১১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

দু’জন প্রার্থীর ভোট বর্জন, ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে ককটেল উদ্ধার, নৌকা প্রতীকের বাইরে অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট না থাকা, নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল,  নৌকার ভূয়া এজেন্ট আটকসহ বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে রোববার খুলনার ছয়টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ের প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনুষ্ঠিত হয়। তবে খুলনা- ৪, ৫ ও ৬ আসনে প্রভাবশালী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকলেও তা হয়নি। ফলে সুষ্ঠুভাবপ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, খুলনা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী এবং খুলনা-১ আসনে তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের নানা অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন।
অপরদিকে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার অসংখ্য বুথ ঘুরে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকের এজেন্ট’র বাইরে দুই/একটি কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্ট নেই। এছাড়া ডুমুরিয়ার একটি কেন্দ্রে নৌকার একজন ভুয়া এজেন্টকে আটক করা হয়। এ সময় একটি ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে একটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়।
নির্বাচনের শুরুতে খুলনার ছয়টি আসনের অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রেই ফাঁকা ছিল। বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটারদের সামান্য উপস্থিতির মধ্যে বয়স্ক নারী পুরুষের সংখ্যায় বেশি ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওঠার উপস্থিতি বেড়ে যায়।
কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ কেন্দ্রের বুথগুলোতেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকার এজেন্ট ছাড়া তেমন কোন এজেন্ট ছিল না। সকাল আটটা চল্লিশ মিনিটে খুলনা-২ আসনের আওতাধীন মহানগরীর মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, এই মহিলা কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শুভঙ্কর সরকার জানান, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৬১ টি,  সাতটি বুথ রয়েছে এখানে। এই কেন্দ্রে নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগলের এজেন্ট ছাড়া কোন এজেন্ট পাওয়া যায়নি।  একই আসনের হাজী আব্দুল মালেক মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুরুষ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯ টায় ভোট পড়েছে ৭০ টি। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার পরিমল বিশ্বাস জানান, ভোটার উপস্থিতি কম, যারা আসছেন বয়স্ক। এই কেন্দ্রের সাতটি বুথের মধ্যে ছয়টিতে নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না। তবে একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট ছিল। একইভাবে হাজী আব্দুল মালেক ইসলামিয়া কলেজ শেখ হাসিনা মহিলা কেন্দ্র এবং হাজী আব্দুল মালেক ইসলামিয়া কলেজ অ্যাকাডেমিক ভবনে গিয়েও ভোটারদের কোন সিরিয়াল দেখা যায়নি। ভোটার উপস্থিতি খুবই কম ছিল। একাডেমিক ভবন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এ কে এম মাজহারুল আলম বলেন, সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ৯৩ টি। এ কেন্দ্রেও নৌকা প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্ট কেমন ছিল না।
সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা-৪ আসনের দিঘলিয়া এমএ মজিদ ডিগ্রী কলেজ ও দিঘলিয়া (দঃ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সরকারি এম এ মজিদ ডিগ্রী কলেজ পুরুষ কেন্দ্রে ৩০০ জনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এদিকে, খুলনা-১ তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক ভোট বর্জন করেন। তার অভিযাগ, দাকোপ উপজেলার বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্রে এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় এবং আমাদের ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি। সকাল ৯ টা থেকে ৩ পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে সরজমিনে গিয়ে খুব কম সংখ্যক ভোটার পেয়েছি। তাতে সর্বোচ্চ ১০% ভোট পড়েছে মর্মে ধারণা। কিন্তু ১২ টার দিকে ভোটে কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারি ৬০% ভোট কাউন্ট হয়েছে। ফলে প্রহসনের ভোট আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। একইভাবে খুলনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথীও নির্বাচন বর্জন করেছেন। তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এস এম কামাল এবং তার সমর্থকরা তার কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং তাকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তিনি ফেসবুক ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার দিয়েছেন।
অপরদিকে, খুলনা-৫ আসনের একটি ভোটকেন্দ্র থেকে একজন ভূয়া পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়। রোববার বেলা ১১টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা বিরাজময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। ওই কেন্দ্রে তিনি নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন। আটক জিল্লুর বাগাতি ডুমুরিয়া উপজেলার পূর্ব-শোভনা গ্রামের নওশের বাগাতির ছেলে।
ওই এলাকায় দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন বলেন, কেন্দ্রটিতে গিয়ে এজেন্টের দেখতে চাইলে তিনি নিজেকে এজেন্ট বলে পরিচয় দেন। তবে কোনো নিয়োগপত্র দেখাতে পারেননি। তাই তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

