বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশে এখনো যারা স্বাধীনতা বিরোধী আমরা যে রাজাকারদের সাথে যুদ্ধ করেছি তাদের বংশধররা এখনো রয়েছে। তারা এখনও ষড়যন্ত্র করে। এরা চায় বাংলাদেশ যাতে না থাকে, তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়। রাজাকার আলবদররা এখনো চায় ৭ তারিখের নির্বাচন যেন না হয়। সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন আজকের এই সমাবেশ এর উপস্থিতি বলে দেয় কোনদিনই এই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না। তারা গাড়িতে আগুন দেয় মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে। বেগম খালেদা জিয়া ১৪ সালের নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছে। পনেরো সালে বলেছিল আমি আর ঘরে ফিরে যাব না শেখ হাসিনা যতদিন পর্যন্ত দেশ ছেড়ে না পালাবে। যতদিন আওয়ামী লীগের পতন না হবে। একটানা নয় মাস শত শত গাড়ি পুরিয়েছে ট্রেন লাইন তুলেছে বিদ্যুতের লাইন কেটেছে। অন্তঃসত্ত্বা মনোরা বেগম নীলফামারী থেকে আসছিল তখন বিএনপির হরতাল রাত তিনটা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় যখন আসে এই বিএনপির সন্ত্রাসীরা, জামাতের দুর্বৃত্তরা তার গাড়িতে আক্রমণ করে। দরজা লাগিয়ে দিয়ে ৩৫ জন যাত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে। এর চেয়ে নির্মমতা নিষ্ঠুরতা আর কি হতে পারে।
কয়েকদিন আগেই শ্রীপুরের ট্রেন লাইন কেটে ৭ টি বগি ফেলে দিয়েছে। মা ছেলেকে গাড়ির মধ্যে পুড়িয়ে দগ্ধ করেছে। এটা কি গণতন্ত্র, স্বাধীন বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নৈতিক পবিত্র দায়িত্ব সংবিধানিক দায়িত্ব মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। আমরা মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিচ্ছি। এভাবে তারা গাড়িপোড়াবে আমরা কি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করব। এর নাম কি গণতন্ত্র এর নাম কি অধিকার। কঠোর হস্তে আমরা তাদেরকে দমন করব। মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্ত্র ছিল না পাক বাহিনীর অস্ত্র কেড়ে নিয়েছি। তাদের ট্যাংক কেড়ে নিয়েছি তাদের কামান কেড়ে নিয়েছি। বাঁশের লাঠি দিয়ে শুরু করেছিলাম। আজকে আবার এই পাকিস্তানিদের ভূত যাদের ঘাড়ে তাদের প্রেতাত্মারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।আমি তাদের হুশিয়ারি করে বলতে চাই দেশের স্বার্থে শান্তির স্বার্থে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধি করার স্বার্থে তাদেরকে সমচিত শিক্ষা দিচ্ছি আরো দেব।
প্রয়োজনে জমায়াত-বিএনপির শেকড় আমরা উপড়ে ফেলে দিব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তারা কোনদিন আদর্শের সাথে নৌকার ব্যাপারে কোন আপস করে না। কয়েকটা টাকা দিয়ে লোভ দেখিয়ে মিথ্যাচার করে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিভ্রান্ত করতে পারবে আমি মোটেও এটি বিশ্বাস করিনা। ইনশাল্লাহ সদরের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার পক্ষে ছিল আগামী দিনেও নৌকার পক্ষ থেকে নৌকাকে উন্নয়নের শীর্ষস্থানে পৌঁছে নিয়ে যাবে।
জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নৌকার প্রার্থী মামুন-অর-রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাউজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা, চিত্র নায়িকা মুনমুনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এসময় চিত্র নায়িকা মুনমুন সকলের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন।

























