০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের বাজারে আবারো সিণ্ডিকেটরা সক্রিয়

রমজান শুরুর আগেই বাজারে ভোগ্যপণ্যের দামে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। কাচামরিচে বেড়েছে দামের ঝাল। কৃষকের ক্ষেতে ফলন ভালো থাকার পর দাম বেশী রেখে মধ্যসত্ত্বভোগীরা অধিক মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাজারে। সকল পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাড়িয়ে দিয়েছে দাম। সবজির বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না।

ইফতার আয়োজনের অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুন, শসা, লেবু ও কাঁচামরিচের দামে হঠাত করে লেগেছে আগুন। অনেক সৌখিন গ্রাহক আগেভাগেই এসব পণ্য বেশি পরিমাণে কিনে মজুদ করছেন। যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাফিয়ে বাড়ছে বেগুনের দাম। শসা ও লেবু বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচামরিচের দামও প্রতিদিন বাড়ছে। খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি বেগুন সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। অখচ একদিন আগেও পণ্যটি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে লেবুর দাম। বাজারে ভালো মানের প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ফলে একটি লেবু কিনতে গুণতে হচ্ছে ১৫ টাকা। এ ছাড়া শতক ছাড়াচ্ছে শসা। মান বিবেচনায় পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ক্ষিরা। কাঁচামরিচ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। তার সাথে মধ্যে নতুন করে বাড়ছে আলুর দাম। বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি কেজি ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়।

অপরদিকে চাল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও চিড়ার দামও বেড়েছে কমবেশী। মাছ-মাংসের বাজারেও একই চিত্র। বর্তমানে ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায়, মশুর ডাল কেজি ১৪০ টাকা, চিড়া প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা ও খেজুর মানভেদে ২৯০ টাকা থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মোটা সিদ্ধ চাল ৫৫ টাকা, আতপ চাল মানভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০টা থেকে ৮৫০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা এবং রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০
টাকায়।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। এসব সিন্ডিকেট সরকারকেও জিম্মি করে ফেলে। রমজান মাসে পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি হওয়ার পরও দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। সরকার সব ধরনের পণ্য অনেকটা আগে ভাগেই আমদানি করে মজুদ করেছেন। সরকারী ভাবে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়িদের সুবিধা প্রদান করেছেন। তারপরো এসব সিণ্ডিকেট অধিক মুনাফার আশায় বাজারকে অস্থির করে রেখেছেন। এতে স্বল্প আয়ের লোকজনকে পণ্য কিনতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরকারকে আরো কঠোরতার সাথে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। নতুবা সিণ্ডিকেট ব্যবসায়িরা পবিত্র রমজান মাসে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে দুভোরএগর দিকে ঠেলে দেবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

চট্টগ্রামের বাজারে আবারো সিণ্ডিকেটরা সক্রিয়

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

রমজান শুরুর আগেই বাজারে ভোগ্যপণ্যের দামে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। কাচামরিচে বেড়েছে দামের ঝাল। কৃষকের ক্ষেতে ফলন ভালো থাকার পর দাম বেশী রেখে মধ্যসত্ত্বভোগীরা অধিক মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাজারে। সকল পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাড়িয়ে দিয়েছে দাম। সবজির বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না।

ইফতার আয়োজনের অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুন, শসা, লেবু ও কাঁচামরিচের দামে হঠাত করে লেগেছে আগুন। অনেক সৌখিন গ্রাহক আগেভাগেই এসব পণ্য বেশি পরিমাণে কিনে মজুদ করছেন। যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাফিয়ে বাড়ছে বেগুনের দাম। শসা ও লেবু বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচামরিচের দামও প্রতিদিন বাড়ছে। খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি বেগুন সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। অখচ একদিন আগেও পণ্যটি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে লেবুর দাম। বাজারে ভালো মানের প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ফলে একটি লেবু কিনতে গুণতে হচ্ছে ১৫ টাকা। এ ছাড়া শতক ছাড়াচ্ছে শসা। মান বিবেচনায় পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ক্ষিরা। কাঁচামরিচ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। তার সাথে মধ্যে নতুন করে বাড়ছে আলুর দাম। বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি কেজি ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়।

অপরদিকে চাল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও চিড়ার দামও বেড়েছে কমবেশী। মাছ-মাংসের বাজারেও একই চিত্র। বর্তমানে ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায়, মশুর ডাল কেজি ১৪০ টাকা, চিড়া প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা ও খেজুর মানভেদে ২৯০ টাকা থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মোটা সিদ্ধ চাল ৫৫ টাকা, আতপ চাল মানভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০টা থেকে ৮৫০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা এবং রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০
টাকায়।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। এসব সিন্ডিকেট সরকারকেও জিম্মি করে ফেলে। রমজান মাসে পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি হওয়ার পরও দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। সরকার সব ধরনের পণ্য অনেকটা আগে ভাগেই আমদানি করে মজুদ করেছেন। সরকারী ভাবে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়িদের সুবিধা প্রদান করেছেন। তারপরো এসব সিণ্ডিকেট অধিক মুনাফার আশায় বাজারকে অস্থির করে রেখেছেন। এতে স্বল্প আয়ের লোকজনকে পণ্য কিনতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরকারকে আরো কঠোরতার সাথে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। নতুবা সিণ্ডিকেট ব্যবসায়িরা পবিত্র রমজান মাসে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে দুভোরএগর দিকে ঠেলে দেবেন।