খুলনায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

আপডেট সময় : ০৭:০৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪
দু’জন প্রার্থীর ভোট বর্জন, ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে ককটেল উদ্ধার, নৌকা প্রতীকের বাইরে অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট না থাকা, নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল,  নৌকার ভূয়া এজেন্ট আটকসহ বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে রোববার খুলনার ছয়টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ের প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনুষ্ঠিত হয়। তবে খুলনা- ৪, ৫ ও ৬ আসনে প্রভাবশালী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকলেও তা হয়নি। ফলে সুষ্ঠুভাবপ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, খুলনা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী এবং খুলনা-১ আসনে তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের নানা অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন।
অপরদিকে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার অসংখ্য বুথ ঘুরে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকের এজেন্ট’র বাইরে দুই/একটি কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্ট নেই। এছাড়া ডুমুরিয়ার একটি কেন্দ্রে নৌকার একজন ভুয়া এজেন্টকে আটক করা হয়। এ সময় একটি ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে একটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়।
নির্বাচনের শুরুতে খুলনার ছয়টি আসনের অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রেই ফাঁকা ছিল। বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটারদের সামান্য উপস্থিতির মধ্যে বয়স্ক নারী পুরুষের সংখ্যায় বেশি ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওঠার উপস্থিতি বেড়ে যায়।
কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ কেন্দ্রের বুথগুলোতেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকার এজেন্ট ছাড়া তেমন কোন এজেন্ট ছিল না। সকাল আটটা চল্লিশ মিনিটে খুলনা-২ আসনের আওতাধীন মহানগরীর মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, এই মহিলা কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শুভঙ্কর সরকার জানান, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৬১ টি,  সাতটি বুথ রয়েছে এখানে। এই কেন্দ্রে নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগলের এজেন্ট ছাড়া কোন এজেন্ট পাওয়া যায়নি।  একই আসনের হাজী আব্দুল মালেক মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুরুষ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯ টায় ভোট পড়েছে ৭০ টি। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার পরিমল বিশ্বাস জানান, ভোটার উপস্থিতি কম, যারা আসছেন বয়স্ক। এই কেন্দ্রের সাতটি বুথের মধ্যে ছয়টিতে নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না। তবে একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট ছিল। একইভাবে হাজী আব্দুল মালেক ইসলামিয়া কলেজ শেখ হাসিনা মহিলা কেন্দ্র এবং হাজী আব্দুল মালেক ইসলামিয়া কলেজ অ্যাকাডেমিক ভবনে গিয়েও ভোটারদের কোন সিরিয়াল দেখা যায়নি। ভোটার উপস্থিতি খুবই কম ছিল। একাডেমিক ভবন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এ কে এম মাজহারুল আলম বলেন, সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ৯৩ টি। এ কেন্দ্রেও নৌকা প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্ট কেমন ছিল না।
সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা-৪ আসনের দিঘলিয়া এমএ মজিদ ডিগ্রী কলেজ ও দিঘলিয়া (দঃ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সরকারি এম এ মজিদ ডিগ্রী কলেজ পুরুষ কেন্দ্রে ৩০০ জনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এদিকে, খুলনা-১ তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক ভোট বর্জন করেন। তার অভিযাগ, দাকোপ উপজেলার বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্রে এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় এবং আমাদের ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি। সকাল ৯ টা থেকে ৩ পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে সরজমিনে গিয়ে খুব কম সংখ্যক ভোটার পেয়েছি। তাতে সর্বোচ্চ ১০% ভোট পড়েছে মর্মে ধারণা। কিন্তু ১২ টার দিকে ভোটে কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারি ৬০% ভোট কাউন্ট হয়েছে। ফলে প্রহসনের ভোট আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। একইভাবে খুলনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথীও নির্বাচন বর্জন করেছেন। তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এস এম কামাল এবং তার সমর্থকরা তার কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং তাকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তিনি ফেসবুক ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার দিয়েছেন।
অপরদিকে, খুলনা-৫ আসনের একটি ভোটকেন্দ্র থেকে একজন ভূয়া পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়। রোববার বেলা ১১টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা বিরাজময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। ওই কেন্দ্রে তিনি নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন। আটক জিল্লুর বাগাতি ডুমুরিয়া উপজেলার পূর্ব-শোভনা গ্রামের নওশের বাগাতির ছেলে।
ওই এলাকায় দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন বলেন, কেন্দ্রটিতে গিয়ে এজেন্টের দেখতে চাইলে তিনি নিজেকে এজেন্ট বলে পরিচয় দেন। তবে কোনো নিয়োগপত্র দেখাতে পারেননি। তাই তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।