০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে খেজুরের দাম শুনেই হতাশ ক্রেতা

রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস। রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। রোজায়
ইফতারির অন্যতম একটি উপাদান খেজুর। বছরের অন্য দিনগুলোতে যেমনই থাকুক না কেন রমজান এলে
এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এসব খেজুর ক্রয় করার সময় নাম আর মান নিয়ে মতভেদ থাকলেও এবার
রোজার আগেই দাম শুনে ক্রেতাগণ হতাশ। বছরের ব্যবধানে সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়ে হয়েছে
আকাশচুম্বী। রংপুরের বাজারে কমদামি খেজুর হিসেবে পরিচিত জিহাদি ও দাবাস। বর্তমানে
প্রতিকেজি দাবাস খেজুর বিক্রয় হচ্ছে ৪৫০ টাকা এবং জিহাদি খেজুর বিক্রয় হচ্ছে ২৪০
টাকায়। গত বছর দাবাস খেজুর বিক্রয় হয়েছে ৩২০ টাকা এবং জিহাদি খেজুর ১৪০ টাকায়।
মরিয়ম খেজুর গত বছর বিক্রয় হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকা। আর এবার দাম উঠেছে ৯০০ টাকা। শুধু
জিহাদি, মরিয়ম বা দাবাস নয়, সব খেজুরের দামই বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি আজওয়া খেজুর
বিক্রয় হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকা, যা গতবছর ছিল ৭০০ টাকা, বরই খেজুর ৩৫০ টাকা, যা গতবছর ছিল
২৪০-২৮০ টাকা, মেডজুল খেজুর বিক্রয় হচ্ছে ১৪৫০ টাকা, যা গতবছর ছিল ১০০০ থেকে ১১৫০
টাকা, তিউনিশিয়া ৪৫০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪০০ টাকা, আম্বারা খেজুর ১২০০ টাকা, যা
গতবছর ছিল ৯০০ টাকা। সুপরি জাতের খেজুর ৮০০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৫৫০ টাকা, নাকাল
খেজুর ২৮০ টাকা থেকে হয়েছে ৪২০ টাকা এবং কালমি খেজুর ৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে
দাঁড়িয়েছে ৭৫০ টাকা। খেজুর বিক্রেতা সুজন বলেন, দুই বছর আগের তুলনায় সব ধরনের খেজুরের
দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছর যে খেজুর ৩২০ টাকা ছিল এখন তা ৪৩০ টাকা। ৭০০ টাকার
খেজুর হয়েছে ১০০০ টাকা। আমজাদ হোসেন নামে এক খেজুর ক্রেতা বলেন, যে খেজুর গত বছর
৬০০ টাকা ছিল এখন তার দাম বলা হচ্ছে ৯০০ টাকা। রোজা শুরু হতে এখনও দেড় মাসের মতো বাকি।
তার আগেই যে দাম, রোজা শুরু হলে না জানি আরও কত বাড়বে। দাম বৃদ্ধির বিষযে খেজুর বিক্রেতা
শরিফুল ইসলাম বলেন, খেজুরতো দেশে হয় না। ডলারের দাম বেড়েছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। এখন এক
গাড়ি খেজুর আনতে যে টাকা লাগে, এক বছর আগে সেই টাকায় তিন গাড়ি খেজুর মিলতো।

জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

রংপুরে খেজুরের দাম শুনেই হতাশ ক্রেতা

আপডেট সময় : ০২:০১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস। রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। রোজায়
ইফতারির অন্যতম একটি উপাদান খেজুর। বছরের অন্য দিনগুলোতে যেমনই থাকুক না কেন রমজান এলে
এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এসব খেজুর ক্রয় করার সময় নাম আর মান নিয়ে মতভেদ থাকলেও এবার
রোজার আগেই দাম শুনে ক্রেতাগণ হতাশ। বছরের ব্যবধানে সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়ে হয়েছে
আকাশচুম্বী। রংপুরের বাজারে কমদামি খেজুর হিসেবে পরিচিত জিহাদি ও দাবাস। বর্তমানে
প্রতিকেজি দাবাস খেজুর বিক্রয় হচ্ছে ৪৫০ টাকা এবং জিহাদি খেজুর বিক্রয় হচ্ছে ২৪০
টাকায়। গত বছর দাবাস খেজুর বিক্রয় হয়েছে ৩২০ টাকা এবং জিহাদি খেজুর ১৪০ টাকায়।
মরিয়ম খেজুর গত বছর বিক্রয় হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকা। আর এবার দাম উঠেছে ৯০০ টাকা। শুধু
জিহাদি, মরিয়ম বা দাবাস নয়, সব খেজুরের দামই বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি আজওয়া খেজুর
বিক্রয় হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকা, যা গতবছর ছিল ৭০০ টাকা, বরই খেজুর ৩৫০ টাকা, যা গতবছর ছিল
২৪০-২৮০ টাকা, মেডজুল খেজুর বিক্রয় হচ্ছে ১৪৫০ টাকা, যা গতবছর ছিল ১০০০ থেকে ১১৫০
টাকা, তিউনিশিয়া ৪৫০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪০০ টাকা, আম্বারা খেজুর ১২০০ টাকা, যা
গতবছর ছিল ৯০০ টাকা। সুপরি জাতের খেজুর ৮০০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৫৫০ টাকা, নাকাল
খেজুর ২৮০ টাকা থেকে হয়েছে ৪২০ টাকা এবং কালমি খেজুর ৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে
দাঁড়িয়েছে ৭৫০ টাকা। খেজুর বিক্রেতা সুজন বলেন, দুই বছর আগের তুলনায় সব ধরনের খেজুরের
দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছর যে খেজুর ৩২০ টাকা ছিল এখন তা ৪৩০ টাকা। ৭০০ টাকার
খেজুর হয়েছে ১০০০ টাকা। আমজাদ হোসেন নামে এক খেজুর ক্রেতা বলেন, যে খেজুর গত বছর
৬০০ টাকা ছিল এখন তার দাম বলা হচ্ছে ৯০০ টাকা। রোজা শুরু হতে এখনও দেড় মাসের মতো বাকি।
তার আগেই যে দাম, রোজা শুরু হলে না জানি আরও কত বাড়বে। দাম বৃদ্ধির বিষযে খেজুর বিক্রেতা
শরিফুল ইসলাম বলেন, খেজুরতো দেশে হয় না। ডলারের দাম বেড়েছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। এখন এক
গাড়ি খেজুর আনতে যে টাকা লাগে, এক বছর আগে সেই টাকায় তিন গাড়ি খেজুর মিলতো।