জরুরী হয়ে পড়েছে। এভাবে ক্রমান্বয়ে খেজুরগাছ কর্তন করতে থাকলে এর ঐতিহ্যবহনকারি খেজুর রস, গুড়, নাড়–, মোয়া, নানা রকম পিঠা খাওয়ার যে স্বাদ পাওয়া যায় তা শুধু ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে ইতিহাস হয়ে পুস্তকে শোভা বাড়াবে।