০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাতৃভাষার প্রসারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড

লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে মাতৃভাষা চর্চা, প্রচার ও প্রসার ঘটাতে চায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। সে জন্য মহান ভাষাশহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড আয়োজন করে। উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ, যুগ্মসচিব (প্রশাসন অধিশাখা) মো. নজরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভাষা, গবেষণা ও পরিকল্পনা) মো. আমিনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. জেনিফার জাহান, সহযোগী অধ্যাপক তাওহিদা জাহান, লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের সদস্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (কলেজ-১) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মো: আবদুল কাদের ও নিগার সুলতানা এবং সহকারী পরিচালক পুলক কুমার ধর ও লুৎফর রহমান খান, বাংলাদেশ লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড সোসাইটির প্রতিনিধি মো. সেলিম মিয়া।

প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে এই আয়োজনের লক্ষ্য হচ্ছে মাতৃভাষাকে ভালোবাসা। আমরা মাতৃভাষাকে ভালোবাসি, কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে পৃথিবীর প্রায় ৭ হাজার মাতৃভাষাকে ভালোবাসা। তার অংশ হিসেবে এই লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড আয়োজন। এর মাধ্যমে বাংলাসহ অন্যান্য মাতৃভাষা চর্চার প্রতি নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিপন্ন ভাষা পুনরুদ্ধার, বিকাশ ও নথিবদ্ধকরণের কাজে এ প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত আছে। জাতিরজনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাতৃভাষা চর্চার প্রতি গুরুত্ব অনস্বীকার্য বলে মনে করি।’ আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ বলেন, ‘এই চূড়ান্তপর্বে অংশগ্রহণকারীরে মধ্যে যারা বিজয়ী হবে সেই ৬ জনকে অগ্রিম অভিন্দন এবং তোমাদের সবার মাধ্যমে মাতৃভাষার প্রতি সচেতনতা সবার মাঝে সঞ্চারিত হবে। নিশ্চই আগামিতে আমাই এই আয়োজন আরও বর্নিল করবে এ আশাবা ব্যাক্ত করে এ আয়োজনের সফলতা কামনা করি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক (প্রকাশনা, প্রচার, তথ্য ও জনসংযোগ) মোঃ আবদুল কাদের জানান, লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের ৫টি অঞ্চলের ৬টি ভেন্যুর ১৫২ জন চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের ৫টি অঞ্চলের ৬টি ভেন্যুর রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে ও চূড়ান্ত বিজয়ী ২ ক্যাটাগরিতে ৩ জন করে অভিনন্দন। এই ৬ জন প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে একুশের অনুষ্ঠানমালায় পুরস্কার গ্রহণ করবেন এবং তারা এ বছর ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের জন্য বিবেচিত হবেন। তাদের সবার মাধ্যমে আমাদের মাতৃভাষাসহ পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার প্রতি সঠিক ও শুদ্ধভাবে উচ্চারণ, সচেতনতা ও ভালোবাসা সবার মাঝে সঞ্চারিত হবে।
পরীক্ষা এবং সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীবৃন্দ ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে ফলাফল ঘোষণা করেন এবং সভাপতি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

মাতৃভাষার প্রসারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড

আপডেট সময় : ০৯:০০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে মাতৃভাষা চর্চা, প্রচার ও প্রসার ঘটাতে চায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। সে জন্য মহান ভাষাশহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড আয়োজন করে। উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ, যুগ্মসচিব (প্রশাসন অধিশাখা) মো. নজরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভাষা, গবেষণা ও পরিকল্পনা) মো. আমিনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. জেনিফার জাহান, সহযোগী অধ্যাপক তাওহিদা জাহান, লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের সদস্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (কলেজ-১) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মো: আবদুল কাদের ও নিগার সুলতানা এবং সহকারী পরিচালক পুলক কুমার ধর ও লুৎফর রহমান খান, বাংলাদেশ লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড সোসাইটির প্রতিনিধি মো. সেলিম মিয়া।

প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে এই আয়োজনের লক্ষ্য হচ্ছে মাতৃভাষাকে ভালোবাসা। আমরা মাতৃভাষাকে ভালোবাসি, কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে পৃথিবীর প্রায় ৭ হাজার মাতৃভাষাকে ভালোবাসা। তার অংশ হিসেবে এই লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড আয়োজন। এর মাধ্যমে বাংলাসহ অন্যান্য মাতৃভাষা চর্চার প্রতি নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিপন্ন ভাষা পুনরুদ্ধার, বিকাশ ও নথিবদ্ধকরণের কাজে এ প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত আছে। জাতিরজনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাতৃভাষা চর্চার প্রতি গুরুত্ব অনস্বীকার্য বলে মনে করি।’ আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ বলেন, ‘এই চূড়ান্তপর্বে অংশগ্রহণকারীরে মধ্যে যারা বিজয়ী হবে সেই ৬ জনকে অগ্রিম অভিন্দন এবং তোমাদের সবার মাধ্যমে মাতৃভাষার প্রতি সচেতনতা সবার মাঝে সঞ্চারিত হবে। নিশ্চই আগামিতে আমাই এই আয়োজন আরও বর্নিল করবে এ আশাবা ব্যাক্ত করে এ আয়োজনের সফলতা কামনা করি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক (প্রকাশনা, প্রচার, তথ্য ও জনসংযোগ) মোঃ আবদুল কাদের জানান, লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের ৫টি অঞ্চলের ৬টি ভেন্যুর ১৫২ জন চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের ৫টি অঞ্চলের ৬টি ভেন্যুর রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে ও চূড়ান্ত বিজয়ী ২ ক্যাটাগরিতে ৩ জন করে অভিনন্দন। এই ৬ জন প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে একুশের অনুষ্ঠানমালায় পুরস্কার গ্রহণ করবেন এবং তারা এ বছর ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের জন্য বিবেচিত হবেন। তাদের সবার মাধ্যমে আমাদের মাতৃভাষাসহ পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার প্রতি সঠিক ও শুদ্ধভাবে উচ্চারণ, সচেতনতা ও ভালোবাসা সবার মাঝে সঞ্চারিত হবে।
পরীক্ষা এবং সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীবৃন্দ ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে ফলাফল ঘোষণা করেন এবং সভাপতি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।