০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অর্ধ শতাব্দী পর দৃশ্যপট পরিবর্তনে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগ

✡ দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করে পট পরিবর্তন

✡ ৩৫ বছর পর নৌকা প্রতীক বিজয়ী
হলেও ছিলো ওয়ার্কার্স পাটির নেতা
✡ ৫০ বছর পর আ.লীগ নেতা বিজয়ী
হলেও ছিলো না নৌকা প্রতিক
✡  বিভাগীয় শহর হওয়ায় সাংগঠনিকভাবে
ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল আ.লীগ
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশজুড়ে রাজশাহী-২ সংসদীয় আসন। স্থানীয়
ভোটার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে এই আসনে অর্ধ শতাব্দীর খরা দূর করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ।
এবারের নির্বাচনে রাজশাহী মহানগরীর রাজনৈতিক দৃশ্যপটে পরিবর্তনের
ছোঁয়া লেগেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র হলেও নিজ ঘরের
প্রার্থীকে বিজয়ী করে ইতিহাসের পট পরিবর্তন করেছে দেশের স্বাধীনতা
ও সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া এ দলটি।
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের
প্রার্থী রাজশাহী-২ সংসদীয় আসনে মোহাম্মদ খালেদ আলী মিয়া.এমএ
নির্বাচিত হয়। তারপর কেটে গেছে ৫০টি বছর। যদিও ৩৫ বছর পর নবম, দশম
এবং একাদ্বশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নির্বাচিত হয়েছিল
কিন্তু দলটি নিজের ঘরের প্রার্থী পায়নি। জোটের কারনে নির্বাচিত
হয়েছিল ওয়ার্কার্স পাটির নেতা ফজলে হোসেন বাদশ। সদ্য দ্বাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনে
অংশগ্রহণের জন্য সকলকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে
শফিকুর রহমান বাদশার কাঁচি প্রতীকের পক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী
লীগের সমস্ত নেতাকর্মী একাট্রা হয়ে গণজোয়ার সৃষ্টি করে নির্বাচিত
করে।
রাজশাহী বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। বাংলাদেশের
অস্থায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এএইচএম
কামারুজ্জামানের জন্মভূমি এই রাজশাহীতে। এ নগরীকে এক সময় বলা হতো

বিএনপি ও জামায়াতের ঘাটি। এই রাজশাহীতে ৬টি সংসদীয় আসন
রয়েছে এর মধ্যে রাজশাহী-২ (সদর) আসনটি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন
নিয়ে গঠিত। এই আসনটি বিভাগীয় শহর হওয়ায় রাজনৈতিকভাবে অত্যান্ত
গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন রাজনীতিবিদরা। আসনটিতে দলীয় সংসদ সদস্য
না থাকায় সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল আওয়ামী লীগ বলে জানান,
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মহাম্মদ আলী কামাল। এই
আসনটিতে দীঘ অর্ধশত বছর পর আওয়ামী লীগের নিজ ঘরের কোন প্রার্থী
সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের
দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো বলে জানায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তবে
তাদের আফসোস নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত করাতে পারলে আরো
ভালো হতো। তারা বলেন, যদিও ৩৫ বছর পর ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে এ
আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে আমরা বিজয়ী করেছি কিন্তু তিনি
ওয়ার্কার্স পাটির নেতা হওয়ায় একটা আফসোস মনের মাঝে গেথেই
ছিল। এতে স্থানীয় আওয়ামীগের মনের তৃপ্তি না মেটায় অসন্তোষ চলছিল
দীর্ঘদিন থেকে। বাদশার এই আসনে দীর্ঘদিন থেকে দলীয় এমপি চেয়ে
আসছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তাদের ভাষ্য, ১৪ দলের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশ
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা টানা তিন
বার নির্বাচিত হলেও তার নিজের ভোটব্যাংক খুবই ছোট। প্রতিবারই
আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনি নির্বাচিত হয়ে আসছেন। কিন্তু সংসদ
সদস্য হয়ে প্রতিবারই তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে
অসহযোগিতা করেছেন। এছাড়া চলতি মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেতাদের
সমালোচনা ও কটুক্তি করায় তিক্ততা আরও বাড়ে। তাই এবার মহাজোট বা
ফজলে হোসেন বাদশা নয়, বরং সদর এই আসনে দলীয় প্রার্থী পেতে মরিয়া
ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এই আসনে প্রার্থী
হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর
মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল কিন্তু জোটের ভাগাভাগিতে আবারো
মনোনয় পান ওয়ার্কার্স পাটির ফজলে হোসেন বাদশ।
নির্বাচনে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রাহমান বাদশা ২৩
হাজার ৪৪০ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন। এই আসনে ১৪ নৌকা
প্রতিক নিয়ে ফজলে হোসেন বাদশা ভোট পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট
এবং শফিকুর রহমান বাদশা কাঁচি প্রতিক পান ৫৪ হাজার ৯০৬ ভোট।
উল্লেখ্য, স্বাধিন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে। সে সময় রাজশাহী-২ সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ মনোনিত মোহাম্মদ খালেদ আলী মিয়া.এমএ নির্বাচিত হয়।
১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ আসনে নির্বাচিত হন
বিএনপি’র মনোনিত প্রার্থী শাহজাহান মিয়া। ১৯৮৬ সালে তৃতীয়
সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী
মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বাবলূ। ১৯৮৮ সালে চর্তথ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনেও মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বাবলূ নির্বাচিত হয়।

