বাংলা বর্ষ পঞ্জিকায় অনুযায়ী পৌষ মাস প্রায় শেষ হতে চলেছে। আর কিছু দিন পরই মাঘের আগমন ঘটবে। এরই মধ্যে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে শীত জেঁকে বসেছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে। সকাল থেকে দুপুর কিংবা বিকেল, সূর্যের দেখা পাওয়ার কোন উপায় নেই। তাপমাত্রার পারদ হ্রাস পাওয়ায় শীতে কাবু উত্তরের জনপদ।
শুক্রবার (১২) জানুয়ারি সকাল ৯টায় দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ দিন দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিক্লীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে আগামী কয়েকদিনে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে শীতের এমন তীব্রতায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের যেন কষ্টের শেষ নেই। কথা হলে শহরের বাহাদুর বাজারে মাছ নিয়ে আসা অটো চালক ইয়াসিন বলেন, খুব ভোর থেকে মাছ ধরা শুরু হয়। এগুলো ড্রামে বোঝাই করে তারপর বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। শীতে হাত কোন কাজ করে না মাঝেমধ্যে। আগুন পোহাতে হয়। আমাদের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য একটু কষ্ট বেড়ে গেছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, মঙ্গলবার (৯জানুয়ারি) দিনাজপুরে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (১০ জানুয়ারি) ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ১১ ডিগ্রি এবং শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের গতিবেগও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কয়েক দিনে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত প্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


























