১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় তীব্র শীতে হাঁসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে

হাঁড় কাপানো শীতের প্রভাব পড়েছে খুলনার গরম কাপড় ব্যবসায়। হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। বিশেষ করে নগরীর ফুটপাতগুলোতে গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ীরা বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্যবসা ভালো হচ্ছে। শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকলে ব্যবসা আরো ভালো হবে বলে আশা করছেন তারা।
প্রচন্ড শীতের কারণে উষ্ণতার জন্য গরম কাপড়ের কদর বেড়েছে। ভিড় দেখা গেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয়। স্বল্প মূল্যের কারণে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষেরাই বেশি ভিড় করছেন এসব দোকানে। তবে ধনীরাও ঘুরছেন ফুটপাতের দোকানে। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়, হাত-পা মোজা, টুপি, মাফলার, জ্যাকেট কিনতে অনেকেই সেখানে ছুটছেন ।
নগরের আহসান আহমদ রোডস্থ ফুটপাতের গরম কাপড় বিক্রেতা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সবুজ বাংলাকে জানান, শীতে বেচা বিক্রি বেড়েছে। তার দোকানে মাফলার এবং টুপি বেশি বিক্রি হচ্ছে।
খুলনা জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন ফুটপাতের বিক্রেতা মোঃ সজিব বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের তীব্র শীতের কারণে ভালো ব্যবসা হচ্ছে। গরম কাপড় বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। লাভ হচ্ছে বেশ।
সার্কিট হাউস মাঠে খোলা আকাশের নিচে গরম কাপড় সাজিয়েছেন বিক্রেতা মোঃ আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, অতি স্বল্প মূল্যে তিনি শীতের গরম কাপড় বিক্রি করছেন। এরমধ্য  ২০ টাকা থেকে ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যে মানসম্মত সোয়েটার পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ব্যবসা ভালো হচ্ছে। তবে দোকানে একটু দামি পুরনো কাপড় বিক্রি হচ্ছে কম। এভাবে শীত অব্যাহত থাকলে বেচা বিক্রি বাড়বে বলেও আশা করছেন তিনি।
ক্রেতা ফাহাদ ইসলাম বলেন, তীব্র শীত পড়েছে। অভিজাত দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের মূল্য অধিক। দেড় থেকে দুই হাজার টাকার নিচে ভালো সোয়েটার পাওয়া যায় না। তাই মাত্র ৫০- ১০০ টাকার বিনিময়ে ফুটপাত থেকেই গরম কাপড় ক্রয় করছি।
দোকানো আসা সোহেল রানা বলেন, এখন ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো। দাম হাকিয়ে বসে থাকছেন। তারপরও পছন্দ মতো একটি সোয়েটার কিনতে পেরেছি। তবে শীতে কষ্টে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষেরা।
 এদিকে তীব্র শীতে পিঠে-পুলির দোকানে বেচাবিক্রি জমজমাট। নগরীর তারেরপুকুর, মোল্লাবাড়ি মোড়, দোলখোলা, বৈকালী, খালিশপুরের মৌসুমী পিঠার দোকানে ভিড় লক্ষণীয়।
পরিবার নিয়ে পিঠা খেতে আসা মোরশেদ আলম বলেন, শীতে পিঠে খাওয়ার মজাই আলাদা। বাড়িতে পিঠা তৈরীতেও ঝামেলা । তাই ছেলে ও বউকে নিয়ে চলে এলাম তারেরপুকুর। কিন্তু যে ভিড়। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সরকারি আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ  সবুজ বাংলাকে জানান, সারদেশের ন্যায় খুলনা অঞ্চলেও তাপমাত্রা কমছে।  ১৫ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তবে ২০ জানুয়ারি পর আবার তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

খুলনায় তীব্র শীতে হাঁসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে

আপডেট সময় : ০৭:০৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
হাঁড় কাপানো শীতের প্রভাব পড়েছে খুলনার গরম কাপড় ব্যবসায়। হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। বিশেষ করে নগরীর ফুটপাতগুলোতে গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ীরা বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্যবসা ভালো হচ্ছে। শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকলে ব্যবসা আরো ভালো হবে বলে আশা করছেন তারা।
প্রচন্ড শীতের কারণে উষ্ণতার জন্য গরম কাপড়ের কদর বেড়েছে। ভিড় দেখা গেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয়। স্বল্প মূল্যের কারণে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষেরাই বেশি ভিড় করছেন এসব দোকানে। তবে ধনীরাও ঘুরছেন ফুটপাতের দোকানে। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়, হাত-পা মোজা, টুপি, মাফলার, জ্যাকেট কিনতে অনেকেই সেখানে ছুটছেন ।
নগরের আহসান আহমদ রোডস্থ ফুটপাতের গরম কাপড় বিক্রেতা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সবুজ বাংলাকে জানান, শীতে বেচা বিক্রি বেড়েছে। তার দোকানে মাফলার এবং টুপি বেশি বিক্রি হচ্ছে।
খুলনা জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন ফুটপাতের বিক্রেতা মোঃ সজিব বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের তীব্র শীতের কারণে ভালো ব্যবসা হচ্ছে। গরম কাপড় বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। লাভ হচ্ছে বেশ।
সার্কিট হাউস মাঠে খোলা আকাশের নিচে গরম কাপড় সাজিয়েছেন বিক্রেতা মোঃ আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, অতি স্বল্প মূল্যে তিনি শীতের গরম কাপড় বিক্রি করছেন। এরমধ্য  ২০ টাকা থেকে ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যে মানসম্মত সোয়েটার পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ব্যবসা ভালো হচ্ছে। তবে দোকানে একটু দামি পুরনো কাপড় বিক্রি হচ্ছে কম। এভাবে শীত অব্যাহত থাকলে বেচা বিক্রি বাড়বে বলেও আশা করছেন তিনি।
ক্রেতা ফাহাদ ইসলাম বলেন, তীব্র শীত পড়েছে। অভিজাত দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের মূল্য অধিক। দেড় থেকে দুই হাজার টাকার নিচে ভালো সোয়েটার পাওয়া যায় না। তাই মাত্র ৫০- ১০০ টাকার বিনিময়ে ফুটপাত থেকেই গরম কাপড় ক্রয় করছি।
দোকানো আসা সোহেল রানা বলেন, এখন ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো। দাম হাকিয়ে বসে থাকছেন। তারপরও পছন্দ মতো একটি সোয়েটার কিনতে পেরেছি। তবে শীতে কষ্টে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষেরা।
 এদিকে তীব্র শীতে পিঠে-পুলির দোকানে বেচাবিক্রি জমজমাট। নগরীর তারেরপুকুর, মোল্লাবাড়ি মোড়, দোলখোলা, বৈকালী, খালিশপুরের মৌসুমী পিঠার দোকানে ভিড় লক্ষণীয়।
পরিবার নিয়ে পিঠা খেতে আসা মোরশেদ আলম বলেন, শীতে পিঠে খাওয়ার মজাই আলাদা। বাড়িতে পিঠা তৈরীতেও ঝামেলা । তাই ছেলে ও বউকে নিয়ে চলে এলাম তারেরপুকুর। কিন্তু যে ভিড়। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সরকারি আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ  সবুজ বাংলাকে জানান, সারদেশের ন্যায় খুলনা অঞ্চলেও তাপমাত্রা কমছে।  ১৫ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তবে ২০ জানুয়ারি পর আবার তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও জানান তিনি।