০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। কানায় কানায় পরিপূর্ণ সমুদ্র বালিয়াড়ি। কক্ষ খালি নেই পাঁচশতাধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজ।
সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে দেশের নানান প্রান্ত থেকে প্রায় লক্ষাদিক পর্যটক এসেছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।
সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখা যায় বালিয়াড়ি, ঝাউবন,কিটকট, ছাতা মার্কেটে লোকে লোকারণ্য। ব্যস্ত সময় পার করছেন সমুদ্রের ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফার, কিটকট, ওয়াটারবাইক,বীচ বাইক ও ব্যবসায়ীরা।
সমুদ্র সৈকতের ছাতা মার্কেট ক্ষুদ্র ঝিনুক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন দুলাল বলেন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পরবর্তী সময় পর্যন্ত তেমন পর্যটক না থাকায় ব্যবসায়ীরা হতাশায় নিমজ্জিত ছিল। আমরা আশা করছি ফেব্রুয়ারি মাসের পুরোটাই পর্যটকদের ভিড় এমনটাই থাকবে। আমরা আমাদের ব্যবসার ক্ষতিপুষিয়ে নিতে পারব।
হোটেল হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন ডিসকাউন্ট এ রোম ভাড়া দিয়েও আমরা কর্মচারীদের বেতন তুলতে পারিনি। আশানুরূপ পর্যটক না আসলে আমরাই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবো না তবে আজকাল যে পরিমাণ পর্যটক দেখা যাচ্ছে তাতে তাতে আমরা নিরাশ নয়। আশা করছি কিছুটা হলেও আমাদের ক্ষতি পুষে উঠতে পারবো।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মাসের শেষ অব্দি পর্যটকের বাড়তি চাপ থাকবে। বিষয়টি মাথায় রেখে ট্যুরিস্ট পুলিশেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আমরা কাজ করে যাবো।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম বলেন পর্যটক সেবার মান উন্নয়ন ও সেবার পরিধি বাড়াতে আমরা বদ্ধপরিকর।
গতকাল শুক্রবার সমুদ্রের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকরা তাদের খেয়াল খুশি মতো সমুদ্র স্নান,ছবি তোলা, কেনাকাটা  আনন্দ উল্লাসে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা মোঃ সলিমুল্লাহর সাথে কথা বললে তিনি জানান রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্বাচন, স্কুল ভর্তি সব শেষ করে শিত মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই পরিবার নিয়ে আমরা বেড়াতে এসেছি। এখানে এসে দেখি এত পর্যটকের ভিড়ে সবদিকে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে, পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। আশা করছি প্রশাসন  এদিকে খেয়াল রাখবেন।

জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধের হুঁশিয়ারি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল

আপডেট সময় : ০৭:৩০:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। কানায় কানায় পরিপূর্ণ সমুদ্র বালিয়াড়ি। কক্ষ খালি নেই পাঁচশতাধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজ।
সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে দেশের নানান প্রান্ত থেকে প্রায় লক্ষাদিক পর্যটক এসেছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।
সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখা যায় বালিয়াড়ি, ঝাউবন,কিটকট, ছাতা মার্কেটে লোকে লোকারণ্য। ব্যস্ত সময় পার করছেন সমুদ্রের ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফার, কিটকট, ওয়াটারবাইক,বীচ বাইক ও ব্যবসায়ীরা।
সমুদ্র সৈকতের ছাতা মার্কেট ক্ষুদ্র ঝিনুক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন দুলাল বলেন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পরবর্তী সময় পর্যন্ত তেমন পর্যটক না থাকায় ব্যবসায়ীরা হতাশায় নিমজ্জিত ছিল। আমরা আশা করছি ফেব্রুয়ারি মাসের পুরোটাই পর্যটকদের ভিড় এমনটাই থাকবে। আমরা আমাদের ব্যবসার ক্ষতিপুষিয়ে নিতে পারব।
হোটেল হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন ডিসকাউন্ট এ রোম ভাড়া দিয়েও আমরা কর্মচারীদের বেতন তুলতে পারিনি। আশানুরূপ পর্যটক না আসলে আমরাই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবো না তবে আজকাল যে পরিমাণ পর্যটক দেখা যাচ্ছে তাতে তাতে আমরা নিরাশ নয়। আশা করছি কিছুটা হলেও আমাদের ক্ষতি পুষে উঠতে পারবো।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মাসের শেষ অব্দি পর্যটকের বাড়তি চাপ থাকবে। বিষয়টি মাথায় রেখে ট্যুরিস্ট পুলিশেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আমরা কাজ করে যাবো।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম বলেন পর্যটক সেবার মান উন্নয়ন ও সেবার পরিধি বাড়াতে আমরা বদ্ধপরিকর।
গতকাল শুক্রবার সমুদ্রের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকরা তাদের খেয়াল খুশি মতো সমুদ্র স্নান,ছবি তোলা, কেনাকাটা  আনন্দ উল্লাসে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা মোঃ সলিমুল্লাহর সাথে কথা বললে তিনি জানান রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্বাচন, স্কুল ভর্তি সব শেষ করে শিত মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই পরিবার নিয়ে আমরা বেড়াতে এসেছি। এখানে এসে দেখি এত পর্যটকের ভিড়ে সবদিকে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে, পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। আশা করছি প্রশাসন  এদিকে খেয়াল রাখবেন।