১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতিয় সংসদ নির্বাচনেএ আসনে নির্বাচিত হন
বিএনপি প্রার্থী কবির হোসেন। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী ৬ষ্ঠ জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে এ আসন শুণ্য ছিল। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে নির্বানে এ
আসনে নির্বাচিত হন বিএনপি মনোনিত প্রার্থী কবির হোসেন।
২০০১ সালে ৮ম জাতিয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নির্বাচিত হন
বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু।
এর পর নবম জাতিয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯
ডিসেম্বর। এ নির্বাচনে রাজশাহী-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে
নির্বাচিত হন ১৪ দলীয় জোট থেকে ওয়ার্কার্স পাটির ফজলে হোসেন
বাদশা। এরপর দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ১৪ দলীয় জোট
প্রার্থী হিসেবে ওয়ার্কার্স পাটির ফজেল হোসেন বাদশাকে নৌকা
প্রতিক দিয়ে নির্বাচিত করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

অর্ধ শতাব্দী পর দৃশ্যপট পরিবর্তনে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগ

আপডেট সময় : ০৩:০১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

✡ দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করে পট পরিবর্তন

✡ ৩৫ বছর পর নৌকা প্রতীক বিজয়ী
হলেও ছিলো ওয়ার্কার্স পাটির নেতা
✡ ৫০ বছর পর আ.লীগ নেতা বিজয়ী
হলেও ছিলো না নৌকা প্রতিক
✡  বিভাগীয় শহর হওয়ায় সাংগঠনিকভাবে
ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল আ.লীগ
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশজুড়ে রাজশাহী-২ সংসদীয় আসন। স্থানীয়
ভোটার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে এই আসনে অর্ধ শতাব্দীর খরা দূর করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ।
এবারের নির্বাচনে রাজশাহী মহানগরীর রাজনৈতিক দৃশ্যপটে পরিবর্তনের
ছোঁয়া লেগেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র হলেও নিজ ঘরের
প্রার্থীকে বিজয়ী করে ইতিহাসের পট পরিবর্তন করেছে দেশের স্বাধীনতা
ও সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া এ দলটি।
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের
প্রার্থী রাজশাহী-২ সংসদীয় আসনে মোহাম্মদ খালেদ আলী মিয়া.এমএ
নির্বাচিত হয়। তারপর কেটে গেছে ৫০টি বছর। যদিও ৩৫ বছর পর নবম, দশম
এবং একাদ্বশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নির্বাচিত হয়েছিল
কিন্তু দলটি নিজের ঘরের প্রার্থী পায়নি। জোটের কারনে নির্বাচিত
হয়েছিল ওয়ার্কার্স পাটির নেতা ফজলে হোসেন বাদশ। সদ্য দ্বাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনে
অংশগ্রহণের জন্য সকলকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে
শফিকুর রহমান বাদশার কাঁচি প্রতীকের পক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী
লীগের সমস্ত নেতাকর্মী একাট্রা হয়ে গণজোয়ার সৃষ্টি করে নির্বাচিত
করে।
রাজশাহী বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। বাংলাদেশের
অস্থায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এএইচএম
কামারুজ্জামানের জন্মভূমি এই রাজশাহীতে। এ নগরীকে এক সময় বলা হতো

