১২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নৌপথে প্রত্যাবর্তন

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদারতা দেখানোর সুযোগ নাই

মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল দুপুরে রাজধানী বনানী সেতু ভবনে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন আর নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে দিব না। এর আগে উদারতা দেখিয়ে সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছিল। এখন সেই উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই।’ ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আমাদের যেন কোন শঙ্কা বা উদ্বেগের কারণ না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি। বিশেষ করে চীন ও ভারতের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছি। বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হয়েছিল। তারা বলেছেন সংঘাতে যারা বাংলাদেশে
পালিয়ে এসেছে, তাদের ফেরত নেবে তারা।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, সেটা কমে গেছে। এমন অবস্থায় এই বোঝা আমরা আর কতদিন বইব? আরাকান আর্মি মিয়ানমারের নিজস্ব সমস্যা। তাদের ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে তারা কী করবে- সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের সমস্যার জন্য আমাদের এখানে যেন কোনো শঙ্কা বা উদ্বেগ না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।
এদিকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩০০ জনের বেশি সদস্যকে সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হবে বলে গতকাল গণমাধ্যমকে জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এর আগে তাদের আকাশপথে পাঠানো হবে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা। গতকাল আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমার প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব করেছিল যে সীমান্তরক্ষীদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হোক। কিন্তু আমরা ভেবেছি এটি নিরাপদ হবে না। এখন আমরা ভাবছি যে, তারা যেভাবে চায় সেভাবেই তাদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো যেতে পারে।’ বিজিপি সদস্যদের কবে ফেরত পাঠানো হবে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আগে তাদের প্রত্যাবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’ বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

স/ম

জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

নৌপথে প্রত্যাবর্তন

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদারতা দেখানোর সুযোগ নাই

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল দুপুরে রাজধানী বনানী সেতু ভবনে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন আর নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে দিব না। এর আগে উদারতা দেখিয়ে সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছিল। এখন সেই উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই।’ ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আমাদের যেন কোন শঙ্কা বা উদ্বেগের কারণ না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি। বিশেষ করে চীন ও ভারতের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছি। বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হয়েছিল। তারা বলেছেন সংঘাতে যারা বাংলাদেশে
পালিয়ে এসেছে, তাদের ফেরত নেবে তারা।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, সেটা কমে গেছে। এমন অবস্থায় এই বোঝা আমরা আর কতদিন বইব? আরাকান আর্মি মিয়ানমারের নিজস্ব সমস্যা। তাদের ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে তারা কী করবে- সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের সমস্যার জন্য আমাদের এখানে যেন কোনো শঙ্কা বা উদ্বেগ না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।
এদিকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩০০ জনের বেশি সদস্যকে সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হবে বলে গতকাল গণমাধ্যমকে জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এর আগে তাদের আকাশপথে পাঠানো হবে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা। গতকাল আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমার প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব করেছিল যে সীমান্তরক্ষীদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হোক। কিন্তু আমরা ভেবেছি এটি নিরাপদ হবে না। এখন আমরা ভাবছি যে, তারা যেভাবে চায় সেভাবেই তাদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো যেতে পারে।’ বিজিপি সদস্যদের কবে ফেরত পাঠানো হবে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আগে তাদের প্রত্যাবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’ বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

স/ম