১১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বল্প পুজিতে সোনালি মুরগি পালনে উদ্যোক্তা সফিকুল এখন স্বাবলম্বী

চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিন এলাকার উদ্যোক্তা সফিকুল ইসলাম বিদেশে কাজের জন্য
পাড়ি না’জমিয়ে স্বল্প পুঁজিতে মাত্র ২লাখ টাকা দিয়ে সোনালি মুরগি পালনের
মধ্যদিয়ে ২বছরের পরিশ্রমে সফিকুল এখন পুরোপুরি স্বাবলম্বী হওয়ার সক্ষমতা
অর্জন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
তিনি মাত্র ২শতাংশ জায়গায় পরিক্ষা মূলক ভাবে সোনালী মুরগীর খামার করে মুরগী
পালন শুরু করে এখন অনেক অর্থের মালিক। তিনি মাত্র এক হাজার মুরগি দিয়ে পরীক্ষা
মূলক ভাবে মুরগী পালন করা শিখে এখন প্রতি দুই মাসে তিনি আয় করেন প্রায়
৩০ হাজার টাকা। ২টি বছর অতিক্রম করার পর যেমন তার চালান(পুজি) ভারী হয়ে সে
এখন অনেক অর্থের মালিক হয়ে এলাকায় আলোচনার বিন্দুতে পরিনত হন। শফিকুল
ইসলাম রিংকুর বাড়ি হচ্ছে,শহরের মতলব দক্ষিন এলাকা পৌর মধ্যকলাদী এলাকায় ৩
নম্বর ওয়ার্ডে। ।
মতলব এলাকায় এ ধরনের দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী সফিকুল ইসলাম রিংকুর এ ধরনের উদ্যোগ
দেখে ও সফলতায় এলাকার অসংখ্য বেকার যুবক সোনালীসহ বিভিন্ন ধরনের মুরগীর
খামার প্রস্ততে আগ্রহি হয়ে পড়েছে।
মতলব দক্ষিনের স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি
না’জমিয়ে স্বল্প পুঁজি নিয়েই সোনালি মুরগির খামারটি গড়ে তোলেন শফিকুল
ইসলাম রিংকু।
এ বিষয়ে সফলতার মূখ দেখা সোনালী খামারের উদ্যোক্তা শফিকুল ইসলাম রিংকু
জানান, আমার বাড়ির পরিত্যক্ত ২ শতাংশ জায়গায় আমি শখের বসে এই খামারটি
গড়ে তুলেছি। যেখানে সব মিলিয়ে আমার প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এখন আমি
এখানে প্রতি ২ মাসের জন্য এক হাজার করে সোনালি মুরগি বাচ্চা থেকে বড়
মুরগী করি। পরে নির্দিষ্ট দোকানদাররা এখান থেকে মুরগি ক্রয় করে নিয়ে যায়।
বাজারে বর্তমানে মুরগির খাদ্যের দাম ব্যাপক আকারে বাড়লেও সব খরচ বাদ দিয়ে
প্রতি ১হাজার সোনালী মুরগীর বাচ্চা বড় করে মুরগী বিক্রি করে আমার প্রায় ৩০
হাজার টাকার লাভের মূখ দেখছি।
তিনি আরো বলেন, আমার উপার্জিত আয় দিয়ে ২ মেয়ে ও ১ ছেলের পড়াশুনা চারিয়ে
সংসার পরিচালনা করে অনেক ভালো আছি। আমি মনে করি কোন কাজকে ছোট করে

দেখা ঠিক না। পরিশ্রম ও আগ্রহ থাকলে চাকরির পেছনে না ছুটে যেকোনোভাবে
উদ্যোক্তা হয়েও স্বাবলম্বী হওয়া সম্বব। আমি একদিনের বাচ্চা কিনে ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজন
হলেই বিক্রি করে দেই। এলাকার অন্য যুবকরা খামারি হতে আগ্রন দেখালে তাদেরও পরামর্শ
সহায়তা দিচ্ছি। আমি যাতে আগামীতে আমার এ ব্যবসাকে আরো বৃদ্ধি করতে পারি
সেজন্য সরকারে কাছে তথা এলাকাবাসীসহ সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগতা চাই।
এ বিষয়ে সরকারের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (প্রাণী স্বাস্থ্য) পলাশ কুমার
দাস বলেন, অনেকেই সোনালি মুরগির খামার করে সফল হচ্ছে। দেশের মুরগির মাংসের
মোট লক্ষ্যমাত্রার সিংহভাগই সোনালি মুরগি থেকে আসছে।
আশা করছি, আগামীতে আরো এর পরিধি বাড়বে। আমাদের কাছে কোনো পরামর্শের
সহায়তার ও প্রয়োজনীয়তা হলে, চাইলে আমরা তা’জন্য দিতে আগ্রহী।
শওকত আলী,চাঁদপুর। ০১৭১২১৯৫৯৪২। ২২-০১-২০২৪।
ক্যাপশান: সোনালী মুরগির খামারে মুরগী যত্ন নিচ্ছেন, শফিকুল ইসলাম রিংকু।

জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

স্বল্প পুজিতে সোনালি মুরগি পালনে উদ্যোক্তা সফিকুল এখন স্বাবলম্বী

আপডেট সময় : ১১:৩৪:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিন এলাকার উদ্যোক্তা সফিকুল ইসলাম বিদেশে কাজের জন্য
পাড়ি না’জমিয়ে স্বল্প পুঁজিতে মাত্র ২লাখ টাকা দিয়ে সোনালি মুরগি পালনের
মধ্যদিয়ে ২বছরের পরিশ্রমে সফিকুল এখন পুরোপুরি স্বাবলম্বী হওয়ার সক্ষমতা
অর্জন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
তিনি মাত্র ২শতাংশ জায়গায় পরিক্ষা মূলক ভাবে সোনালী মুরগীর খামার করে মুরগী
পালন শুরু করে এখন অনেক অর্থের মালিক। তিনি মাত্র এক হাজার মুরগি দিয়ে পরীক্ষা
মূলক ভাবে মুরগী পালন করা শিখে এখন প্রতি দুই মাসে তিনি আয় করেন প্রায়
৩০ হাজার টাকা। ২টি বছর অতিক্রম করার পর যেমন তার চালান(পুজি) ভারী হয়ে সে
এখন অনেক অর্থের মালিক হয়ে এলাকায় আলোচনার বিন্দুতে পরিনত হন। শফিকুল
ইসলাম রিংকুর বাড়ি হচ্ছে,শহরের মতলব দক্ষিন এলাকা পৌর মধ্যকলাদী এলাকায় ৩
নম্বর ওয়ার্ডে। ।
মতলব এলাকায় এ ধরনের দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী সফিকুল ইসলাম রিংকুর এ ধরনের উদ্যোগ
দেখে ও সফলতায় এলাকার অসংখ্য বেকার যুবক সোনালীসহ বিভিন্ন ধরনের মুরগীর
খামার প্রস্ততে আগ্রহি হয়ে পড়েছে।
মতলব দক্ষিনের স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি
না’জমিয়ে স্বল্প পুঁজি নিয়েই সোনালি মুরগির খামারটি গড়ে তোলেন শফিকুল
ইসলাম রিংকু।
এ বিষয়ে সফলতার মূখ দেখা সোনালী খামারের উদ্যোক্তা শফিকুল ইসলাম রিংকু
জানান, আমার বাড়ির পরিত্যক্ত ২ শতাংশ জায়গায় আমি শখের বসে এই খামারটি
গড়ে তুলেছি। যেখানে সব মিলিয়ে আমার প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এখন আমি
এখানে প্রতি ২ মাসের জন্য এক হাজার করে সোনালি মুরগি বাচ্চা থেকে বড়
মুরগী করি। পরে নির্দিষ্ট দোকানদাররা এখান থেকে মুরগি ক্রয় করে নিয়ে যায়।
বাজারে বর্তমানে মুরগির খাদ্যের দাম ব্যাপক আকারে বাড়লেও সব খরচ বাদ দিয়ে
প্রতি ১হাজার সোনালী মুরগীর বাচ্চা বড় করে মুরগী বিক্রি করে আমার প্রায় ৩০
হাজার টাকার লাভের মূখ দেখছি।
তিনি আরো বলেন, আমার উপার্জিত আয় দিয়ে ২ মেয়ে ও ১ ছেলের পড়াশুনা চারিয়ে
সংসার পরিচালনা করে অনেক ভালো আছি। আমি মনে করি কোন কাজকে ছোট করে

দেখা ঠিক না। পরিশ্রম ও আগ্রহ থাকলে চাকরির পেছনে না ছুটে যেকোনোভাবে
উদ্যোক্তা হয়েও স্বাবলম্বী হওয়া সম্বব। আমি একদিনের বাচ্চা কিনে ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজন
হলেই বিক্রি করে দেই। এলাকার অন্য যুবকরা খামারি হতে আগ্রন দেখালে তাদেরও পরামর্শ
সহায়তা দিচ্ছি। আমি যাতে আগামীতে আমার এ ব্যবসাকে আরো বৃদ্ধি করতে পারি
সেজন্য সরকারে কাছে তথা এলাকাবাসীসহ সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগতা চাই।
এ বিষয়ে সরকারের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (প্রাণী স্বাস্থ্য) পলাশ কুমার
দাস বলেন, অনেকেই সোনালি মুরগির খামার করে সফল হচ্ছে। দেশের মুরগির মাংসের
মোট লক্ষ্যমাত্রার সিংহভাগই সোনালি মুরগি থেকে আসছে।
আশা করছি, আগামীতে আরো এর পরিধি বাড়বে। আমাদের কাছে কোনো পরামর্শের
সহায়তার ও প্রয়োজনীয়তা হলে, চাইলে আমরা তা’জন্য দিতে আগ্রহী।
শওকত আলী,চাঁদপুর। ০১৭১২১৯৫৯৪২। ২২-০১-২০২৪।
ক্যাপশান: সোনালী মুরগির খামারে মুরগী যত্ন নিচ্ছেন, শফিকুল ইসলাম রিংকু।