দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৮৯২টি ভোটকেন্দ্রে রয়েছে। যার মধ্যে ৪৫০টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। এই ৬টি আসনে শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে। এসব ভোট কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৯২ ও ভোটকক্ষ ৫ হাজার ৬শটি। এর মধ্যে যমুনার চরাঞ্চলের কেন্দ্র রয়েছে ১২৪টি। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্র ৪৫০টি।
মোট ভোটারের সংখ্যা ২৫ লাখ ১২ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ৬৯ হাজার ৫৭৯জন ও নারী ভোটার ১২ লাখ ৪২ হাজার ৯০২জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১৯ জন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ৬টি আসনে ৮টি রাজনৈতিক দলের ২৬ জন এবং ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৩১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনকে অবাধসূষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী এবং বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়োজিত থাকবেন নির্বাহী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তমাল হোসেন সবুজ বাংলাকে জানান, জেলার ৬টি আসনে ৩৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকবেন। পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে ৯২টি। সেনাবাহিনীর ২৩টি পেট্রল টিম, ১৫ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ১২টি টহল টিম ছাড়াও পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল সবুজ বাংলাকে বলেন, ভোটের আগে ও পরে জেলায় আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে থাকবেন। ৬টি আসনে ৪৫০টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চরাঞ্চলের কেন্দ্রগুলোতেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


























