০১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যাগে ছিল ২৩ লাখ টাকা, পুলিশের জালে চালক 

‘ড্রাইভারকে সাথে নিয়ে আমি পাওনা টাকা কালেকশনে বের হয়েছিলাম। কালেকশনের টাকার ব্যাগ গাড়িতে রেখে আমি বাইপাইলে মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকানে যাই। ঘুরে এসে দেখি টাকার ব্যাগও নেই, ড্রাইভারও নেই। ব্যাগে ছিল ২৩ লাখ টাকা।’ এভাবেই বলছিলেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান।

ঘটনার ৫ দিন পর সেই চালককে খুঁজে বের করে পুলিশ। গতকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জ জেলা থেকে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আসামীর কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে আসামীকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার পাইকারি আরৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃত চালক হলেন, গোপালগঞ্জ সদর থানার মো. খবিরুদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল (৩৩)। তিনি গত ৬ মাস ধরে ২০ হাজার টাকা বেতনে ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানের গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করছিলেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান সাভারের নামা বাজার এলাকার মেসার্স তুফান আলী ট্রেডার্সের মালিক। তিনি তেল, চিনি, আটা, ময়দার পাইকারী ব্যবসায়ী।

লুৎফর রহমান বলেন, গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় ড্রাইভার। পরে সেই দোকানের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখি ড্রাইভার আমার টাকার ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে। পরে থানায় অভিযোগ করি।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী বলেন, এক ব্যবসায়ীর টাকা নিয়ে পালিয়েছিল তাঁর ড্রাইভার। খবর পেয়ে আমরা অভিযানে নামি। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার তিলছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে চুরির ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যাগে ছিল ২৩ লাখ টাকা, পুলিশের জালে চালক 

আপডেট সময় : ০২:২৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
‘ড্রাইভারকে সাথে নিয়ে আমি পাওনা টাকা কালেকশনে বের হয়েছিলাম। কালেকশনের টাকার ব্যাগ গাড়িতে রেখে আমি বাইপাইলে মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকানে যাই। ঘুরে এসে দেখি টাকার ব্যাগও নেই, ড্রাইভারও নেই। ব্যাগে ছিল ২৩ লাখ টাকা।’ এভাবেই বলছিলেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান।

ঘটনার ৫ দিন পর সেই চালককে খুঁজে বের করে পুলিশ। গতকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জ জেলা থেকে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আসামীর কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে আসামীকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার পাইকারি আরৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃত চালক হলেন, গোপালগঞ্জ সদর থানার মো. খবিরুদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল (৩৩)। তিনি গত ৬ মাস ধরে ২০ হাজার টাকা বেতনে ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানের গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করছিলেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান সাভারের নামা বাজার এলাকার মেসার্স তুফান আলী ট্রেডার্সের মালিক। তিনি তেল, চিনি, আটা, ময়দার পাইকারী ব্যবসায়ী।

লুৎফর রহমান বলেন, গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় ড্রাইভার। পরে সেই দোকানের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখি ড্রাইভার আমার টাকার ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে। পরে থানায় অভিযোগ করি।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী বলেন, এক ব্যবসায়ীর টাকা নিয়ে পালিয়েছিল তাঁর ড্রাইভার। খবর পেয়ে আমরা অভিযানে নামি। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার তিলছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে চুরির ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।