০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুঠিয়ার ঐতিহাসিক রাজবাড়ি জাদুঘরে পর্যটকদের ঢল

  •  সহস্র বছরের প্রাচীন জনপদ পুঠিয়া
  • মুঘল আমলের প্রাচীন এ স্থাপত্য
  • এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিবমন্দির
  • ছড়িয়ে রয়েছে ধ্বংসপ্রায় পূরাকীর্তি সমূহ

মহারাণী হেমন্তকুমারী দেবীর বাসভবন। যা বর্তমানে পুঠিয়া রাজবাড়ী নামে পরিচিত। ১৮৯৫ সালে মহারাণী হেমন্তকুমারী দেবী আকর্ষনীয় ইন্দো ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতিতে আয়তাকার দ্বিতল এই রাজবাড়ীটি নির্মাণ করেন। প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর উদ্যোগে রাজশাহীর পুঠিয়ার ঐতিহাসিক রাজবাড়িতে চালু হয়েছে জাদুঘর।

দর্শনার্থীদের পদচারণায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতার এ জায়গাটি। দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। পুুঠিয়ার রাজপরগনা জুড়ে তাদের অনেক স্মৃতি বিজড়িত পূরাকীর্তি সমুহ এখন প্রায় অক্ষত রয়েছে। এছাড়া উপজেলার নন্দনপুর, শাহবাজপুর ও কাশিমপুর গ্রামে ধনপতিদের অনেক স্মৃতি এখনও দেখতে পাওয়া যায়।

জানাযায়, সাধক বৎসাচার্য্যরে পূত্র পিতাম্বর ১৫৫০ সনে পুঠিয়া রাজবংশের গোড়াপত্তোন করেন। ওই রাজবংশ প্রায় চারশত বছর শাসন করেন পুঠিয়া রাজপরগনা। পিতাম্বরের অনুজ নীলাম্বর পুঠিয়া রাজবংশের প্রথম রাজা অধিষ্ঠিত হয়। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নিকট থেকে তৎকালিন নীলাম্বর রাজা উপাধি লাভ করেন। তাঁর জমিদারির এলাকা গুলো ছিল ভারতের মুর্শিদাবাদ, বীরভ‚ম, নদীয়া, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, বাংলাদেশের উত্তর দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ রাজধানী ঢাকার কিছু অংশ। আর ১৮১৩ খ্রিঃ ৫ টি থানার সমন্বয়ে পুরো রাজ্যর রাজধানী পুঠিয়া গঠিত হয়। ১৯৪৯ খ্রিঃ রাজপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর রাজ পরগনার উত্তর অধিকারীরা স্বপরিবারে ভারত বর্ষে গমন করেন। এরপর রাজপ্রাসাদ ও জমি গুলো সরকারের নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। সহস্র বছরের প্রাচীন জনপদ হচ্ছে পুঠিয়া, যা বর্তমানে পূরাকীর্তি সমৃদ্ধ। দিন দিন মন্দির গুলো দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের নিকট অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। মন্দির গুলোর পিরামিড, পুরুত্ব, একরত্ চৌচালা, একবাংলা। পূরাকীর্তি সমৃদ্ধ পাঁচআনি বড় শিব মন্দির,
পাঁচআনি রাজপ্রাসাদ, রানীর ঘাট, গোবিন্দ মন্দির, আহ্নিক মন্দির, রথমন্দির, দোলমন্দির, চারআনি রাজপ্রাসাদ, গোবিন্দ মন্দির, আহ্নিক মন্দির, শিব মন্দির, বনদূর্গারদ মন্দির (সাজার মায়ের বাড়ি), কৃঞ্চপুরের শিবমন্দির, গোপাল মন্দির, গোপাল মন্দির, তারাপুর এলাকায় রাজার হাওয়া খানা। এছাড়াও
এর আশে পাশে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক মঠসহ ধ্বংস ও ধ্বংসপ্রায় অনেক পূরাকীর্তি সমূহ।

রাজশাহী নগরী থেকে ৩০ কিঃ মিঃ পূর্বে এবং নাটোর শহর থেকে ১৭ কিঃ মিঃ পশ্চিমে পুঠিয়ার অবস্থান। রাজবাড়ীতে প্রবেশের প্রথমে চোখে পড়বে
এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও ঐতিহাসিক শিবমন্দির।
ঐতিহ্যের এই রাজবাড়ীতে প্রত্নত্তত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে চালু হয়েছে জাদুঘর। ২০২১ সালে চালু হওয়া জাদুঘরটি ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের পদচারণায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতার এ জায়গাটি।

জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলের প্রতœতত্ত¡ নির্দশনের ঐতিহ্যাবাহী স্থান পুঠিয়া রাজবাড়ি। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে মুঘল আমলের প্রাচীন এ স্থাপত্য। দীর্ঘ প্রস্তুতির পর জাদুঘরটি চালুর পর সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতার এ জায়গাটি। রাজবাড়ি জাদুঘওে শীতকালীন সময়ে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিদর্শন করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। গ্রীষ্মকালীন সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটি রোববার সারাদিন এবং সোমবার অর্ধ দিবস এটি বন্ধ থাকে। আর এখানে প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য ২০ টাকা, শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টাকা, বিদেশি সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য একশত টাকা এবং অন্যান্য বিদেশিদের জন্য দুইশত টাকা।
জাদুঘরটি ঘুরতে এসেছিলেন দর্শনার্থী জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, আমি এখানে প্রায়ই আসি বন্ধুদের সাথে ঘুরতে। এখানকার প্রত্নত্তত্ত্ব¡ক নিদর্শনগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এমন আরো অনেক নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই রাজবাড়ির আশেপাশে। এগুলোকে ঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে দর্শনার্থীদের আনাগোনা আরও বাড়বে বলে আমি মনে করি।

প্রত্নত্তত্ত্ব অধিদপ্তরের পুঠিয়া রাজবাড়ি জাদুঘর অ্যাসিসট্যান্ট কাস্টোডিয়াল শাওলী তালুকদার জানান, পুঠিয়া রাজবাড়ি ইতিহাস ও ঐতিহ্যগতভাবে অনেক আগে থেকে সমৃদ্ধশালী ছিল। আর সেই প্রচেষ্টাকে সামনে রেখে আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল পুঠিয়া রাজবাড়িতে একটি জাদুঘর চালু করব। ২০১৭ সাল থেকে এই পরিকল্পনা নেয়া হয় অবশেষে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পুঠিয়া রাজবাড়িতে জাদুঘর চালু হয়েছে এবং দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এখানে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রত্নত্তত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা বলেন, পুঠিয়ার রাজবাড়ি একটি বড় পুরাকীর্তি। এখনো এর
পুরো সংরক্ষণকাজ শেষ হয়নি। সব কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে সব কটি কক্ষ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সন্ধ্যায় রাজবাড়িসহ অন্য মন্দিরগুলোতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য পুরো রাজবাড়ি চত্বর আরও আকর্ষণীয় লাগছে। মানুষ সন্ধ্যার পরেও সেখানে ভিড় করছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

পুঠিয়ার ঐতিহাসিক রাজবাড়ি জাদুঘরে পর্যটকদের ঢল

আপডেট সময় : ০১:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  •  সহস্র বছরের প্রাচীন জনপদ পুঠিয়া
  • মুঘল আমলের প্রাচীন এ স্থাপত্য
  • এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিবমন্দির
  • ছড়িয়ে রয়েছে ধ্বংসপ্রায় পূরাকীর্তি সমূহ

মহারাণী হেমন্তকুমারী দেবীর বাসভবন। যা বর্তমানে পুঠিয়া রাজবাড়ী নামে পরিচিত। ১৮৯৫ সালে মহারাণী হেমন্তকুমারী দেবী আকর্ষনীয় ইন্দো ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতিতে আয়তাকার দ্বিতল এই রাজবাড়ীটি নির্মাণ করেন। প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর উদ্যোগে রাজশাহীর পুঠিয়ার ঐতিহাসিক রাজবাড়িতে চালু হয়েছে জাদুঘর।

দর্শনার্থীদের পদচারণায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতার এ জায়গাটি। দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। পুুঠিয়ার রাজপরগনা জুড়ে তাদের অনেক স্মৃতি বিজড়িত পূরাকীর্তি সমুহ এখন প্রায় অক্ষত রয়েছে। এছাড়া উপজেলার নন্দনপুর, শাহবাজপুর ও কাশিমপুর গ্রামে ধনপতিদের অনেক স্মৃতি এখনও দেখতে পাওয়া যায়।

