জনগণকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন যেন না হয় সেজন্য এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি নিজেরা নির্বাচনে যাবে না, অন্যদেরও ভোট দিতে দেবে না। তারা জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। সবাই শান্তিপূর্ণ থাকবেন। কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। প্রমাণ করবেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে দলীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এটিই আওয়ামী লীগের শেষ নির্বাচনি জনসভা। শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ সামনের দিকে যায়, আর বিএনপি থাকলে পেছনের দিকে যায়। আমরা ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম। আর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আমাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ কমিয়ে আগের জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। তারা ক্ষমতায় এসে দুঃশাসন, দুর্নীতি করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো মানুষের ওপর অত্যাচার করে।

সরকারের নেওয়া নানান পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মুজিববর্ষে আমার অঙ্গীকার ছিল কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না। আমরা ভূমিহীনদের জমি দিয়েছি। ম্রমিকদের বেতন ও মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়েছি। এখন আর শিশুদের জন্য বই কিনতে হয় না। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। তবে আপনারা বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। অযথা বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন না। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষকে নতুনভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবন দেওয়া।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশে এত উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পোত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের প্রাচীন প্রজ্ঞাশীল সংগঠন। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা কারও ওপর মুখাপেক্ষী না। কারও ওপর নির্ভর করব না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, করোনার সময় বিনা টাকায় টিকা দিয়েছি। শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি। বস্তিবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট বানিয়ে দিয়েছি। দলিত সম্প্রদায়কে আরও ফ্ল্যাট বানিয়ে দেব। আমরা দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আর বিএনপি মানুষ হত্যা করে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে। পুলিশকে হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতি বাড়িতে হামলা করেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।





















