০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্ধুকে বাড়ি থেকে ডেকে অপহরণ ২ লক্ষ্য টাকা মুক্তিপণ দাবী 

কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনীয়া ইউনিয়নের কচছপিয়া হাইস্কুল পাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম কে একই এলাকার মোস্তাকের ছেলে রায়হান বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে রায়হানের নির্দেশে অপহরণ করা হয়। মোটোফোনে কল করে স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে দাবী করে দুই লক্ষ্য টাকা। তাদের দেওয়া সময়মত টাকা না দিলে ভিকটিম কে মেরে ফেলে লাশ গুম করার হুমকি দেয় অপহরণ কারীরা। ভিকটিম জাহিদুল ইসলামের পরিবার তাকে উদ্ধার করতে রামু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ পেয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ  ভিকটিম কে উদ্ধার করতে গর্জনীয় পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দেয়। গর্জনীয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ অপহরণকারী রায়হানের পিতা মোস্তাকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ভিকটিম কে ছেড়ে দিতে কঠোর নির্দেশ দেয় ।
পরে অপহরণ কারীর পিতা তার ছেলের সাথে যোগাযোগ করে ভিকটিম কে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানান। এদিকে অপহরণ হওয়া জাহিদুল ইসলামকে পুলিশের চেষ্টায় কালকের মধ্যে উদ্ধার করার আশ্বস্ত করেন ভিকটিমের পরিবার কে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও ভিকটিমের পরিবারের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম কে ফিরিয়ে পেতে কান্নার রোল পড়েছে। এলাকাবাসী জানান- এইভাবে অপহরণ হলে এলাকার সাধারণ মানুষ অনিরাপদ হয়ে পড়বে, তাই প্রশাসনের মাধ্যমে অপহরণ কারীদের আইনের আওতায় আনতে জোরদাবি জানান এলাকাবাসী।
অপহরণ হওয়া ভিকটিমের পরিবার দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়, অপহরণ কারীদের দাবীকৃত মুক্তিপণের এত টাকা দেওয়ার মত সামর্থ্য নেই তার। এদিকে ছেলে কে ফিরেপেতে মা সহ পুরা পরিবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে । অপহরণকারীদের হাত থেকে   জাহিদুল ইসলাম কে উদ্ধার করার কথা পুলিশ বললেও মা-বাবার মনে তৈরি হচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
অপহরণ কারী রায়হানের বাবা মোস্তাক যেকোন ভাবে জাহিদুল ইসলাম কে উদ্ধার করবে এমন কথা জানিয়েছেন  গর্জনীয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ কে। প্রশাসনের প্রতি স্হানীয়দের দাবী সাধারণ মানুষ যাতে এই সব অপহরণ থেকে বাঁচতে পারে দ্রুত অপরাধীদের  আইনের আওতায় আনতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

বন্ধুকে বাড়ি থেকে ডেকে অপহরণ ২ লক্ষ্য টাকা মুক্তিপণ দাবী 

আপডেট সময় : ০৯:২৩:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনীয়া ইউনিয়নের কচছপিয়া হাইস্কুল পাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম কে একই এলাকার মোস্তাকের ছেলে রায়হান বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে রায়হানের নির্দেশে অপহরণ করা হয়। মোটোফোনে কল করে স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে দাবী করে দুই লক্ষ্য টাকা। তাদের দেওয়া সময়মত টাকা না দিলে ভিকটিম কে মেরে ফেলে লাশ গুম করার হুমকি দেয় অপহরণ কারীরা। ভিকটিম জাহিদুল ইসলামের পরিবার তাকে উদ্ধার করতে রামু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ পেয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ  ভিকটিম কে উদ্ধার করতে গর্জনীয় পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দেয়। গর্জনীয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ অপহরণকারী রায়হানের পিতা মোস্তাকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ভিকটিম কে ছেড়ে দিতে কঠোর নির্দেশ দেয় ।
পরে অপহরণ কারীর পিতা তার ছেলের সাথে যোগাযোগ করে ভিকটিম কে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানান। এদিকে অপহরণ হওয়া জাহিদুল ইসলামকে পুলিশের চেষ্টায় কালকের মধ্যে উদ্ধার করার আশ্বস্ত করেন ভিকটিমের পরিবার কে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও ভিকটিমের পরিবারের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম কে ফিরিয়ে পেতে কান্নার রোল পড়েছে। এলাকাবাসী জানান- এইভাবে অপহরণ হলে এলাকার সাধারণ মানুষ অনিরাপদ হয়ে পড়বে, তাই প্রশাসনের মাধ্যমে অপহরণ কারীদের আইনের আওতায় আনতে জোরদাবি জানান এলাকাবাসী।
অপহরণ হওয়া ভিকটিমের পরিবার দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়, অপহরণ কারীদের দাবীকৃত মুক্তিপণের এত টাকা দেওয়ার মত সামর্থ্য নেই তার। এদিকে ছেলে কে ফিরেপেতে মা সহ পুরা পরিবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে । অপহরণকারীদের হাত থেকে   জাহিদুল ইসলাম কে উদ্ধার করার কথা পুলিশ বললেও মা-বাবার মনে তৈরি হচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
অপহরণ কারী রায়হানের বাবা মোস্তাক যেকোন ভাবে জাহিদুল ইসলাম কে উদ্ধার করবে এমন কথা জানিয়েছেন  গর্জনীয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ কে। প্রশাসনের প্রতি স্হানীয়দের দাবী সাধারণ মানুষ যাতে এই সব অপহরণ থেকে বাঁচতে পারে দ্রুত অপরাধীদের  আইনের আওতায় আনতে অনুরোধ জানিয়েছেন।