০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নৌকার সমর্থককে হত্যার ঘটনায় বিদেশগামী আটক

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থক ডালিম সরকার নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টার পর ১৩ জনকে আসামী করে নিহতের মা জয়তুন নেসা মামলাটি করেন। এঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিঙ্গেসাবাদ করতে একজনকে  বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম ডালিম সরকার (৩৫)। তিনি উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি গ্রামের নুর হোসেন সরকারের ছেলে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের নৌকার প্রার্থীর  পক্ষে কাজ করছিলো সে।আটক ব্যক্তির নাম শিপন হোসেন পাটোয়ারী। তিনি মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও আসনটির কাঁচি প্রতীকের সতন্ত্র প্রার্থীর আস্থাভাজন রিপন হোসেন পাটোয়ারী ছোট ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ডালিম পাশের গ্রাম বেহেরকান্দি এলাকা থেকে মুন্সিকান্দি গ্রামে নিজেদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ডালিম মোল্লাবাড়ী আসলে, সে সময় কাঁচি প্রতীকের সমর্থক ইকরাম,পলাশ, রতন, মরজু,নাসিরসহ ১০ জনের একটি দল সেখানে ডালিমকে লক্ষ করে শটগান দিয়ে গুলি চালায়। ঘটনা স্থল এলাকার কেউ কেউ বলছেন,অভিযুক্তদের সঙ্গে মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেনের ছোট ভাই শিপন হোসেন ছিলেন।পরে গুলিবিদ্ধ  ডালিমকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এবং ওই রাতেই ঢাকায় নেওয়ার পর ডালিম মারা যায়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিহতের গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। জানাজা শেষে মুন্সিকান্দি সামাজিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর-গজারিয়া সার্কেল)থান্দার খায়রুল হাসান সবুজ বাংলাকে জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পরে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেছে ডালিমের মা। এঘটনায় জিঙ্গেসা বাদের জন্য রিপন চেয়ারম্যানের ছোট ভাইকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়েছে।তাকে জিঙ্গেসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
পরিবার জানায়, ডালিমের দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তিনি গ্রিসে থাকতেন। পাঁচ বছর আগে দেশে ফেরেন। পরে পারিবারিক ব্যবসায় (গবাদিপশুর খাবার বিক্রি) যুক্ত হন।ডালিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নির্বাচনী বিরোধ নেই বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন নিহত ডালিমের বড় বোন রুখসানা বেগম। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত যে কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছি, তাঁদের দু-তিনজনের সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে আমাদের পরিবারের।
জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

নৌকার সমর্থককে হত্যার ঘটনায় বিদেশগামী আটক

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থক ডালিম সরকার নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টার পর ১৩ জনকে আসামী করে নিহতের মা জয়তুন নেসা মামলাটি করেন। এঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিঙ্গেসাবাদ করতে একজনকে  বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম ডালিম সরকার (৩৫)। তিনি উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি গ্রামের নুর হোসেন সরকারের ছেলে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের নৌকার প্রার্থীর  পক্ষে কাজ করছিলো সে।আটক ব্যক্তির নাম শিপন হোসেন পাটোয়ারী। তিনি মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও আসনটির কাঁচি প্রতীকের সতন্ত্র প্রার্থীর আস্থাভাজন রিপন হোসেন পাটোয়ারী ছোট ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ডালিম পাশের গ্রাম বেহেরকান্দি এলাকা থেকে মুন্সিকান্দি গ্রামে নিজেদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ডালিম মোল্লাবাড়ী আসলে, সে সময় কাঁচি প্রতীকের সমর্থক ইকরাম,পলাশ, রতন, মরজু,নাসিরসহ ১০ জনের একটি দল সেখানে ডালিমকে লক্ষ করে শটগান দিয়ে গুলি চালায়। ঘটনা স্থল এলাকার কেউ কেউ বলছেন,অভিযুক্তদের সঙ্গে মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেনের ছোট ভাই শিপন হোসেন ছিলেন।পরে গুলিবিদ্ধ  ডালিমকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এবং ওই রাতেই ঢাকায় নেওয়ার পর ডালিম মারা যায়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিহতের গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। জানাজা শেষে মুন্সিকান্দি সামাজিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর-গজারিয়া সার্কেল)থান্দার খায়রুল হাসান সবুজ বাংলাকে জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পরে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেছে ডালিমের মা। এঘটনায় জিঙ্গেসা বাদের জন্য রিপন চেয়ারম্যানের ছোট ভাইকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়েছে।তাকে জিঙ্গেসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
পরিবার জানায়, ডালিমের দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তিনি গ্রিসে থাকতেন। পাঁচ বছর আগে দেশে ফেরেন। পরে পারিবারিক ব্যবসায় (গবাদিপশুর খাবার বিক্রি) যুক্ত হন।ডালিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নির্বাচনী বিরোধ নেই বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন নিহত ডালিমের বড় বোন রুখসানা বেগম। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত যে কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছি, তাঁদের দু-তিনজনের সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে আমাদের পরিবারের।