জানাযায়, সাধক বৎসাচার্য্যরে পূত্র পিতাম্বর ১৫৫০ সনে পুঠিয়া রাজবংশের গোড়াপত্তোন করেন। ওই রাজবংশ প্রায় চারশত বছর শাসন করেন পুঠিয়া রাজপরগনা। পিতাম্বরের অনুজ নীলাম্বর পুঠিয়া রাজবংশের প্রথম রাজা অধিষ্ঠিত হয়। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নিকট থেকে তৎকালিন নীলাম্বর রাজা উপাধি লাভ করেন। তাঁর জমিদারির এলাকা গুলো ছিল ভারতের মুর্শিদাবাদ, বীরভ‚ম, নদীয়া, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, বাংলাদেশের উত্তর দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ রাজধানী ঢাকার কিছু অংশ। আর ১৮১৩ খ্রিঃ ৫ টি থানার সমন্বয়ে পুরো রাজ্যর রাজধানী পুঠিয়া গঠিত হয়। ১৯৪৯ খ্রিঃ রাজপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর রাজ পরগনার উত্তর অধিকারীরা স্বপরিবারে ভারত বর্ষে গমন করেন। এরপর রাজপ্রাসাদ ও জমি গুলো সরকারের নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। সহস্র বছরের প্রাচীন জনপদ হচ্ছে পুঠিয়া, যা বর্তমানে পূরাকীর্তি সমৃদ্ধ। দিন দিন মন্দির গুলো দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের নিকট অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। মন্দির গুলোর পিরামিড, পুরুত্ব, একরত্ চৌচালা, একবাংলা। পূরাকীর্তি সমৃদ্ধ পাঁচআনি বড় শিব মন্দির,
পাঁচআনি রাজপ্রাসাদ, রানীর ঘাট, গোবিন্দ মন্দির, আহ্নিক মন্দির, রথমন্দির, দোলমন্দির, চারআনি রাজপ্রাসাদ, গোবিন্দ মন্দির, আহ্নিক মন্দির, শিব মন্দির, বনদূর্গারদ মন্দির (সাজার মায়ের বাড়ি), কৃঞ্চপুরের শিবমন্দির, গোপাল মন্দির, গোপাল মন্দির, তারাপুর এলাকায় রাজার হাওয়া খানা। এছাড়াও
এর আশে পাশে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক মঠসহ ধ্বংস ও ধ্বংসপ্রায় অনেক পূরাকীর্তি সমূহ।

রাজশাহী নগরী থেকে ৩০ কিঃ মিঃ পূর্বে এবং নাটোর শহর থেকে ১৭ কিঃ মিঃ পশ্চিমে পুঠিয়ার অবস্থান। রাজবাড়ীতে প্রবেশের প্রথমে চোখে পড়বে
এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও ঐতিহাসিক শিবমন্দির।
ঐতিহ্যের এই রাজবাড়ীতে প্রত্নত্তত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে চালু হয়েছে জাদুঘর। ২০২১ সালে চালু হওয়া জাদুঘরটি ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের পদচারণায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতার এ জায়গাটি।

জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলের প্রতœতত্ত¡ নির্দশনের ঐতিহ্যাবাহী স্থান পুঠিয়া রাজবাড়ি। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে মুঘল আমলের প্রাচীন এ স্থাপত্য। দীর্ঘ প্রস্তুতির পর জাদুঘরটি চালুর পর সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতার এ জায়গাটি। রাজবাড়ি জাদুঘওে শীতকালীন সময়ে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিদর্শন করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। গ্রীষ্মকালীন সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটি রোববার সারাদিন এবং সোমবার অর্ধ দিবস এটি বন্ধ থাকে। আর এখানে প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য ২০ টাকা, শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টাকা, বিদেশি সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য একশত টাকা এবং অন্যান্য বিদেশিদের জন্য দুইশত টাকা।
জাদুঘরটি ঘুরতে এসেছিলেন দর্শনার্থী জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, আমি এখানে প্রায়ই আসি বন্ধুদের সাথে ঘুরতে। এখানকার প্রত্নত্তত্ত্ব¡ক নিদর্শনগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এমন আরো অনেক নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই রাজবাড়ির আশেপাশে। এগুলোকে ঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে দর্শনার্থীদের আনাগোনা আরও বাড়বে বলে আমি মনে করি।

প্রত্নত্তত্ত্ব অধিদপ্তরের পুঠিয়া রাজবাড়ি জাদুঘর অ্যাসিসট্যান্ট কাস্টোডিয়াল শাওলী তালুকদার জানান, পুঠিয়া রাজবাড়ি ইতিহাস ও ঐতিহ্যগতভাবে অনেক আগে থেকে সমৃদ্ধশালী ছিল। আর সেই প্রচেষ্টাকে সামনে রেখে আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল পুঠিয়া রাজবাড়িতে একটি জাদুঘর চালু করব। ২০১৭ সাল থেকে এই পরিকল্পনা নেয়া হয় অবশেষে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পুঠিয়া রাজবাড়িতে জাদুঘর চালু হয়েছে এবং দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এখানে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রত্নত্তত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা বলেন, পুঠিয়ার রাজবাড়ি একটি বড় পুরাকীর্তি। এখনো এর
পুরো সংরক্ষণকাজ শেষ হয়নি। সব কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে সব কটি কক্ষ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সন্ধ্যায় রাজবাড়িসহ অন্য মন্দিরগুলোতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য পুরো রাজবাড়ি চত্বর আরও আকর্ষণীয় লাগছে। মানুষ সন্ধ্যার পরেও সেখানে ভিড় করছেন।