আগামীকাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরু হওয়া নিউজিল্যান্ডের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দলে নিল ওয়াগনার থাকবেন না, নির্বাচকদের এমন সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে অবসরের সিধান্ত নিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে ৩৭ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের সাথে কোচ গ্যারি স্টিডের সাথে কঠিন আলোচনা হয়। সেখানেই নিশ্চিত হয়ে যায় তার ভাগ্য। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তিনি থাকছেন না সেটাও ছিল সবার মুখে মুখে। প্রথম টেস্টের দলে না থাকায় মঙ্গলবার ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভ থেকে কোচ স্টিডকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসার পর ক্যারিয়ারের ৬৪তম টেস্টে এ সিধান্ত নিলেন। তিনি ২৭.৫৭ স্ট্রাইকরেটে ৫২.৭ গড়ে ২৬০টি উইকেট শিকার করেন। কিউইদের হয়ে ১০০ উইকেট পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে স্ট্রাইকরেটের বিবেচনায় শুধুমাত্র স্যার রিচার্ড হার্ডলিই তার উপরে ছিলেন।
আর্ন্তজাতিক টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিধান্ত নিলেও প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া ক্রিকেট তিনি চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যেখানে অনেক কিছু দিয়েছেন এবং যা থেকে অনেক কিছু পেয়েছেন, তা থেকে সরে যাওয়া সহজ নয়। কিন্তু এখন সময় এসেছে অন্যদের এগিয়ে যাওয়ার এবং এই দলকে এগিয়ে নেওয়ার। আমি ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি এবং একটি দল হিসেবে আমরা যা অর্জন করতে পেরেছি, তার জন্য আমি গর্বিত।’
বিদায় বেলায় প্রিয়জনদের ধন্যবাদ জানাতে ভুল করেননি ওয়াগনার। তিনি বলেন, ‘আজ এখানে আসতে যেভাবে আমাকে সকলে সহযোগিতা করেছে তার জন্য জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আমি সতীর্থদের যাদেরকে আমার পৃথিবী হিসেবে গন্য করি তাদের জন্য সর্বদা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে দলের জন্য। আশা করছি আমি আমার উত্তরাধিকার রেখে যেতে পারছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সব ধরনের সহযোগিতা ও সহায়তার জন্য আমি আমার স্ত্রী লানাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। যে আমাকে এমন একটি মানুষ হতে সহযোগিতা করেছে। পাশাপাশি আমার দুই মেয়ে অলিভিয়া ও জাহলি এবং ছোট ছেলে জশকে বড় করতে তার যে অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগ সেটার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই।’
ওয়াগনার শেষবেলায় ২০১৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে তার প্রথম টেস্ট জয়, ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে নিউজিল্যান্ডের প্রথম সিরিজ জয়, ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় ; যেখানে ক্রাইস্টচার্চে শেষ দিনে তিনি ১০৭ মিনিট ব্যাট করেছিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের কথা স¥রণ করেছেন। আর গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক রানের জয়টা টেস্ট ক্রিকেটে তার প্রিয় স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে বলেও জানিয়েছেন।

