বিএনপি ও জামায়াতের ঘাটি। এই রাজশাহীতে ৬টি সংসদীয় আসন
রয়েছে এর মধ্যে রাজশাহী-২ (সদর) আসনটি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন
নিয়ে গঠিত। এই আসনটি বিভাগীয় শহর হওয়ায় রাজনৈতিকভাবে অত্যান্ত
গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন রাজনীতিবিদরা। আসনটিতে দলীয় সংসদ সদস্য
না থাকায় সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল আওয়ামী লীগ বলে জানান,
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মহাম্মদ আলী কামাল। এই
আসনটিতে দীঘ অর্ধশত বছর পর আওয়ামী লীগের নিজ ঘরের কোন প্রার্থী
সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের
দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো বলে জানায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তবে
তাদের আফসোস নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত করাতে পারলে আরো
ভালো হতো। তারা বলেন, যদিও ৩৫ বছর পর ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে এ
আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে আমরা বিজয়ী করেছি কিন্তু তিনি
ওয়ার্কার্স পাটির নেতা হওয়ায় একটা আফসোস মনের মাঝে গেথেই
ছিল। এতে স্থানীয় আওয়ামীগের মনের তৃপ্তি না মেটায় অসন্তোষ চলছিল
দীর্ঘদিন থেকে। বাদশার এই আসনে দীর্ঘদিন থেকে দলীয় এমপি চেয়ে
আসছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তাদের ভাষ্য, ১৪ দলের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশ
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা টানা তিন
বার নির্বাচিত হলেও তার নিজের ভোটব্যাংক খুবই ছোট। প্রতিবারই
আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনি নির্বাচিত হয়ে আসছেন। কিন্তু সংসদ
সদস্য হয়ে প্রতিবারই তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে
অসহযোগিতা করেছেন। এছাড়া চলতি মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেতাদের
সমালোচনা ও কটুক্তি করায় তিক্ততা আরও বাড়ে। তাই এবার মহাজোট বা
ফজলে হোসেন বাদশা নয়, বরং সদর এই আসনে দলীয় প্রার্থী পেতে মরিয়া
ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এই আসনে প্রার্থী
হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর
মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল কিন্তু জোটের ভাগাভাগিতে আবারো
মনোনয় পান ওয়ার্কার্স পাটির ফজলে হোসেন বাদশ।
নির্বাচনে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রাহমান বাদশা ২৩
হাজার ৪৪০ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন। এই আসনে ১৪ নৌকা
প্রতিক নিয়ে ফজলে হোসেন বাদশা ভোট পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট
এবং শফিকুর রহমান বাদশা কাঁচি প্রতিক পান ৫৪ হাজার ৯০৬ ভোট।
উল্লেখ্য, স্বাধিন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে। সে সময় রাজশাহী-২ সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ মনোনিত মোহাম্মদ খালেদ আলী মিয়া.এমএ নির্বাচিত হয়।
১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ আসনে নির্বাচিত হন
বিএনপি’র মনোনিত প্রার্থী শাহজাহান মিয়া। ১৯৮৬ সালে তৃতীয়
সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী
মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বাবলূ। ১৯৮৮ সালে চর্তথ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনেও মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বাবলূ নির্বাচিত হয়।

১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতিয় সংসদ নির্বাচনেএ আসনে নির্বাচিত হন
বিএনপি প্রার্থী কবির হোসেন। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী ৬ষ্ঠ জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে এ আসন শুণ্য ছিল। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে নির্বানে এ
আসনে নির্বাচিত হন বিএনপি মনোনিত প্রার্থী কবির হোসেন।
২০০১ সালে ৮ম জাতিয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নির্বাচিত হন
বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু।
এর পর নবম জাতিয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯
ডিসেম্বর। এ নির্বাচনে রাজশাহী-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে
নির্বাচিত হন ১৪ দলীয় জোট থেকে ওয়ার্কার্স পাটির ফজলে হোসেন
বাদশা। এরপর দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ১৪ দলীয় জোট
প্রার্থী হিসেবে ওয়ার্কার্স পাটির ফজেল হোসেন বাদশাকে নৌকা
প্রতিক দিয়ে নির্বাচিত করা হয়।