সরকার সম্পূর্ণভাবে সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক তরফা নির্বাচন বাতিলসহ শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ‘বাংলাদেশ কোন পথে’ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মান্না বলেন, নির্বাচনে যারা স্বতন্ত্র হয়ে জয়ী হয়েছে তারা আবার আওয়ামী লীগে ফিরে যেতে চায়। পরিস্থিতি ৭ জানুয়ারির আগে যা ছিল এখন সে রকমই আছে৷ বরং সরকারের জন্য পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ডলার নেই, আমদানি করা যাচ্ছে না। এমনকি খাদ্যপণ্যও আমদানি করা যাচ্ছে না।

মান্না আরও বলেন, নতুন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট বন্ধ করে দেবেন। কই পেরেছেন। সিন্ডিকেট ভেঙেছে! বরং জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়েছে।

আলোচনা সভায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতিতে দেশে একটি নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। দেশে আইন, আদালত, বিচার ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে৷ আমাদের এক ভাই যাকে জেলে ১০ ফিট বাই ১০ ফিট রুমে রেখেছে। কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। আদালতে এসে বলার সময় পুলিশ মুখ চেপে ধরেছে কথা বলতে দেয় না। আজকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যারা জেলে রয়েছে প্রত্যেকের সঙ্গে পৈশাচিক ব্যবহার করা হচ্ছে।

নুর বলেন, আন্দোলনে যে সমস্ত নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে বা জেলখানায় রয়েছে তাদের চিকিৎসা বা আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে একটা সেল করা প্রয়োজন।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জনগণ রাস্তায় নামলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশ ছাড়বে। সময় আছে এখনই ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেন। দেশের টাকা লুটপাট করে নেওয়া হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বেশি। সাধারণ মানুষ টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে বোঝা যায় মানুষ কষ্টে আছে। কিছু মানুষ পুঞ্জিভূত হচ্ছে, অনেক টাকার মালিক হচ্ছে। দেশকে বাঁচাতে হলে এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত এ আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির অন্যান্য নেতারাও বক্তব্য রাখেন।

স/ম