আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মার্কিন কোনো প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এলেই বিএনপি নালিশে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নালিশ করা বিএনপির রাজনীতি। এটা তাদের পুরনো অভ্যাস। জনগণের কাছে নালিশ করার চেয়ে তারা বিদেশিদের কাছে করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।’
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ফেনীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল জেল থেকে বের হয়ে অসুস্থতার অজুহাতে জনগণের কাছে যাননি। তবে মার্কিন প্রতিনিধিদল দেশে আসায় লাঠি ভর করে ঠিকই গেছেন। যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল আসবে তখন হাতে লাঠি একটা নিয়ে তাদের কাছে নালিশ করতে গেছে।’
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় খেসারত বিএনপিকে দিতে হবে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা আন্দোলনে সফল হতে পারেনি, নির্বাচনে আসতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা অচিরেই টের পাবে তারা নিজেদের কতটা সংকুচিত করে ফেলেছে। এজন্য বিএনপিকে অনেকদিন খেসারত দিতে হবে।’
আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন, নিজেরা নিজেরা মনোমালিন্য করবেন না। সামনে উপজেলা নির্বাচন, এই নির্বাচনে কোনো মার্কা নেই। আমরা কেউকে নৌকা দিচ্ছি না। আমরা কাউকে দল থেকে মনোনয়ন দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে সব কিছু ওপেন।’
প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখে শেখ হাসিনা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নিতে চান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওপেন হলে নির্বাচনটা কেমন হবে, সে অভিজ্ঞতাটাও আমাদের দরকার। প্রধানমন্ত্রী সে অভিজ্ঞতা নিতে চান।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘স্বতন্ত্র দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে নির্বাচনের শুদ্ধতার কোনো সংকট হয়নি। সমালোচনা যারা করে, তারা করবেই। দেশেও করবে, বিদেশেও করবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উন্নয়ন কাজের বিষয় বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা দোয়া করবেন, নতুন এ পাঁচ বছরে যেসব কাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি, যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম আগের ডিজাইনটি পরিবর্তন করা দরকার। আমরা প্রোগ্রাম নিয়েছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম আপাতত ছয় লেন আমরা করবো। পরবর্তীতে আরো বাড়ানোর প্রয়োজন হবে। এলিভেটের আকারে বাড়ানোর কথা ভবিষ্যতে আমাদের ভাবতে হতে পারে।’
সব/ট

























