বিশ্ব নারী দিবসের শুভেচ্ছা সকল নারীকে। নারী দিবস’টি পালন করা হয় সারা বিশ্বে নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অর্জনকে সম্মান জানাতে। নারী সারা বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক,তাই নারী পুরুষ বৈষম্য না করে সমান তালে এগিয়ে গেলে পৃথিবী আগাবে দ্বিগুন গতিতে। শতবর্ষ কিংবা তারও আগে থেকে নারী দিবস পালন করা হলেও সমাজে আজও নারীরা তাদের সমান অধিকার পায়না, তাদের প্রতিভার প্রমাণ রাখতে লড়াই করতে হয়,সবার বিরুদ্ধে।তবে নারীরা এখন অনেক সচেতন। তারা তাদের অধিকার বুঝতে শিখেছে, লড়াই করার সাহসও তাদের প্রবল। সকল ক্ষেত্রে তাদের পদচারণা এটাই প্রমাণ করে, নারীর কাজ কেবল ঘর সামলানো নয়, নারীদেরও আছে প্রখর প্রতিভা। তাদের অবদানের স্বীকৃতি জানাতেই পালিত হয়,এই দিন টি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪-এর থিম হল ‘ইনস্পায়ার ইনক্লুশন’এবং এর উদ্দেশ্য হল অন্যদের অনুপ্রাণিত করা যাতে আমরা একটি উন্নত বিশ্ব গঠন করতে পারি। আমি সকল নারী-পুরুষকে যার যার অবস্থান থেকে সমান তালে এগিয়ে যাবার আহ্বান জানাচ্ছি।
শ্রুতি, শিক্ষার্থী,বাংলা,ইডেন মহিলা কলেজ
নারীরা মমতাময়ী আবার সেই নারীরাই রুদ্ররূপ ধারণ করতে পারে। বর্তমান সময়ে নারীদের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। তারা ঘরের বাইরে উভয় দিক সামলাচ্ছে। তারপরও কি তারা ন্যায্য সম্মান, অধিকার পাচ্ছে? শিক্ষাক্ষত্রে থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র প্রতিটি জায়গায় আজও তারা অসম্মানের স্বীকার হয়। বর্তমান সময়ে যা কাম্য নয়। তবে আনন্দের বিষয় হচ্ছে বর্তমানে অধিকাংশ নারীই তার প্রাপ্য অধিকার নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। কন্যা সন্তানের পিতামাতারাও তাদের কন্যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। পুরোনো ধ্যান ধারণা থেকে বের হয়ে। তারা তাদের কন্যা সন্তানের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।তাদের স্বপ্ন পূরণের সারথী হিসেবে সাহায্য করছে। আজকে এই নারী দিবসে আমার চাওয়া একটাই আমরা নারীরা নারীদের পথের বাঁধা না হয়ে তাদের চলার পথটা যেন সহজ করে দিতে পারি। আমরা নারী, আমরা সব পারি। নিজেদের দূর্বল না ভেবে নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে যাতে এগিয়ে যেতে পারি, দেশে গর্ব হতে পারি। সেই চেষ্টাই করবো আমরা।
আজকে এই নারী দিবসে।
খন্দকার রাহিমা বেগম স্মৃতি,শিক্ষার্থী,অর্থনীতি,সো
“বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।”জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ছড়া রচিত এই পঙক্তিগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায়। নারীরা হলেন সমাজের অন্যতম পরাশক্তি।সুস্থ-নিরপেক্ষ সমাজ বিনির্মাণে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। নারীশক্তির বিকাশের জন্য প্রতিবছর ৮ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে থাকে “আন্তর্জাতিক নারী দিবস”।১৯১৪ সাল থেকে এই দিবস পালিত হয়ে থাকলেও ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চ কে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।প্রতিটা দিন হোক নারীর জন্য নিরাপদ, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হোক, নারী কে শুধু নারী নয় মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে, সমাজে নারীদের সুস্পষ্ট অবস্থান, প্রজন্ম হোক সমতার এইতো চাওয়া। নারী দিবসে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া, বিধবা বিবাহ প্রচলনকারী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কে।আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ওয়েবসাইট অনুসারে বেগুনী, সবুজ ও সাদা আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রঙ।আল্লাহর দরবারে অনেক শুকরিয়া। তিনি আমাকে নারী জাতি হিসেবে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। আসুন আমরা সকলে মিলে নারীদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই এবং নারীদের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য কাজ করি।নারী দিবসের শুভেচ্ছা।
অদিতি শামসী,শিক্ষার্থী,বাংলা, সোহরাওয়ার্দী কলেজ
নারী দিবসে নারীদের কিছু প্রকাশ করারও সুযোগ পেলাম। খুবই ভালো লাগছে, এটা ভেবে যে নারীদের জন্য ও একটা দিবস রয়েছে। আমরা হয়তো জানি যে নারীরা এখন কোন দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই। তাঁরই উদাহরণ আমাদের দেশের সরকার প্রধান। সংসদে স্পিকার নারী, বর্তমান সময় নারীরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। নারীরা এখন নিজের ঘর সামলিয়ে ঘরের বাইরে তারা দেশে বিভিন্ন জায়গা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমি নিজেও নারী হিসাবে গর্ববোধ হয়।তবে এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি কিছু বিদ্রুপ আচরণ এখনো অব্যাহত আছে সমাজে। সে ক্ষেত্রে এই দিকগুলো বিবেচনা করে পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। নারীদের বাকস্বাধীনতা থাকা চাই। এই নারী দিবসে একজন নারী হয়ে।
জান্নাতুল নাঈম তৃষা,শিক্ষার্থী,রসায়ন, সোহরাওয়ার্দী কলেজ।


























